1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুদিনের আশায় এশিয়ার শেয়ারবাজারে রেকর্ড

৩০ ডিসেম্বর ২০২০

ভ্যাকসিন এসে গেছে৷ শুরু হয়েছে ভ্যাকসিন দেয়া৷ তাই করোনামুক্ত চাঙা অর্থনীতির আশা দেখাচ্ছে ২০২১৷ এশিয়ার শেয়ারবাজারেও দেখা যাচ্ছে চাঙাভাব৷

https://p.dw.com/p/3nNTv
মুম্বাই স্টক মার্কেটছবি: DW/R. Sharma

বছরশেষে বিশ্বের অনেক দেশের শেয়ারবাজারেই দেখা যাচ্ছে এই প্রবণতা৷ মূল কারণ অবশেষে করোনার বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার হাতিয়ার হয়ে ভ্যাকসিনের আগমন৷ এ সুবাদে ইউরোপের বাজার টানা ষষ্ঠ মৌসুমের মতো ইতিবাচকতা ধরে রাখার আশা করছে৷

তবে এশিয়ায় শেয়ারের দাম বৃদ্ধির আশা জাগানিয়া ইঙ্গিত আরো স্পষ্ট৷

পুঁজিবাজারের বৈশ্বিক সূচক এমএসসিআই অনুযায়ী, জাপানসহ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের শেয়ারের দাম রেকর্ড ১.২ ভাগ বেড়েছে৷ দাম বৃদ্ধিতে সবচেয়ে এগিয়ে চীন৷ বছর শেষে ১৮.৯ ভাগ বৃদ্ধিও দেখেছে তাদের শেয়ার৷ মঙ্গলবার জাপানের নিকেই-এর শেয়ারের দাম ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ শতকরা ১৬ ভাগ বেড়েছিল, বছরের শেষ শেয়ার লেনদেনের দিনে অবশ্য তা আবার ০.৪৫ ভাগ কমেছে৷

বিশ্লেষকেরা মনে করেন, নতুন বছরে অর্থনীতিকে চাঙা করতে হলে অনলাইন কেনাকাটানির্ভর বাণিজ্যের গণ্ডি ছাড়তে হবে৷ লিব্রা ইনভেস্টমেন্টের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার ইয়াসুয়ো সুকুমা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘১০ বিলিয়নের চেয়েও বেশি দামের অনেক কোম্পানিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ তাদের কেউ যদি মনে করে শুধু ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ব্যবসা করেই টাকা কামাতে পারবে, তাহলে তাদের এই বিভ্রান্তি থেকে বেরিয়ে আসতে বলবো৷ শুধু চমৎকার ব্যবসার আইডিয়া বা চমৎকার কিছু টেস্ট-প্রোডাক্ট দিয়েই সফল হতে গেলে অচিরেই এসব প্রতিষ্ঠান হয়ত দেখবে তারা আর কাউকে আকৃষ্ট করতে পারছে না৷’’

এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের স্ট্রিট গ্লোবাল অ্যাডভাইজরের ফিক্সড-ইনকাম বিজনেস-এর প্রধান হিরোশি ইয়োকোতানি বলেন, ‘‘আমরা আর্থিক এবং আর্থিক নীতিমালা বলতে যা বুঝি তাতে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকির ব্যাপারও থাকে৷ স্টক বন্ডের চেয়ে ভালো করবে৷ বন্ডের মধ্যে আবার কর্পোরেট বন্ড সরকারি বন্ডকে পেছনে ফেলবে৷''

এসিবি/কেএম (রয়টার্স)