1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সেবিট মেলায় নতুন যা কিছু

২১ মার্চ ২০১৭

জার্মানির হানোফার শহরে চলছে বিশ্বের অন্যতম ডিজিটাল ট্রেড ফেয়ার ‘সেবিট'৷ সেল্ফ ড্রাইভিং শাটল সার্ভিস, রোবট রিসিপশনিস্ট এবং পোস্টম্যান ড্রোন – এ সব কিছুই প্রদর্শন হচ্ছে মেলাতে৷

https://p.dw.com/p/2ZdhI
সেবিটে এবারের অতিথি দেশ জাপান
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gentsch

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল রবিবার সেবিট মেলার উদ্বোধন করেন৷ এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে৷ চলতি বছর সেবিটের পার্টনার কান্ট্রি সেদেশ৷ ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন বিটকম মনে করেন, জাপানের কাছ থেকে আসলে জার্মানির অনেক কিছু শেখার আছে৷ কেননা বিশ্বের ১০০টি সেরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের এক চতুর্থাংশের বেশি এসেছে জাপান থেকে৷ বর্তমানে জার্মানি আর জাপানের মধ্যে হার্ডওয়্যার বাণিজ্য বাড়লেও জার্মানি যতটা রপ্তানি করে তার চেয়ে পাঁচগুণ করে আমদানি৷ ম্যার্কেল তাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যথার্থই বলেছেন, ‘‘আমাদের জাপানে একজন বন্ধু যেমন আছে, তেমনি প্রতিদ্বন্দ্বীও আছে৷''

হানোফার শহরে সেবিট মেলার উদ্বোধন করেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল
হানোফার শহরে সেবিট মেলার উদ্বোধন করেন আঙ্গেলা ম্যার্কেলছবি: DW/A. Becker

৭০টি দেশের তিন হাজারের বেশি প্রদর্শক মেলায় তাদের হালনাগাদ প্রযুক্তি প্রদর্শন করছে৷ বর্তমানে যে ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে তাতে সবকিছু ‘কানেক্টেড' রাখার প্রবণতা বেশি৷ ড্রোন, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হ্যান্ডসেট, হিউম্যানয়েড রোবটের মতো যেসব বিষয় একসময় সায়েন্স ফিকশন মনে হতো, সেগুলো এখন মানুষের হাতের নাগালে চলে এসেছে৷ বলতে গেলে, গতবছরের প্রযুক্তিতে পরিনত হয়েছে৷ চলতি বছর যা যোগ হয়েছে তাহচ্ছে বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যকার সম্পর্ক৷

ডয়চে টেলিকম মেলায় এক স্মার্ট পার্কিং-এর কথা জানাচ্ছে, যা একটি শহরের সব পার্কিং স্পটের তথ্য রিয়েল টাইম মানুষের মোবাইলে পৌঁছে দেবে৷ ফলে কোন পার্কিং স্পটে জায়গা পাওয়া যাবে, কোথায় পাওয়া যাবে না – তা সহজেই জানতে পারবেন গাড়ি চালকরা৷ হামবুর্গে চলতি বছরের শেষনাগাদ এই প্রযুক্তি চালু করবে টেলিকম৷ অন্যদিকে, এসএপি স্মার্ট এবং পুরোপুরি ইন্টারকানেক্টেড এক বিমানবন্দরের ধারণা মেলায় প্রদর্শন করছে যা একটি বিমানবন্দরের কার্যক্রম আরো গতিশীল এবং সংগঠিত করতে সক্ষম৷

চলতি বছর মেলায় রোবটের নানাবিধ ব্যবহারও প্রদর্শন করা হচ্ছে৷ ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স' ব্যবহার করে রোবটকে মানুষের সঙ্গে আরো বেশি যোগাযোগে সক্ষম করে তোলা হচ্ছে৷ ফলে মানুষের অনেক কাজ এখন রোবট দিয়ে করানো সম্ভব হয়ে উঠছে৷ শুধু তাই নয়, মানুষ এবং রোবট যাতে পাশাপাশি কাজ করতে পারে সেচেষ্টাও করছে বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান৷ জার্মান সেন্টার ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মোহাম্মদ মেহেদী মোনিরি এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আমরা এমন এক প্রযুক্তি প্রদর্শন করছি যেখানে রোবট এবং মানুষের মধ্যে যোগাযোগটা এমন এক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে মনে হবে যে দু'টো মানুষের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে৷''

মাল্টে রোওয়ার-কালমান/এআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য