1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়া বিষয়ে রাশিয়ার ভেটো

১ মার্চ ২০১৭

এই নিয়ে সাতবার সিরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যাপারে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পেশ করা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করল রাশিয়া৷ এবার অবশ্য চীন ও বলিভিয়াও যোগ দিয়েছে তাদের সঙ্গে৷

https://p.dw.com/p/2YQiB
UN Sicherheitsrat in New York
জাতিসংঘে রাশিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত ভেটো দিতে হাত তুলেছেনছবি: Reuters/M. Segar

ব্রিটেন, ফ্রান্স আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুত করা খসড়া প্রস্তাব পাস হলে সিরিয়ার কাছে কেউ হেলিকপ্টার বিক্রি করতে পারত না কিংবা কোনো দেশ সিরিয়াকে হেলিকপ্টার সরবরাহ করতে পারতনা৷ এছাড়া সিরিয়ার সরকারি ও সামরিক কয়েক ব্যক্তির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও তাঁদের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারিরও প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল৷

জাতিসংঘের এক তদন্তে জানা গেছে, সিরিয়ার সরকার হেলিকপ্টারে করে গুচ্ছ বোমা নিক্ষেপ করেছে যেগুলোতে নিষিদ্ধ ক্লোরিন গ্যাস ছিল৷ তবে রাশিয়া বলছে, সিরীয় সরকার যে তার শত্রুদের বিরুদ্ধে ক্লোরিন গ্যাস ব্যবহার করেছে তার পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ নেই৷

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, সিরিয়ার উপর এখন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ঠিক হবে না, কারণ জেনেভায় এখন শান্তি আলোচনা চলছে

সিরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে নয়টি ভোট পড়েছে৷ রাশিয়া, চীন আর বলিভিয়া প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়৷ আর কাজাখস্তান, ইথিওপিয়া আর মিশর ভোটদান থেকে বিরত থাকে৷

উল্লেখ্য, নিরাপত্তা পরিষদে কোনো প্রস্তাব পাস হতে হলে কমপক্ষে নয় সদস্যকে পক্ষে থাকতে হয় এবং কোনো ভেটো থাকলে হবে না৷ ভেটো দেয়ার ক্ষমতা আছে শুধু যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও ব্রিটেনের৷

২০১৩ সালের কথা

ঐ বছরের ২১ আগস্ট সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসের একটি অংশে রাসায়নিক অস্ত্রের হামলায় শত শত মানুষ প্রাণ হারান৷ ঐ হামলার পরের মাসে নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ার সব রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার প্রস্তাব পাস হয়৷ আলোচিত ঐ হামলা চালানোর কথা স্বীকার না করলেও সিরীয় সরকার জাতিসংঘের ঐ প্রস্তাব মেনে নিয়েছিল৷ এরপর যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে ‘অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রোহিবিশন অফ কেমিকেল উইপন্স’ বা ওপিসিডাব্লিউ-এ যোগ দিয়ে নিজেদের কাছে ১,৩০০ মেট্রিক টন রাসায়নিক উপাদান থাকার কথা জানায় সিরিয়া৷ সেগুলো সব ধ্বংস করা হলেও ওপিসিডাব্লিউ তদন্ত করে দেখছে যে, সিরিয়ায় এখনও অঘোষিত রাসায়নিক উপাদান আছে কিনা৷

জেডএইচ/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য