1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সেনার সঙ্গে অসহযোগে নাগাল্যান্ড

১৫ ডিসেম্বর ২০২১

সেনার বিশেষ আইন প্রত্যাহার না হলে এবং ১৩ জন খনিশ্রমিকের হত্যার বিচার না হলে সেনার সঙ্গে সহযোগিতা নয়। জানালো, কনিয়াক জনগোষ্ঠী।

https://p.dw.com/p/44HNm
নাগাল্যান্ড
ছবি: Yirmiyan Arthur/AP Photo/picture alliance

সম্প্রতি নাগাল্যান্ডে সেনার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জন খনি শ্রমিকের। যা নিয়ে শুধু নাগাল্যান্ড নয়, গোটা দেশেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। সেনা এবং পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়ে ছিলেন, ওই শ্রমিকরা সেনার নির্দেশ না মানায় গুলি চালাতে বাধ্য হয় কম্যান্ডোরা। শুধু তাই নয়, শ্রমিকরাও সেনার উপর আক্রমণ চালিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়। কিন্তু নাগা পুলিশের রিপোর্টে তা উঠে আসেনি। নিরস্ত্র খনিশ্রমিকদের উপর সামনে থেকে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছিল বলে জানানো হয়।

নাগাল্যান্ড
ছবি: Caisii Mao/NurPhoto/picture alliance

এই পরিস্থিতিতে নাগাল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ জনগোষ্ঠী কনিয়াক জানিয়ে দেয়, রাজ্যজুড়ে শোকদিবস পালিত হবে।  খ্রিস্টান সংখ্যাগুরু রাজ্যে বড়দিনের সমস্ত অনুষ্ঠান তারা বাতিল করে দেয়। শুধু তাই নয়, সেনার সঙ্গে সম্পূর্ণ অসহযোগিতার নির্দেশ দেয় তারা।

এ বিষয়ে সেনা নাগা সরকার এবং কনিয়াকের সঙ্গে একাধিক আলোচনার চেষ্টা করলেও শেষপর্যন্ত লাভ হয়নি। কনিয়াক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোনোভাবেই সেনার সঙ্গে সহযোগিতা করা হবে না। তাদের দাবি, নাগাল্যান্ড থেকে সেনার বিশেষ অধিকার আইন বাতিল করতে হবে এবং খনি শ্রমিকদের উপর যে কম্যান্ডোরা গুলি চালিয়েছিল, তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে হবে এবং শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

নাগাল্যান্ড
ছবি: Caisii Mao/NurPhoto/picture alliance

অসহযোগিতার অর্থ কী

উত্তর পূর্ব ভারতে সেনা নানা ধরনের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের কাজ করে। কখনো ফুটবল ম্যাচের আয়োজন, কখনো স্কুলে বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরের ব্যবস্থা ইত্যাদি করা হয়। আর্থিক সাহায্যও করা হয়। এই সমস্ত বিষয়ে সেনার কাছ থেকে কোনোরকম সাহায্য নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে কনিয়াক। তাদের জাতিগোষ্ঠী ভুক্ত কেউ সেনায় যোগ দেবেন না। সেনাকে ছাউনি তৈরি, অফিস তৈরির জন্য যত জমি লিজ দেওয়া হয়েছে, তা বাতিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সেনার বিভিন্ন কাজে আগে স্থানীয় মানুষরা সাহায্য করতেন। এখন তা তা করা হবে না। এছাড়াও নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন দপ্তরে লাগাতার কালো পতাকা লাগানো থাকবে বলেও তারা জানিয়ে দিয়েছে।

সংসদের ভাষণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, নাগা মানুষের দাবি কাছে সরকার নতিস্বীকার করবে না। সেনা সেখানে যে সুযোগ পায়, তা-ই বহাল থাকবে। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার নরম হয় কি না, সেটাই এখন দেখার। সেনা এই পরিস্থিতিতে কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, আনন্দবাজার)