1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সেবিট মেলায় বাংলাদেশ

আরাফাতুল ইসলাম৪ মার্চ ২০০৮

সেবিট মেলা প্রাঙ্গন, হানোফার: প্রথমেই অবাক করবে এর বিশালতা৷ মেলা প্রাঙ্গনের একটি প্যাভেলিয়ান থেকে অপরটিতে যেতে প্রয়োজন পড়ে বাস কিংবা কারের৷ বিশ্বের ৭৭টি দেশ থেকে অংশ নিয়েছে ৫৮৪৫ টি প্রতিষ্ঠান৷ আর তাই নামের সাথে এর বিশেষনটা বেশ যায়, সেটি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তথ্য প্রযুক্তি মেলা এ

https://p.dw.com/p/DPfZ
গ্রিন আইটি আলোড়ন তুলেছে বেশ
গ্রিন আইটি আলোড়ন তুলেছে বেশছবি: Picture-Alliance /dpa

টি৷ নাম তার সেবিট৷ ১৯৮৬ সাল থেকে জার্মানীর হানোফারে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই মেলা৷

প্রতিবেদনের শুরুর দিকেই নজর দিতে চাই বাংলাদেশের দিকে৷ তৃতীয় বিশ্বের এই দেশটি কেন জানি তথ্য প্রযুক্তি খাতে এগুতে পারছে না কোনভাবেই৷ আর তার প্রভাব পড়েছে সেবিট মেলাতেও৷ প্রতি বছর সংকুচিত হচ্ছে বাংলাদেশের অংশগ্রহন৷ এ বছর এসেছে মাত্র দুইটি প্রতিষ্ঠান৷ তাও আবার সরাসরি নয়, সুইস প্রতিষ্ঠান সিপ্রো'র ব্যানারে৷ কথা হচ্ছিলো বাংলাদেশ থেকে আসা লিডসসফট এর সহকারী মার্কেটিং ম্যানেজার আনিসুর রহমান খান এর সঙ্গে৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি জানালেন, সেবিট মেলা জার্মানীতে হয়৷ এখানে খরচের একটি ব্যাপার আছে৷ আর তাই এককভাবে একটি বাংলাদেশৗ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই মেলায় যোগ দেয়া বেশ কঠিন৷ বাংলাদেশ সরকার এবং সফটওয়্যার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বেসিস যৌথভাবে উদ্যোগ নিলে সেবিটে বাংলাদেশৗ প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহন বাড়ানো যাবে৷

তবে বাংলাদেশের অবস্থান দুর্বল হলেও ভারত কিন্তু বেশ অগ্রসর সেবিটে৷ প্রথম দিনেই খোঁজ মিললো অন্তত্ব গোটা পঁচিশেক ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের৷ ভারতের নানান রাজ্য থেকে এসেছে তারা৷ তাদের সবারই নজর নতুন ক্রেতার দিকে৷ ইউরোপের বাজারে ভারতের তথ্য প্রযুক্তি পন্য আরো ঢুকাতে বধ্য পরিকর তারা৷ কথা হচ্ছিল তাদেরই একজন, ওয়েব ওয়ার্কস এর ম্যানেজার নিশাত রতি'র সঙ্গে৷ তিনি জানালেন, দক্ষ জনশক্তি আর ইংরেজিতে দক্ষতা আমাদেরকে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছে৷

হানোফারের পরিবেশ বেশ রহস্যময়৷ কখনো প্রখর রোদ্দুর, কখনো তুষারপাত৷ সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা বাতাস৷ তবে এরই মধ্যে জমে উঠেছে সেবিট৷ মাইক্রোসফট, ইয়াহু আর গুগলের মধ্যকার ঠান্ডা যুদ্ধের রেশ পাওয়া যাচ্ছে প্রথম দিন থেকেই৷ সিবিটের এবারের থিম মানে গ্রিন আইটিও আলোড়ন তুলেছে বেশ৷ এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকবে পরবর্তী প্রতিবেদনে৷