সার্কাসের দিন শেষ হলো বলে
শীতকাল মানে যেমন বনভোজন, তেমনই সার্কাস৷ কিন্তু বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনের জেরে যবে থেকে সার্কাসে জীবজন্তুর খেলা নিষিদ্ধ হয়েছে, সার্কাসের আকর্ষণও ফুরিয়েছে৷
বিজ্ঞাপনে হাজির
সার্কাস এসেছে শহরে শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে৷ তার বিজ্ঞাপনও পড়েছে যথারীতি৷ বিজ্ঞাপন সগর্বে বলছে আফ্রিকান খেলোযাড়দের কথা৷ কিন্তু তাদের খেলায় হাততালিও জুটছে না, এতই সাধারণ মানের৷
নির্জন মাঠ
কিন্তু লোক কই সার্কাসে! ছুটির মরশুমে দুপুরের শোয়ে গিয়ে দেখা গেল শুনশান সার্কাসের মাঠ৷
দর্শক আসছে না
ফটক পেরিয়ে সার্কাসের মূল তাবুর মধ্যে ঢোকার জন্যে যেখানে হুড়োহুড়ি বাধত, সেখানে একজন দর্শকও নেই!
লাল কার্পেট সার
অথচ দর্শকদের স্বাগত জানাতে সব আয়োজন আছে৷ নকশা করা লাল কার্পেটও পাতা৷ কিন্তু সেখানে কারও পা পড়ে না৷
গুটিকয় দর্শক
সার্কাসের মূল এরিনার অবস্থা আরও করুণ৷ শো চলছে, কিন্তু নব্বই শতাংশ আসনই খালি৷
৪০ থেকে ৪
আগে ৪০ রকমের পশুপাখি খেলা দেখাত, এখন স্রেফ কুকুর, পাখি, হাতি, আর ঘোড়া৷ কিন্তু তাদের ছবি তোলাও বারণ, আইনে আটকায়৷
বিদায় সার্কাস?
পরের বছর আবার তাঁবু পড়বে কি? অনিশ্চিত৷ তবে নিশ্চিত একটা জিনিসই৷ ভারতীয় সার্কাসকে বিদায় জানানোর সময় এসেছে৷