1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্যজার্মানি

সেপসিস দ্রুত নির্ণয়ের উপায় বের করলেন জার্মান গবেষকরা

৫ এপ্রিল ২০২২

বিশ্বে প্রতিবছর রোগে ভুগে মারা যাওয়া প্রতি পাঁচজনের একজন সেপসিসে আক্রান্ত রোগী৷ অর্থাৎ ক্যানসারের চেয়ে মানুষ বেশি মারা যায় সেপসিসে৷ সেপসিসের চিকিৎসা যত দ্রুত শুরু করা যায় তত ভালো৷

https://p.dw.com/p/49U4D
Labor multiresistente EHEC-Keime Untersuchung
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Bein

কিন্তু এটা ধরার প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ৷ জার্মানির এক বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত সেপসিস ধরার উপায় বের করেছে৷

সেপসিসের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতোই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ অনেক বেশি জ্বর, দ্রুত হৃদস্পন্দনের মতো প্রাথমিক লক্ষণগুলো অন্য রোগেরও আভাস হতে পারে৷ কিন্তু যখন দ্রুত নিশ্বাস নেয়ার ঘটনা ঘটে, দ্রুত রক্তচাপ নেমে যায়, বিভ্রান্তি তৈরি হয় তখন বিপদের ঘণ্টা বাজা উচিত৷ ‘‘এছাড়া আছে অনেক অসুস্থ বোধ করা৷ রোগী হয়ত বলতে পারে যে, সে জীবনে এমন অসুস্থ আর হয়নি৷ এগুলো প্রাথমিক লক্ষণ৷ যদি শ্বাস নেয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং দ্রুত রক্তচাপ কমতে থাকে তাহলে সেটা সেপসিসের লক্ষণ৷ এই অবস্থায় অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়া উচিত,’’ জানান সেপসিস গবেষক অধ্যাপক মিশায়েল বাওয়ার৷

সাধারণত শরীরের ভেতর, যেমন ফুসফুসে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের মধ্য দিয়ে সেপসিস শুরু হয়৷ তখন রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না৷ ফলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বাড়তে থাকে এবং বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয়, যা রক্তের মাধ্যমে শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে৷ মারাত্মক প্রদাহ সৃষ্টি হয়৷

সমস্যা হলো: ল্যাবরেটরিতে ঠিক প্যাথোজেন খুঁজে পেতে কয়েক ঘণ্টা, কখনও কয়েকদিন লেগে যায়৷ কিন্তু ডাক্তার বা রোগী কারোরই এত সময় নেই৷

জার্মানির ইয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে, যার মাধ্যমে প্রস্রাব পরীক্ষা করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফল পাওয়া যায়৷ দায়ী প্যাথোজেন সম্পর্কে যত দ্রুত জানা যায়, তত দ্রুত সঠিক চিকিৎসা শুরু করা যায়৷ ‘‘তখন ডাক্তার নির্দিষ্ট চিকিৎসা শুরু করতে পারেন৷ অর্থাৎ তিনি সঠিক জীবাণুটা সম্পর্কে জানেন এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন৷ ফলে রোগী ঠিক চিকিৎসা পান,’’ বলেন বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সায়েন্টিফিক ডাইরেক্টর অধ্যাপক ইয়ুর্গেন পপ৷

সিলভানা যখন জীবনের সঙ্গে লড়ছিলেন তখন এরকম টেস্ট সম্ভব ছিল না৷ তাকে প্রথমে যে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়েছিল সেটা কাজ করেনি৷ তাই প্রদাহ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল৷

এই অবস্থায় রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা শরীরকে রক্ষা না করে তার বিরুদ্ধে চলে যায়৷ এটা তখন এমন কিছু তৈরি করে, যা প্রদাহকে নিয়ন্ত্রণ করে৷ মারাত্মক সেপসিসের সময় শরীরে প্যাথোজেনের পরিমাণ এতে বেড়ে যায় যে, তখন রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা অনেক বেশি প্রদাহরোধী সাবসটেন্স রিলিজ করে৷ ফলে রক্তশিরার প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ কোষে তরল জমে যায়৷ রক্তও পুরু হয়ে যায় এবং তখন আর অক্সিজেন পরিবহণ করতে পারে না৷ ফলে বিভিন্ন অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়৷

বির্গিট আউগুস্টিন/জেডএইচ

সময় থাকতে হার্টের যত্ন নেয়ার পরামর্শ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান