1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুপার রেকগনাইজারদের ক্ষমতার সীমা এখনো স্পষ্ট নয়

১ মার্চ ২০২২

অপরাধী ধরতে আঙুলের ছাপ ও ডিএনএ প্রযুক্তির পর সুপার রেকগনাইজারদের কাজে লাগানোর পদ্ধতি শেখাতে পারে লন্ডনের পুলিশ৷ এভাবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পরিচিত অপরাধীদের এমনকি আগেভাগেই চিহ্নিত করা যেতে পারে৷

https://p.dw.com/p/47lB3
Tödlicher Angriff auf britischen Abgeordnete David Amess in Leigh-on-Sea
ফাইল ফটোছবি: Henry Nicholls/REUTERS

লন্ডনের গ্রিনউইচ বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞানী জশ ডেভিস সুপার রেকগনাইজারদের বিশেষ প্রতিভা নিয়ে গবেষণা করছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি এর নেপথ্যে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বুঝতে চাই৷ আমার মতে, বিষয়টা যত ভালোভাবে বুঝবো, মানুষের স্মৃতি সম্পর্কেও আমরা তত বেশি জানতে পারবো৷ হয়তো সেই ক্ষমতার এমন প্রয়োগ সম্ভব, আজ কেউ যা কল্পনাও করতে পারে না৷''

কয়েক সপ্তাহ আগে ডেভিস এলিয়ট পোরিটের এক সহকর্মীকে কয়েক জন ব্যক্তির ছোট ভিডিও দেখিয়েছিলেন৷ ছবি দেখে তাদের শনাক্ত করার কাজ দেওয়া হয়েছিল৷ এই পরীক্ষার মাধ্যমে সুপার রেকগনাইজারদের স্মৃতিশক্তির স্থায়িত্ব নির্ধারণ করার চেষ্টা চলেছে৷

ডেভিস ও পোরিট পরীক্ষার ফলাফল দেখে সন্তুষ্ট হয়েছেন৷ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতা পোরিটের জন্য অপরিহার্য৷ লন্ডন মেট্রোপলিটান পুলিশের এলিয়ট পোরিট বলেন, ‘‘আমরা পুলিশের এমন এক ক্ষেত্রে কাজ করি, যার সংজ্ঞা এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়, অনেকটা পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে৷ পথিকৃত হিসেবে বিশ্বের অন্য পুলিশ বাহিনীর কাছেও আমাদের মডেল আকর্ষণীয়৷''

অ্যালিস গ্রস নামে এক কিশোরীর হত্যাকাণ্ডে লাশ পাবার কয়েকদিন পর সন্দেহভাজন হত্যাকারীর লাশও পাওয়া যায়৷ ৪১ বছর বয়সি সেই ব্যক্তি সম্ভবত ধরা পড়ার ভয়ে জঙ্গলে গিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল৷ সে বেঁচে থাকলে পুলিশ তার অপরাধ প্রমাণের বিষয়ে নিশ্চিত ছিল৷ কারণ একাধিক অকাট্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল৷ কিশোরীর জুতো এবং ঘটনাস্থলে একটি সিগারেটের অংশে তার ডিএনএ চিহ্নিত হয়েছিল৷

কিন্তু যে মোক্ষম সূত্র ধরে হত্যাকাণ্ডের রহস্য সমাধান করা হয়েছিল, সেটি সুপার রেকগনাইজারদের কাছ থেকেই এসেছিল৷ প্রাক্তন পুলিশ কমিশনর মিক নেভিল বলেন, ‘‘আমার মতে ভবিষ্যতে সুপার রেকগনাইজার গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে৷ যেমন ১৯০৫ সালে এখান থেকে দুই মাইল দূরে আঙুলের ছাপ দেখে প্রথম খুনের কিনারা করা হয়েছিল৷ স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বাকি সবাইকে ফিংগারপ্রিন্ট সিস্টেম সম্পর্কে বুঝিয়েছিল৷ তারপর ডিএনএ সম্পর্কে জানার পরেও ব্রিটিশ পুলিশকে একই কাজ করতে হয়েছিল৷ এখন সুপার রেকগনাইজারের ক্ষেত্রে তৃতীয় বার তেমনটা করতে হচ্ছে৷ আমাদের এই দক্ষতা ছড়িয়ে দিতে হবে৷ জার্মানি, অ্যামেরিকা বা বিশ্বের অন্য জায়গায় সুপার রেকগনাইজার নেই, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই৷''

বিশেষ করে অপরাধের কিনারা করতে সুপার রেকগনাইজারদের কাজে লাগানো সার্থক৷ বড় আকারের অনুষ্ঠানের মতো ক্ষেত্রে তাঁরা আগে থেকেই অঘটন এড়াতে পারেন৷ কনট্রোল রুম থেকে তারা ভিডিওতে সব কিছুর উপর লক্ষ্য রাখতে পারেন৷ পরিচিত অপরাধী চোখে পড়লে আগেই তাদের সরিয়ে ফেলা সম্ভব৷ তবে ‘স্লিপার সেল'-এর অপরিচিত কোনো সদস্যের হামলার ষড়যন্ত্র বানচাল করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়৷ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নজরদারি সত্ত্বেও লন্ডনের মতো শহরে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়৷

আনা ফ্ল্যুগার/এসবি