সুইজারল্যান্ড কেনো যাবেন?
সুইজারল্যান্ডের বিশেষত্ব কী? এর বিশেষত্ব এক কথায় বলে শেষ করা যাবে না৷ হাইডি থেকে আল্পস, চকলেট থেকে টানেল একনজরে দেশটির বিশেষত্ব জেনে নিন৷
পাহাড়ের ডাক
আল্পস ঘেরা সুইজারল্যান্ডের যেদিকে তাকানো যায়, মনে হয় যেনো পোস্টকার্ডে আঁকা ছবি৷ গরুদের চারণভূমিগুলো ভীষণ সুন্দর৷ হাইকারদের জন্য স্বর্গ হিসেবে পরিচিত সুইজারল্যান্ডে ঘুরতে গেলে ইয়ুংফ্রাও, মোনশ বা আইগের চূঁড়া দেখতে যাওয়া উচিত৷ আর আছে ‘ম্যাটারহর্ন’: উচ্চতা ৪ হাজার ৪৭৮ মিটার, বিশ্বে যে পাহাড়ের ছবি সবচেয়ে বেশিবার তোলা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়৷
সুউচ্চ এবং দ্রুতগামী
ছোট্ট এই দেশটিতে ১৮শ’রও বেশি রেললাইন রয়েছে৷ সবচেয়ে বিখ্যাত হল সেরমাট থেকে সেন্ট মরিৎসগামী গ্ল্যাসিয়ার এক্সপ্রেস৷ বিশ্বের অন্যতম সুন্দর রেলপথ এটি৷ ২০০৮ থেকে এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে৷
গরু এবং গরুর ঘণ্টা
‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবিটির কারণে সুইজারল্যান্ডের এই গরুর ঘণ্টা ভারতীয় উপমহাদেশে এখন সুপরিচিত৷ এই দেশে সুন্দর গরুর প্রতিযোগিতা, গরুর দৌড় প্রতিযোগিতাসহ গরুকে ঘিরে নানা আয়োজন হয়ে থাকে এবং গরুকে কোনো রকম আঘাত করা যাবে না৷
পনীরের দেশ
সুইজারল্যান্ডকে পনীরের দেশ বলা যেতে পারে৷ বছরে সেখানকার মানুষ ২০ হাজার টন চিজ বা পনীর খায়৷
আলপাইন সাউন্ডস
আল্পহর্ন এখন সুইজারল্যান্ডের জাতীয় প্রতীক হিসেবে বিবেচিত৷ কাঠের তৈরি এই বাঁশি থেকে যে শব্দ বের হয় তা ১০ কিলোমিটার দূর থেকে শোনা যায়৷ বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা আল্পহর্ন এর দৈর্ঘ্য ৪৭ মিটার৷
বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ভালো প্রকৃতির কুকুর
আল্পসের সবচেয়ে সুপরিচচিত কুকুর হল সেন্ট বার্নার্ডস৷ এদের মধ্যে ব্যারি নামের একটু কুকুর তারকা খ্যাতি পেয়েছে৷ ১৮১৪ সালে মৃত্যুর আগে কুকুরটি অন্তত ৩০ জনের জীবন বাঁচিয়েছে৷ বার্নের ন্যাচরাল হিস্ট্রি জাদুঘরে গেলে ব্যারিকে দেখতে পারবেন আপনি৷
হাইডির বিশ্ব
সুইজারল্যান্ডের এই মেয়েটির গল্প পুরো বিশ্বের কাছে পরিচিত৷ মাইয়েনফেল্ড গ্রামের মেয়ে হাইডিকে নিয়ে উপন্যাসটি লিখেছিলেন ইয়োহানা স্পিরি, যা এখন পর্যন্ত ৫ কোটি কপি বিক্রি হয়েছে৷
চকলেট
সুইজারল্যান্ডের চকলেট পৃথিবী বিখ্যাত এর মিষ্টতা এবং মসৃণভাবের জন্য৷
সুইস আর্মি নাইফ
১৮৯৭ সালে প্রথম তৈরি হয় সুইস ছুড়ি৷ তখন এটি ছিল ‘অফিসার্স পকেট নাইফ’৷ আর এখন সুইজারল্যান্ডের সর্বত্র পাওয়া যায় এই চাকু৷ এমনকি গোলাপি রঙের এবং ইউএসবি স্টিকযুক্ত৷
সুইস আর্মি নাইফ
১৮৯৭ সালে প্রথম তৈরি হয় সুইস ছুড়ি৷ তখন এটি ছিল ‘অফিসার্স পকেট নাইফ’৷ আর এখন সুইজারল্যান্ডের সর্বত্র পাওয়া যায় এই চাকু৷ এমনকি গোলাপি রঙের এবং ইউএসবি স্টিকযুক্ত৷
টানেলের দেশ
সুইজারল্যান্ডে ১৩শ’রও বেশি টানেল রয়েছে৷ যেগুলো দিয়ে ডেনমার্ক থেকে সিসিলি অব্দি যাতায়াত করা যায়৷ গটহার্ড বেস টানেল ৫৭ কিলোমিটার লম্বা এবং বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ রেলওয়ে টানেল৷
সুইজারল্যান্ড আছে অন্যখানেও
ঊনবিংশ শতাব্দীতে এসে সুইজারল্যান্ডের মত দৃশ্য আছে এমন জায়গাগুলোর নাম রাখা হয় দেশটির নামে৷ যেমন: জার্মানিতে সাক্সন সুইজারল্যান্ড (ছবিতে দেখা যাচ্ছে) এবং যুক্তরাষ্ট্রে লিটল সুইজারল্যান্ড৷ বর্তমানে বিশ্বের ২০০টিরও বেশি এলাকা আছে সুইজারল্যান্ডের নামে৷