সুমেরু সাগরেও চীনের বাণিজ্য!
গোটা বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে নতুন পথ খুঁজছে চীন৷ এবার সুমেরু সাগরেও ‘পোলার সিল্ক রোড’ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করলো বেইজিং৷ তবে চীনের ভূমিকা নিয়ে সংশয় কম নয়৷
বিশ্ব বাণিজ্যে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা
বিশেষ করে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে আরও দ্রুত ও নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তুলতে তায় চীন৷ তার অবকাঠামো গড়তে বেশ কয়েকটি দেশে বিশাল মাত্রায় বিনিয়োগ করছে চীন৷ ফিনল্যান্ড থেকে রেলপথে পণ্য পরিবহণের পরীক্ষামূলক যাত্রা তার একটা দৃষ্টান্ত৷ সুমেরু সাগরে চীনের পরিকল্পনা নিয়ে প্রকাশিত শ্বেতপত্রে সেই ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে৷
বাণিজ্যের নতুন পথ
বাণিজ্যের পথে ভৌগোলিক বাধা মেনে নিতে প্রস্তুত নয় চীন৷ সে দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জলে-স্থলে নতুন পথ সৃষ্টি করতে যে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন, তা এতকাল মূলত স্থলপথের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল৷ পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে আরব সাগরের নাগাল পাওয়া এই উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্য৷
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সুবিধা
উত্তাপ বেড়ে চলায় বরফ গলে উত্তরমেরু সংলগ্ন অঞ্চল আগের তুলনায় সুগম হয় পড়ছে৷ বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সেখানে অবকাঠামো তৈরি করে পরীক্ষামূলক যাত্রা চালাতে উৎসাহ দিচ্ছে চীন৷ এই ‘পোলার সিল্ক রোড’ সৃষ্টি হলে সুয়েজ প্রণালী এড়িয়ে জলপথে আরও দ্রুত চীনে পৌঁছানো সম্ভব হবে৷
আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে সংশয়
উত্তর মেরু অঞ্চলের দেশ না হয়েও সেখানে চীনের এমন তৎপরতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিচ্ছে৷ ২০১৩ সালে আর্কটিক কাউন্সিলের পর্যবেক্ষক সদস্য হয়েছে সে দেশ৷ বাণিজ্যের নতুন যাত্রাপথ ছাড়াও সেই এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদের দিকে চীনের নজর রয়েছে৷ তবে আঞ্চলিক দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমেই অগ্রসর হবার আশ্বাস দিয়েছে চীন৷
জ্বালানির নতুন উৎস
রাশিয়ার ইয়ামাল তরল গ্যাস প্রকল্পে বড় আকারে বিনিয়োগ করে বছরে ৪০ লক্ষ টন এলএনজি আমদানি করতে চায় চীন৷ উত্তর মেরু অঞ্চলের মাছ ধরার দিকেও চীনের নজর রয়েছে৷ তবে চীন জানিয়েছে, লাগামহীনভাবে সেই অঞ্চলের সম্পদ কাজে লাগানো, পরিবেশের ক্ষতি করা ও স্থানীয় ভাবাবেগে আঘাত করবে না সে দেশ৷