1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুদানে সশস্ত্র হামলায় মৃত ৬০

২৭ জুলাই ২০২০

সুদানের দারফুরে মাসালিট সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করল প্রায় পাঁচশ সশস্ত্র ব্যক্তি। তারা অন্ততপক্ষে ৬০ জনকে হত্যা করেছে। লুটপাট করেছে। বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।

https://p.dw.com/p/3fwit
ছবি: Getty Images/AFP/A.Shazly

জাতিসংঘ জানিয়েছে, সুদানের দারফুর অঞ্চলে মাসতেরি শহরে হানা দেয় পাঁচশ সশস্ত্র ব্যক্তি। কো-অর্ডিনেশন অফ হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ)-এর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, আক্রমণকারীরা নির্বিচারে গুলি চালায়। বাজারের একাংশ সহ বহু বাড়িতে আগুন ধরায় এবং লুটপাট করে।  

জাতিসংঘের বিবৃতি অনুসারে, গত এক সপ্তাহ ধরে এই ধরনের একাধিক আক্রমণ হয়েছে। বেশ কিছু গ্রাম আক্রান্ত হয়েছে। বাড়িতে আগুন ধরানো হয়েছে। এর ফলে লোকে উদ্বাস্তু হচ্ছেন। চাষের কাজে ক্ষতি হচ্ছে। প্রচুর লোক তাঁদের জীবিকা হারাচ্ছেন। তাই এখানে আরো মানবিক সাহায্য দরকার।

এই আক্রমণের পরেই প্রায় পাঁচশ জন স্থানীয় মানুষ বাড়তি নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ জানান। তাঁরা বলেন, যতক্ষণ তাঁদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া না হচ্ছে, ততক্ষণ তাঁরা মৃতদেহগুলি কবরে দেবেন না। 

গত সপ্তাহে সশস্ত্র বাহিনীর হাতে বাচ্চা সহ ২০ জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আক্রমণকারীরা চাষের জমিতে কাজ করা মানুষের ওপর আক্রমণ শানিয়েছিল। সুদানের প্রধানমন্ত্রী তখন জানান, সরকার এই চাযের সময় কৃষকদের বাঁচাতে বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করবে। দারফুরের আক্রমণের পিছনেও একই কারণ ও গোষ্ঠীর হাত আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বেশ কয়েক বছর পর কৃষকদের ওপর এই ধরনের হামলা হচ্ছে। আফ্রিকার গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যাযাবর আরব গোষ্ঠী জমি নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়ছে।

সুদানে ২০১৯ সালে ব্যাপক প্রতিবাদের পর ওমর-আল-বশির ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। এখন সেখানে একটা অন্তর্বর্তী সরকার আছে। তারা চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি আনার চেষ্টা করছে। গণহত্যা ও অমানবিকতার অভিযোগ রয়েছে বশিরের বিরুদ্ধে। তাঁকে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল আদালত।

জিএইচ/এসজি(ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)