1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুন্দরবন যেভাবে দস্যুমুক্ত হলো

মোহসীন-উল হাকিম
২৯ এপ্রিল ২০১৯

বঙ্গোপসাগর থেকে ৭০ জেলে অপহরণ কিংবা সুন্দরবনের মালঞ্চ নদী থেকে ৩৫ জেলেকে অপহরণ করেছে জলদস্যুরা - একটা সময় এই ধরনের খবর জাতীয় পত্রিকাতেও ঠিকঠাক জায়গা পেতো না৷

https://p.dw.com/p/3HZ0v
শতভাগ আস্থা অর্জন করতে না পারলে বনদস্যুদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব নাছবি: Mohsin Ul Hakim

টেলিভিশনের সংবাদ কক্ষ পর্যন্তও আসতো না দূর জনপদের এই খবরগুলো৷ আর অপহরণের খবর আসলেও তা দূরের খবর বিবেচনায় গুরুত্বহীন সংবাদ হিসেবে বিবেচনা করা হতো৷ অথচ ঢাকা শহর বা লোকালয় থেকে একজন অপহরণের ঘটনা ঘটলেও জাতীয় পত্রিকা বা সংবাদমাধ্যমে বড় করে সংবাদ করা হচ্ছে৷

শুধু সংবাদ নয়, এই দুই ধরণের অপহরণের ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকাও থাকতো দুই রকম৷ জলদস্যু বা বনদস্যুদের জেলে অপহরণের ঘটনা যেমন সংবাদমাধ্যমে আসতো না, তেমনি এবিষয়ে স্থানীয় থানায় মামলা হতো না, অপহৃত জেলেদের উদ্ধারেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা তখন খুব একটা চোখে পড়তো না৷ মুক্তিপণের টাকা দিয়ে দরিদ্র জেলেরা একে একে ঘরে ফিরতো৷ মাঝের দিনগুলো তাদের কাটতো নির্যাতন আর অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে৷

মাথায় বিষয়গুলো ঘুরছিলো ২০০০ সাল থেকে৷ সাংবাদিকতায় আসার পর থেকে উপকূলে কাজ করার আগ্রহ কাজ করতো৷ কিন্তু চাকরি পাকাপোক্ত করতে দিনের কাজেই বেশি সময় দিতে হতো৷ সুযোগ পেলে মাঝে মাঝে সুন্দরবনের আশেপাশে গেলেই একটু ঘুরে আসতাম৷ তবে সেই সময়ে নিবিড়ভাবে কাজ করার সুযোগ পেতাম না৷ তবে একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্য দিয়ে বড় সুযোগ চলে এলো৷ ২০০৯ সালের ২৫ মে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস আইলা'র পর সাতক্ষীরার সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগরের গাবুরা-পদ্মপুকুরসহ দুর্যোগে আক্রান্ত এলাকায় যাই সংবাদ সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে৷ তখন থেকেই দস্যুদের নিয়ে কাজ শুরু৷

আইলার পর ছিন্নভিন্ন সেই জনপদের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে বলতে জলদস্যু-বনদস্যুদের ভয়াবহতার চিত্র বোঝার চেষ্টা করি৷ সেই সঙ্গে জলদস্যুদের হাত থেকে জেলেদের মুক্তি পাওয়ার পথ নিয়েও চিন্তা করতে থাকি৷ সুন্দরবন উপকূলের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টা করি৷ সেই সফরেই বনদস্যুদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করি৷ কিন্তু হঠাৎ করেই সেটা সম্ভব না৷ শতভাগ আস্থা অর্জন করতে না পারলে বনদস্যুদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব না৷ শ্যামনগরের সাংবাদিক সালাহউদ্দীন বাপ্পী ভাই এবিষয়ে সহযোগিতা করেন৷ সাতক্ষীরা সুন্দরবনের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ দস্যু মোতালেব বাহিনীর প্রধান মোতালেব এর ফোন নাম্বার জোগাড় করে কথা বলিয়ে দেন তিনি৷

পূর্বনির্ধারিত সময়ে ফোন দিয়ে কথা বললাম দস্যুনেতা মোতালেবের সঙ্গে৷ দীর্ঘ কথোপকথনে বুঝলাম, তাদের বাড়ি ফেরার আকুতি আছে৷ দস্যু জীবনটাও উপভোগ করছে না তাঁরা৷ আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দিতেই মোতালেব বললেন, প্রাণভয়ে এই পথে আসার সাহস পাচ্ছেন না৷ অবশ্য কিছুদিন পরই র‍্যাব এর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন মোতালেব৷

এদিকে অন্য দস্যুবাহিনীগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ শুরু করি৷ রাজু বাহিনী, জুলফিকার বাহিনীসহ বড়, মাঝারি ও ছোট দস্যুবাহিনীগুলোর সঙ্গে ফোনে কথা বলা শুরু করি৷ তারা সবাই ফিরতে চায়৷ তবে শুরুতে ক্রসফায়ারের ভয়ে কেউই আত্মসমর্পণের পথে এগোতে রাজি হয়নি৷ অবশ্য জীবনের নিশ্চয়তা দিতে পারলে তারা সকলেই আত্মসমর্পণ করবে, তেমনই বুঝলাম৷

আত্মসমর্পণের প্রস্তাব কেন? গহীন সুন্দরবন বনদস্যু-জলদস্যুদের লুকিয়ে থাকার জন্য অনুকূল৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বনের ভেতর থেকে তাদের আটক করা খুব কঠিন৷ অভিযানে আংশিক সফলতা আসলেও দস্যুবাহিনীগুলো থেকেই যাচ্ছিলো৷ সবগুলো অস্ত্র উদ্ধারও সম্ভব হচ্ছিলো না৷ অন্যদিকে বেশিরভাগ দস্যুই বিভিন্ন মামলার ফেরারি আসামি৷ ধরা পড়ে জেলখানায় গেলেও জামিন নিয়ে তারা সোজা ফিরে যেতো সুন্দরবনে, দস্যুজীবনে৷ সব মিলিয়ে শুধু আভিযানিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান ছিলো অসম্ভব৷ তাই স্বেচ্ছায় দস্যুরা আত্মসমর্পণ করলে দস্যু দলটি যেমন নির্মূল হবে, তেমনি সেই দস্যুদের সবগুলো অস্ত্র-গুলি জব্দ করা সম্ভব হবে৷ সবচেয়ে বড় কথা, এক একটি দস্যু বাহিনী নির্মূল হলে নিরাপদ হবে কয়েক হাজার জেলে-বাওয়ালীর জীবন৷ পুরো কাজটির মূল উদ্দেশ্যও তাই ছিলো৷

প্রথম দেখা হয় রাজু বাহিনীর সঙ্গে৷ ২০১১ সালে রাজু বাহিনীর আত্মসমর্পণের আগ্রহের কথা তুলে ধরি সংবাদের মাধ্যমে৷ কিন্তু সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন সংশ্লিষ্টরা৷ তবে তখন হাল ছাড়িনি৷ অনেক বাধা বিপত্তির মুখেও কাজ চালিয়ে যাই৷ দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখায় সে সময়ের র‍্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্টরা আমাকে দস্যুদের পৃষ্ঠপোষক ভাবতেন৷ কিন্তু এসব চিন্তা সরিয়ে রেখে বেশ কয়েকটি দস্যুবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখি৷ অনেকের সঙ্গে দেখাও হতো৷ এদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়তে থাকে৷ একের পর এক দস্যুনেতা কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়৷ ক্রসফায়ারে মৃত্যু হয় শতাধিক বনদস্যু-জলদস্যুর৷ কিন্তু সুন্দরবন আর বঙ্গোপসাগরে দস্যুতা চলতেই থাকে৷ বনদস্যুদের দলগুলো সমূলে উৎখাত হচ্ছিলো না বলেই দস্যুতা বন্ধ হয়নি তখন৷ মাঠ পর্যায়ে নিবিড় কাজের অভিজ্ঞতা থেকে আবারও নিশ্চিত হই যে আত্মসমর্পণের মাধ্যমেই সুন্দরবনের দস্যুতা নির্মূল সম্ভব৷

Bangladesch Piraten Rehabilitation Boro Bhai Bahini
সরাসরি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণে রাজি ছিলো না দস্যুরাছবি: Mohsin Ul Hakim

