সালজবুর্গ ভ্রমণের ৭টি কারণ
সরু গলি, প্রশস্ত চত্বর, আল্পসের অপূর্ব সৌন্দর্য, সুরস্রষ্টা মোৎসার্টের জন্মস্থান সব মিলিয়ে অস্ট্রিয়ার এই শহরটি ভ্রমণের এক আদর্শ জায়গা৷ এছাড়া গ্রীষ্মে সালজবুর্গে যে উৎসব হয়, তা ইউরোপের অন্যতম সুন্দর উৎসবগুলোর একটি৷
সালজবুর্গ উৎসব
প্রতি গ্রীষ্মে তারকা আর সেলিব্রেটিদের গন্তব্যস্থলে পরিণত হয় সালজবুর্গ৷ ২০শে জুলাই থেকে ৩০ শে আগস্ট পর্যন্ত অস্ট্রিয়ার এই চতুর্থ বৃহত্তম শহরটিতে তারাদের মেলা বসে৷ প্রায় ২০০টি কনসার্ট, অপেরা এবং থিয়েটার চলে ৪০ দিন ধরে৷ এই উৎসবে যোগ দিতে বিশ্বের ৮০টি দেশ থেকে পর্যটকরা আসেন৷
সুরস্রষ্টা মোৎসার্টের জন্মস্থান
ভল্ফগাং আমেডিউস মোৎসার্ট ১৭৫৬ সালে গেট্রাইডেগাসে ৯– এই বাড়িটিতে জন্মেছিলেন৷ বর্তমানে এটি জাদুঘর৷
গেট্রাইডেগাসে
বছরের যে-কোনো সময় এই রাস্তাটি আপনাকে আকর্ষণ করবে৷ প্রতিটি দোকানের মাথায় লোহার কারুকাজ করা পাতে নাম লেখা রয়েছে৷ এছাড়া আছে বেশ কিছু পাব৷
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য
মোৎসার্টের সময় থেকে শহরের পুরোনো এলাকায় বা ‘ওল্ড টাউনে’ সরু গলি এবং বড় বড় চত্বরগুলো ঠিক তেমনি রয়েছে৷ চ্যাপ্টার স্কয়ারের কাপিটালপ্লাৎস অন্যতম সুন্দর জায়গা৷ এর টাওয়ারগুলো শহরের প্রতীক হিসেবে পরিচিত৷ এছাড়া আছে হোহেনসালজবুর্গ দুর্গ, যেটি ইউরোপের মধ্যযুগের দুর্গগুলোর মধ্যে বৃহত্তম৷ ১৯৯৬ সাল থেকে সালজবুর্গের ওল্ড টাউন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যোর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে৷
সালজবুর্গের ব্যারাক ভবন
ষোড়শ শতাব্দীতে সালজবুর্গের প্রিন্স-আর্চবিশপরা তাদের ক্ষমতা এবং প্রতিপত্তি প্রদর্শনের জন্য সেন্ট পিটার্স অ্যাবেকে ইটালীয় ব্যারাক স্টাইলে পুনর্নির্মাণ করেন৷
হেলব্রুন দুর্গে জলকেলি
হেলব্রুন প্রাসাদ সালজবুর্গের প্রিন্স-আর্চবিশপ সম্মানজনক ভবন প্রকল্পের অংশ৷ পানি ও ফোয়ারা সম্বলিত এর নির্মাণ শৈলী বছরে ৩ লাখ পর্যটককে আকর্ষণ করে৷ এখানে গেলে আপনি শুকনো অবস্থায় বের হতে পারবেন না. কেননা, বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে আছে ফোয়ারা৷ আপনার পায়ের চাপে বেরিয়ে আসবে পানি আর আপনাকে ভিজিয়ে দেবে৷
সালজবুর্গের সবচেয়ে রোমান্টিক বিয়ে
গ্রীষ্মের সপ্তাহান্তে মিরাবেল প্রাসাদে বাগদত্ত যুগলদের লাইন লেগে যায়৷ মর্মর পাথরের এই প্রাসাদকে তারা বেছে নেন স্বপ্নের বিবাহ অনুষ্ঠানের জন্য৷ এই পার্কের দু’পাশে যে গাছগুলো রয়েছে, তা পৌঁছে গেছে হোহেনসালজবুর্গ দুর্গ পর্যন্ত৷