সালমান রুশদিনামা
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ব্রিটিশ ভারতীয় এই লেখকের বিখ্যাত রচনাগুলো৷
কুইক্সোট (২০১৯)
সালমান রুশদির কুইক্সোট আধুনিক যুগের ‘ডন কুইকসোট’ এর পুনর্নির্মাণ৷ এটি এবারের বুকার পুরষ্কারের জন্য দীর্ঘদিন তালিকাভুক্তও ছিল৷
মিডনাইট চিলড্রেন (১৯৮১)
মিডনাইট চিলড্রেন লিখে সাহিত্য অঙ্গনে রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি৷ এটি আসলে ভারতের স্বাধীনতার প্রতিলিপি৷ বইটি ১৯৮১ সালে বুকার পুরষ্কার জিতে, এটি বুকারের সেরা হিসেবেও বিবেচিত হয়৷
দ্য স্যাটানিক ভার্সেস (১৯৮৮)
রুশদির চতুর্থ উপন্যাস ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশের পর বিশ্বেজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়৷ উপন্যাসে মুসলমানদের বিশ্বাসকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে৷ এজন্য ইরানের নেতা আয়াতোল্লাহ খোমেনি রুশদিকে হত্যার ফতোয়াও জারি করেন৷ এরপর আত্মগোপনে চলে যান তিনি৷
দ্য গ্রাউন্ড বেনেথ হার ফেট (১৯৯৯)
‘দ্য গ্রাউন্ড বিনেথ হার ফেট’ এ গীতিকথা যোগ থাকায় এটি বেশ আলোচনার জন্ম দেয়৷ রুশদির এই রচনাকে আধুনিক রক সংগীতের বিকল্প ইতিহাস বলেও মনে করা হয়৷
লুকা অ্যান্ড দ্য ফায়ার অব লাইফ (২০১০)
রুশদি বাচ্চাদের জন্যও বই লিখেছেন৷ নিজের ১৩ বছর বয়সের ছেলের কথা মাথায় রেখে ‘লুকা অ্যান্ড দ্য ফায়ার অব লাইফ’ নামের সিক্যুয়েলটি লিখেন তিনি৷
জোসেফ আন্তন: এ মেমোয়ার (২০১২)
লেখক জোসেফ কনরাড এবং আন্তন চেখভকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জোসেফ আন্তন ছদ্মনাম ব্যবহার করেছিলেন রুশদি৷ ফতোয়ার কারণে রুশদির নয় বছর আত্মগোপনে থাকার ঘটনাগুলো এখানে তুলে ধরা হয়েছে৷ ওই সময় তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটিয়ে আরও দুটি বিয়ে করেন৷
টু ইয়ার্স, এইট মানথ অ্যান্ড টুয়িন্ট এইট নাইটস (২০১৫)
এই বইটি প্রকাশের পর রুশদিকে ফ্র্যাঙ্কফুর্ট বই মেলায় মূল বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়৷ এর প্রতিবাদে ইরান ওই বই মেলা বর্জন করেছিল৷ কারণ রুশদির ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ উপন্যাসে মুসলমানদের বিশ্বাসকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে অভিযোগ তোলে আয়াতোল্লাহ খোমেনি রুশদিকে হত্যার ফতোয়া জারি করেন৷
হোম (২০১৭)
নন-ফিকশনও লিখেছিলেন রুশদি৷ যেমন- ইমাজিনারি হোমল্যান্ডস: অ্যাসেজ অ্যান্ড ক্রিটিসিজন, ১৮৮১-১৯৯১ (১৯৯২)৷ উপরের ছবিতে তিনি ২০১৭ সালের বই ভিনটেজ মিনস সিরিজের ‘হোম’ প্রদর্শন করছেন৷