প্রশংসায় ভাসছেন পাকিস্তানের এক নারী পুলিশ
২৬ নভেম্বর ২০১৮২৩ নভেম্বর সকালে কাজে যাওয়ার সময় চীনা কনস্যুলেটে হামলার ঘটনা শোনেন সুহাই৷ সঙ্গে সঙ্গে রওনা হন ঘটনাস্থলে৷ সেখানে গিয়ে তাঁর দুই সহকর্মীকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এবং দেখেন যে, তিনজন সন্ত্রাসী কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশের পথ উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে৷ তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ‘‘আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি দু'পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হচ্ছে আর ঘন ঘন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে, চারপাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন৷'' ঠিক সেই মুহূর্তে তিনি একটা অবস্থান ঠিক করে হামলাকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া শুরু করেন এবং ফোনে আরো ফোর্স পাঠানোর তাগিদ দেন৷ এরপর আরো পুলিশ এলে দুই ঘণ্টার সংঘর্ষের পর তাঁরা কনস্যুলেটের ভেতরে প্রবেশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন৷
সুহাই যখন কনস্যুলেটের ভেতর প্রবেশ করেন, সেখানে একজন চীনা নারীএবং চারজন পাকিস্তানী ছিলেন৷ নারীটি তাঁকে জড়িয়ে ধরেন৷
কমান্ডোদের সঙ্গে পিস্তল উঁচিয়ে তাঁর গুলি ছোঁড়ার দৃশ্য মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে৷ এই সাহসিকতার জন্য তাঁকে দেশটির পুলিশ কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে৷ ৩০ বছর বয়সি সুহাই এখন পাকিস্তানের নারীবাদী আইকনে পরিণত হয়েছেন, কেননা, পাকিস্তানে নারী পুলিশের সংখ্যা হাতে গোণা৷ তবে সুহাই মনে করেন, সেদিনের প্রকৃত বীর শহীদ দুই পুলিশ কর্মকর্তা, যাঁরা দীর্ঘক্ষণ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন দিয়েছেন৷
শুক্রবারের ঐ হামলায় দুইজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৪ জন নিহত হন৷ খুব শিগগিরই সুহাই পদোন্নতি পাবেন বলে শোনা যাচ্ছে৷ আর তাহলে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে তিনি হবেন দ্বিতীয় নারী, যার পদমর্যাদা অ্যাসিসটেন্ট সুপারিটেন্ডেন্টের উপরে হবে৷
সিন্ধ প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটা ছোট্ট গ্রামে সুহাইয়ের বেড়ে ওঠা৷ এরপর চার্টার্ড অ্যাকাউটেন্ট হওয়ার জন্য পড়ালেখা করেছিলেন তিনি৷ পরে সিদ্ধান্ত বদলে পুলিশবাহিনীতে যোগ দেন৷
এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)