1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সীতাকুণ্ড: নিহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা

৬ জুন ২০২২

সীতাকুণ্ডের বাতাসে পোড়া দেহের গন্ধ। নিহত এখনো পর্যন্ত ৪৯। নিহত ও আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা।

https://p.dw.com/p/4CJTR
বাংলাদেশ
ছবি: Al Mahmud BS/REUTERS

সরকার এবং বিএম টার্মিনাল কন্টেইনার আলাদা আলাদা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে নিহত ও আহত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এ বিষয়ে সার্বিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর কবির নানক। শনিবার গভীর রাতে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ''ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সরকার তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেবে।'' নিহতদের মধ্যে নয়জন দমকলকর্মী আছেন। পুলিশকর্মীরাও আহত হয়েছেন। দুইশয়েরও বেশি মানুষ আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি।

হতাহতদের জন্য নগদ এক কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। নিহতদের দাফনের জন্য এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য এই অর্থ ব্যয় হবে বলে জানানো হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য এক হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেটও দেওয়া হয়েছে।

শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নিহত ব্যক্তিদের জন্য দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। আহতদের জন্য বরাদ্দ মাথা পিছু ৫০ হাজার টাকা। শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে এই অর্থ সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেন। দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য প্রয়োজন হতাহতদের তথ্য। সে জন্য ১৩৪ সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহ করে তারা মন্ত্রণালয়ের কাছে দ্রুত পৌঁছে দেবে।

এর আগে রোববার সকালে ডিপোতে গিয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো আশরাফ উদ্দীন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা এবং প্রাথমিকভাবে আহতদের ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা জানান।বিএম কন্টেইনার কর্তৃপক্ষ নিহতদের পরিবার পিছু ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। রোববার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএম কন্টেইনারের মালিক প্রতিষ্ঠান স্মার্ট গ্রুপের জিএম (প্রশাসন) অবসরপ্রাপ্ত মেজর শামসুল হায়দার সিদ্দিকী এই তথ্য জানান। পাশাপাশি যারা বেশি আহত হয়েছেন, অঙ্গহানি হয়েছে তাদের ছয় লাখ এবং কম আহতদের চার লাখ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। নিহতদের কারো পরিবারে শিশু থাকলে তারা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত সমপরিমাণ বেতন প্রতি মাসে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ভয়াবহ আগুন সোমবার সকালেও পুরোপুরি নেভেনি। দমকলকর্মীরা এখনো ধ্বংসস্তূপে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ডিপোতে রাসায়নিক থাকার খবর না জানানোর জন্যই এমন পরিস্থিতি হলো বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন।

এসজি/জিএইচ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)