প্রথম দফায় প্রত্যাখ্যাত হওয়ার প্রায় পাঁচ বছর পরে আবারও উদ্যোগ নেই৷ তখন সবচেয়ে বড় জলদস্যু বাহিনীর নাম ‘মাস্টার বাহিনী'৷ এর প্রধান মোস্তফা শেখের সঙ্গে দীর্ঘ যোগাযোগের কারণে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলাম৷ সেই সূত্রে দস্যুদলটির সঙ্গে দেখা করি৷ আত্মসমর্পণের প্রস্তাব নিয়ে আবারও সংবাদ প্রচার করি৷ ‌এই দফায় অবশ্য ফিরতে হয়নি৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও র‍্যাব মহাপরিচালক এই দফায় বনদস্যুদের আত্মসমর্পণের প্রস্তাব গ্রহণ করেন৷

এরপর থেকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই৷ সাংবাদিক হিসেবে এই আত্মসমর্পণের সঙ্গে থাকা ঠিক হবে কী? আবার মধ্যস্ততা করার মতো দস্যুদের এবং র‍্যাব এর আস্থাভাজন কোনো ব্যক্তিও খোঁজে ছিলো না৷ অন্যদিকে সরাসরি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণে রাজি ছিলো না দস্যুরা৷ তাই সাংবাদিক হিসেবে নয়, একজন নাগরিক হিসেবে মধ্যস্ততার দায়িত্বটি নিজের কাঁধে নেই৷

পুরো কাজটি গুছিয়ে আনতে এর পর মাত্র তিন মাস সময় লেগেছিলো৷ নির্ধারিত সময়ের তিনদিন আগে আমরা পৌঁছে যাই সুন্দরবনে মাস্টার বাহিনীর গোপন জায়গায়৷ আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের আগের দিন অস্ত্র-গুলি গুছিয়ে দস্যুদের সঙ্গে নিয়ে রওনা দেই র‍্যাব এর টিমের উদ্দেশ্যে৷

২০১৬ সালের ৩১ মে সুন্দরবনের সবচেয়ে বড় দস্যুদল ‘মাস্টার বাহিনী' আত্মসমর্পণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে৷ বিনা শর্তে আত্মসমর্পণ করে প্রথম দস্যুবাহিনী৷ তারই ধারাবাহিকতায় পরের আড়াই বছরে একে একে দস্যুতা ছেড়ে ফিরে আসে ৩২টি দস্যুবাহিনী৷ ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সবশেষ ছয়টি দস্যুবাহিনী আত্মসমর্পণ করে৷ সেই অনুষ্ঠানে সুন্দরবনকে ‘দস্যুমুক্ত' ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

মোট ৩২৮ জন বনদস্যু-জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে৷ জমা দেয় ৪৭০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও সাড়ে ২২ হাজার গুলি৷ দস্যুতা বন্ধ হয় সুন্দরবন ও বিস্তীর্ণ বঙ্গোপসাগরে৷ বিনা শর্তে আত্মসমর্পণ হলেও পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন৷ হত্যা ও ধর্ষণ মামলা ছাড়া বাকি মামলাগুলোতে আইনি সহায়তা করার আশ্বাস দেওয়া হয়৷

দস্যুমুক্ত সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত রাখা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ৷ একদিকে আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের পুনর্বাসন করা আর অন্যদিকে নতুন দস্যুবাহিনী আবারও যাতে অপকর্ম শুরু করতে না পারে তা নিশ্চিত করা সহজ কাজ নয়৷ আত্মসমর্পণ করা বনদস্যুদের প্রত্যেকের নামে একাধিক মামলা রয়েছে৷ সেই মামলাগুলোর মধ্যে কিছু মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি৷ মামলাগুলো পরিচালনা করতে সাবেক বনদস্যুদের অর্থ ও সময় খরচ হচ্ছে৷ মামলা চালানোর অর্থ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে তারা৷

Journalist Mohsin Ul Hakim
মোহসীন-উল হাকিম, সাংবাদিক, যমুনা টেলিভিশনছবি: privat

মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হলে ফিরে আসা দস্যুদের অনেকেই হয়তো আবারও ফিরে যাবে অপরাধের জীবনে৷ আর অর্থনৈতিকভাবে এদের পুনর্বাসন না করতে পারলেও পরিণতি খারাপ হবে, সন্দেহ নাই৷ তবে আশার কথা হলো, এখন পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের কেউই পুরনো অপরাধ জীবনে ফিরেনি৷ তাই দ্রুততম সময়ে এদের মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি৷

এই মুহূর্তে তিন-চারটি ছোট ছোট অনিয়মিত দল বনদস্যুতা করার চেষ্টা করছে বিচ্ছিন্নভাবে৷ তাদের নির্মূলে তৎপর সংশ্লিষ্টরা৷ দস্যুদের পৃষ্ঠপোষক আর অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসায়ী ও যোগানদাতাদের আইনের আওতায় আনতে না পারলে ‘দস্যুমুক্ত সুন্দরবন' টেকসই হবে না৷ সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হওয়ায় যেমন জেলে-বাওয়ালীদের মধ্যে স্বস্তি এসেছে, তেমনি সুন্দরবনের প্রাণবৈচিত্রও নিরাপদ হয়েছে আগের যে-কোনো সময়ের চেয়ে৷ এই শান্তির পরিবেশ দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে সাবেক বনদস্যুদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে

আগেই উল্লেখ করেছি, বনদস্যুদের আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্য ছিলো দস্যুদের মূল লক্ষ্য সাধারণ জেলেদের জীবনটাকে নিরাপদ করা; মুক্তিপণের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক নিপীড়নের হাত থেকে জেলেদের মুক্ত করা৷ সেই কাজটি আপাতত সফল হয়েছে৷ সফলতার শুরু হতে সময় লেগেছে প্রায় সাত বছর৷ পরের আড়াই বছরে সুন্দরবন হয়েছে দস্যুমুক্ত৷

২০০৯ সাল থেকে প্রতিটি দস্যুদলের নেতা ও সদস্যদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখতে হয়েছে৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে দেখা করেছি দস্যুদের সঙ্গে৷ অসংখ্যবার সুন্দরবনের বিপদসংকুল পথে যাওয়া আসা করতে হয়েছে৷ আমি এবং আমার টিমের সদস্যদের নিয়ে নানামুখী বিপদের মুখোমুখী হতে হয়েছে৷ সুন্দরবনের ভেতরে কোস্টগার্ড ও দস্যু দলের গোলাগুলির মধ্যেও পড়তে হয়েছে৷ প্রতিটি মুহূর্তে খেয়াল রাখতে হয়েছে যাতে দস্যুরা ভুল না বোঝে, আবার সতর্ক থাকতে হয়েছে যাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও ভুল না বোঝে

শ্বাপদসংকুল সুন্দরবনে চলাফেরার সময় খেয়াল রাখতে হয়েছে আমার সফরসঙ্গীদের নিরাপত্তার বিষয়টি৷ দিনের পর দিন, রাতের পর রাত বনের ভেতরে কেটেছে আমাদের৷ বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও ছুটতে হয়েছে বনের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে৷ নদী বা সাগর পথে ছোট্ট ট্রলার নিয়ে ছুটেছি দিনের পর দিন৷ এদিকে দস্যুদের পৃষ্ঠপোষক কয়েকজন মৎস্য ব্যবাসায়ী ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের নানা অপতৎপরতাও মোকাবেলা করতে হয়েছে বার বার৷

শুধু সংবাদ প্রচারই নয়, সুন্দরবনের দস্যুদের আত্মসমর্পণে মধ্যস্ততা করে সংবাদ তৈরিতেও ভূমিকা রেখেছি৷ অন্যদিকে সাংবাদিক হিসেবে সংবাদ প্রচারের পাশাপাশি নিজেকে কতটুকু সম্পৃক্ত করবো বা করবো না, সেবিষয়টি ভাবিয়েছে বেশি৷ এক্ষেত্রে প্রয়াত সাংবাদিক মিশুক মুনীর ও ব্রিটিশ সাংবাদিক সায়মন ড্রিং এর দিকনির্দেশনা অনুসরণ করেছি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য