1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সীমান্ত হত্যা দুঃখজনক, এটা ভারত সরকারের কৌশল নয়’

১৯ জুন ২০২০

সীমান্তে বিএসএফ ও বিজিবি সংঘাত খুব দুঃখজনক৷ কিন্তু বাংলাদেশকে চাপে রাখতে এটা ভারত সরকারের কৌশল নয় বলে মনে করেন দেশটির অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্য৷

https://p.dw.com/p/3e3rg
DW Khaled Muhiuddin Asks Talkshow | Khaled Muhiuddin
ছবি: DW

ডয়চে ভেলে বাংলার ইউটিউব টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জনাতে চায়’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘বিজিবি ও বিএসএফ এর মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে যে ঝগড়া বা সংঘাত হয় সেটাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীরও সমর্থন নেই, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও এটা সমর্থন করেন না৷

তবে স্থানীয়রা অবৈধভাবে দুইদেশে যেভাবে যাতায়াত করে সেটা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করা উচিত৷’’

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘‘সীমান্তে জোর যার মুলুক তার নীতিই অনুসরণ করা হয়৷ চীন-ভারত সীমান্তে সংঘর্ষ হলেও দুই দেশের শক্তির ভারসাম্য থাকায় তারা যুদ্ধে যাবে না৷ কিন্তু বাংলাদেশ ও ভারতের বেলায় বিষয়টা তেমন না৷ দুই দেশের মধ্যে ‘সো কলড’ বন্ধুত্ব থাকলেও এই অঞ্চলে সীমান্তে আমরা ভারতের যে যুদ্ধংদেহী রূপে দেখতে পাই, যে মারকুটে ভাব দেখতে পাই সেটা চীন, পাকিস্তান এমনকি নেপালের বেলাতেও দেখতে পাই না৷ যে কারণে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মনে ভারতের প্রতি এ ধরনের বিদ্বেষ তৈরি হয়েছে৷’’

এর জবাবে জেনারেল (অবঃ) উৎপল উল্টো প্রশ্ন ছোড়েন৷ বলেন, ‘‘ভারতের কয়টা আর্মি ইউনিট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মোতায়েন করা হয়েছে?

‘‘প্রতিবেশী কতটা হুমকি সেই পর্যালোচনা করে, কে বন্ধু, কে বেশি বন্ধু নয়, কাকে বিশ্বাস করা যায়, কাকে করা যায় না তার ভিত্তিতে আর্মি মোতায়েন করা হবে৷ এখন মাদকপচার বা পণ্যের অবৈধ পাচার বন্ধে দুই দেশে সীমান্ত রক্ষী রয়েছে৷ আমি আবারও বলছি, তাদের মধ্যে ঝগড়া বা সংঘাত খুবই দুঃখজনক৷ কিন্তু বাংলাদেশকে চাপে রাখার নীতি ভারত সরকারের নেই৷’’

অনুষ্ঠানে গ্যালওয়াল উপত্যকায় চীন-ভারত সীমান্তে সাম্প্রতিক রক্তক্ষয়ী সংঘাতের বিষয়টিও উঠে আসে৷

এ বিষয়ে জেনারেল উৎপল বলেন, চীন সেখানে ডার্টি গেম খেলেছে৷ এর প্রতিকারে ইউনিট থেকে হয়তো বদলাও নেয়া হবে, কিন্তু যুদ্ধ অনেক বড় বিষয়৷ পরমাণু অস্ত্র শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই৷ তিনি বলেন, ‘‘চীনের জন্য ভারত ৭৮০ কোটি মার্কিন ডলারের বিশাল বাজার৷ স্বাভাবিকভাবেই চীন এ বাজার হাতছাড়া করতে চাইবে না৷ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অত্যন্ত চালাক মানুষ৷’’

অধ্যাপক নজরুলও মনে করেন ভারত যুদ্ধে জড়াবে না৷ বলেন, ‘‘ভারত যতই যুদ্ধংদেহী মনোভাব দেখাক বা তারা চলচ্চিত্রে যতই কল্পিত যুদ্ধ জিতুক, ভারতের কিন্তু বৈদেশিক নীতিতে একটা কৌশলগত অবস্থান রয়েছে৷ ভারত বরাবরই আকসাই চীন তাদের অংশ বলে দাবি করে৷ কিন্তু চীন যখন সেটা দখল করে নিল, ভারত আর উচ্চবাচ্য করেনি৷ চীন গালওয়ান ভ্যালিতে অনেকটা ঢুকে গেছে৷ তারপরও ভারত চুপ আছে৷ কারণ, দুই দেশ পরষ্পরের উপর নানা কারণে নির্ভরশীল৷ আর কারোনার এই সময়ে যদি দুই দেশ সীমিত আকারেও যুদ্ধে জড়ায় তবে অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসবে৷ তাই আমার মনে হয় এই সংঘাতের অবসান এখানেই হবে৷’’

এসএনএল/এফএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান