সুইডেনে বিদঘুটে খাবারের জাদুঘর
পোকার পনির? ইঁদুরের ওয়াইন? শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনই কিছু বিদঘুটে খাবারের একটি জাদুঘর রয়েছে সুইডেনে৷ বিস্তারিত ছবিঘরে...
আজব জাদুঘর!
সুইডেনের মালম্যো শহরে এক আশ্চর্য জাদুঘর! সারা বিশ্বের প্রায় ৮০টি বিদঘুটে খাবার দিয়ে সাজানো এই জাদুঘরে চীনের বিখ্যাত ইঁদুরের ওয়াইনও রয়েছে৷ ছবির এই ওয়াইন তৈরি হয় সাধারণ ওয়াইনে সদ্যজাত ইঁদুরছানার মৃতদেহ ভিজিয়ে!
ভেড়ার চোখের শরবত
মঙ্গোলিয়ার ‘ব্লাডি মেরী’ নামে খ্যাত এই শরবতে থাকে ভেড়ার চোখ ও টমেটোর রস৷ দেখতে অদ্ভূত লাগলেও জাদুঘরের কর্মচারীরা সদা ব্যস্ত থাকেন এই অদ্ভূত খাবারগুলিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে৷
গিনিপিগ ভাজা!
গিনিপিগকে সাধারণত আমরা চিনি পোষ্য বা ল্যাবরেটরির কাজে লাগা পশু হিসেবে৷ কিন্তু ইকুয়েডর বা পেরুর মতো কিছু দেশে এই গিনিপিগ ভেজে খাওয়াও হয়৷
জীবন্ত পনির?
সার্ডিনিয়ার সব চিজ বা পনিরের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত এই ‘কাসু মারজু’৷ কিন্তু এই চিজ খাওয়ার সময় খুব সাবধান থাকতে হবে৷ খেয়াল না করলে পাত থেকে লাফিয়ে উঠতে পারে চিজের মূল উপকরণ ‘ম্যাগট’, যা এক ধরনের শুঁয়োপোকা৷
বাদুড়ের ঝোল
খেতে মিষ্টি হলেও রান্না করার সময় নাকি উৎকট গন্ধ ছাড়ে এই বিশেষ প্রজাতির বাদুড় ‘ফ্রুট ব্যাট’৷ গুয়াম, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়াসহ এশিয়ার একাধিক দেশে এই বাদুড়ের ঝোলের খুব কদর৷ এটিও রাখা আছে এই জাদুঘরে৷
পচা ডিমও...
চা, লবণ, লেবু ও কাঠের গুঁড়োর সাথে পচানো হয় ডিম৷ কয়েক মাস পর যখন তার রঙ কিছুটা সবুজ হয়ে পড়ে, তখনই তা খেতে পছন্দ করেন চীনের মানুষেরা৷
আগাগোড়া ভেড়া
ইরান ও আফগানিস্তানে সকালে খাওয়া হয় এই খাবার৷ নাম ‘কালে পাচে’৷ ভেড়া বা কখনো গরুর মাথা ও পা সেদ্ধ করে তৈরি এই খাবারটি স্থান পেয়েছে সুইডেনের এই বিচিত্র জাদুঘরে৷
দুর্গন্ধ, তবুও...
প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়ালেও জাপানিরা ‘নাত্তো’ বা এক ধরনের পচা সয়াবিন খেতে খুব পছন্দ করে৷ মূলত সর্ষেবাটা দিয়েই খাওয়া হয় এই আজব খাবারটি৷
‘জেল-ও’ আছে
‘জেল-ও’র পোশাকি নাম জেলাটিন, যা বিভিন্ন জ্যাম বা জেলি বানানোর জন্য প্রয়োজন হয়৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক সময় ঘরে ঘরে তৈরি হতো ‘জেল-ও’ দিয়ে বানানো সালাদ৷এখন সেই চল উঠে গেলেও এই জাদুঘরে রয়ে গেছে তার ছোঁয়া৷