সিরিয়ায় জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার আইন পাস
২০ এপ্রিল ২০১১জরুরি আইন প্রত্যাহার
জনগণের চাপের মুখে গত শনিবার জরুরি আইন তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ৷ তারই ধারাবাহিকতায় সেদেশের সরকার জরুরি অবস্থা তুলে নিতে নতুন আইন পাস করেছে৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসাদ এই আইনে স্বাক্ষর করলেই তা কার্যকর হবে, অর্থাৎ সিরিয়ায় কয়েক দশক ধরে চলতে থাকা জরুরি অবস্থা বাতিল হয়ে যাবে৷ শুধু তাই নয়, সেদেশের সরকার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আদালত, যেখানে কিনা রাজনৈতিক বন্দিদের বিচার হত, সেটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-বিক্ষোভও অনুমোদন করেছে৷ তবে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ আয়োজনের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতির প্রয়োজন হবে৷
সন্তুষ্ট নয় বিক্ষোভকারীরা
জরুরি আইন প্রত্যাহারের সরকারি সিদ্ধান্ত সিরিয়ার জনগণের জন্য এক বিশাল অর্জন৷ তবে, বিক্ষোভকারীরা কিন্তু তাদের অবস্থান ত্যাগ করছে না৷ সেদেশের হোমস শহরে মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি ছুঁড়েছে পুলিশ৷ প্রত্যক্ষর্শীরা জানিয়েছেন, সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী৷ প্রথমে বিক্ষোভকারীদেরকে সরে যেতে বলা হয়৷ এরপর কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছোঁড়া হয়৷ ওমর নামের একজন বিক্ষোভকারী বিবিসিকে জানিয়েছেন, তিনি কমপক্ষে একজনকে গুলিতে মারা যেতে দেখেছেন৷ গত সপ্তাহান্তে এই শহরেই নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১২ জন বিক্ষোভকারী৷
আন্দোলনরতদের দাবি, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সরকার বিরোধী বিক্ষোভে দুই শত সিরিয় প্রাণ হারিয়েছে৷ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে সিরিয়ার রাজধানীতে দিমাস্কেও৷ সেখানে কয়েক শত মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে৷
মানবাধিকার পরিষদ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার জানিয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে সিরিয়াকে যোগ করা ঠিক হবে না৷ কেননা, সেদেশের মানবাধিকার ভঙ্গের যথেষ্ট রেকর্ড রয়েছে৷ এছাড়া সিরিয়ার জরুরি আইন প্রত্যাহারের বিষয়টি পরিষ্কার নয় বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মার্ক টোনার৷ বিশেষ করে নতুন আইনে বলা হচ্ছে, বিক্ষোভ সমাবেশ করতে হলে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি লাগবে৷ টোনারের মতে, এমন হলে নতুন আইনও জরুরি আইনের মতোই নিয়ন্ত্রণপ্রবণ থেকে যাবে৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা