সেনেগালে মুসল্লিদের বড় সমাবেশ ‘গ্র্যান্ড মাগাল’
সেনেগালের তুবা শহরে প্রতিবছর সফরের ১৮ তারিখ ‘গ্র্যান্ড মাগাল’ শুরু হয়৷ মুরিদ ব্রাদারহুডের অনুসারীরা এতে অংশ নেন৷ হজের চেয়ে বেশি মুসল্লির সমাগম হয় সেখানে৷
মুরিদ ব্রাদারহুডের অনুষ্ঠান
প্রতিবছর হিজরি চান্দ্রবর্ষের দ্বিতীয় মাস সফরের ১৮ তারিখ সেনেগালের তুবা শহরে ‘গ্র্যান্ড মাগাল’ শুরু হয়৷ সুফিবাদের চার তরিকা বা ধারার একটি মুরিদ ব্রাদারহুডের অনুসারীরা এতে অংশ নেন৷
প্রতিষ্ঠাতা
আমাদু বামবা মুরিদ ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা৷ ১৮৫৩ সালে সেনেগালে জন্মগ্রহণকারী বামবা ১৮৮৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন৷ বামবার মৃত্যুর একবছর পর ১৯২৮ সাল থেকে প্রতিবছর গ্র্যান্ড মাগাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ সেখানে তার অনুসারীরা বামবার জীবন ও শিক্ষা উদযাপন করেন৷
মুরিদের সংখ্যা
সেনেগালের প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ জনসংখ্যার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষ মুরিদ ব্রাদারহুডের অনুসারী৷ সে কারণে সেনেগালের সমাজে মুরিদদের একটি ভাল প্রভাব রয়েছে৷ এছাড়া গাম্বিয়াতেও কিছু অনুসারী আছেন৷
হজের চেয়ে বেশি মুসল্লি
প্রতিবছর প্রায় ৪০ লাখ মুসলিম গ্র্যান্ড মাগালে অংশ নেন৷ আর সৌদি আরবে হজে অংশ নেন প্রায় ২৫ লাখ মুসল্লি৷
মূল শহর তুবা
সেনেগালের রাজধানী ডাকার থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরের তুবা শহরটি মুরিদ ব্রাদারহুডের অনুসারীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র শহর৷ সেখানকার ‘গ্রেট মস্ক’কে ঘিরে গ্র্যান্ড মাগাল অনুষ্ঠিত হয়৷ ছবিতে মসজিদে ঢোকার আগে অনুসারীদের মসজিদ পরিষ্কার করতে দেখা যাচ্ছে৷
অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে মৃত্যু
গ্র্যান্ড মাগালে এত মানুষ অংশ নেন যে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে৷ ২০১৬ সালে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছিলেন৷ আহত হয়েছিলেন প্রায় ৬০০ জন৷
চাঙা অর্থনীতি
গ্র্যান্ড মাগালকে ঘিরে পরিবহণ, খাবার, মোবাইল ফোনের কার্জ, বিশেষ পোশাকের বিক্রি বেড়ে যায়৷ ফলে অর্থনীতি চাঙা হয়ে ওঠে৷
দেশের মধ্যে যেন আরেক দেশ
গণতান্ত্রিক দেশের অংশ হয়েও তুবা শহর যেন আলাদা একটি দেশ৷ সেখানকার খলিফা শরিয়া অনুযায়ী শহরের আইনকানুন ঠিক করেন৷ শহরের বর্তমান খলিফা হলেন আমাদু বামবার নাতি সেরিগনে মাউনটাখা৷