1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস

৩ মে ২০১৬

তেসরা মে, ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে৷ কিন্তু বিশ্ব জুড়ে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিপন্ন; সাংবাদিকদের ধরপাকড় ও নিপীড়নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1Igyg
প্রতীকী ছবি
ছবি: DW/D. Olmos

বিশ্বের মানচিত্র দেখলেই বোঝা যাবে ম্যাপের সবুজ অংশগুলিতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মোটামুটি সুরক্ষিত হলেও, বিশ্বের একটি বড় অংশ লাল, অর্থাৎ এখানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ কিংবা বিপন্ন৷

তার প্রমাণ পাওয়া গেছে এ বছরের প্রেস ফ্রিডম ডে'র আগের দিন পর্যন্ত৷ সোমবার ইসরায়েলের একটি সামরিক আদালত এক ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে বিনা অভিযোগে ও বিনা বিচারে চার মাস আটকে রাখার নির্দেশ দেয়৷ ওমর নাজালকে গত ২৩শে এপ্রিল ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীর ও জর্ডানের সীমান্তে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তিনি তখন বসনিয়ায় ইউরোপিয়ান ফেডারেশন অফ জার্নালিস্টস-এর একটি সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে চলেছিলেন৷

৫৪ বছর বয়সি নাজাল ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সিন্ডিকেট পিজেএস-এর সদস্য৷ সহিংসতার প্রচারী, রামাল্লার এমন একটি টেলিভিশন কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বিভাগ জানিয়েছে, যদিও নাজাল সংশ্লিষ্ট সংস্থাটির সঙ্গে তাঁর সংযোগ বেশ কয়েক মাস আগেই ছিন্ন করেছিলেন৷

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে অধিকাংশ দেশে শুধু সরকারই নয়, সাধারণ মানুষও বিশেষ মাথা ঘামান না; যার একটি উদাহরণ এই টুইট, যেখানে ভারতে ক্রিকেটের খবর আর ২০১৬ সালের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইন্ডেক্সে ভারতের ১৩৩তম স্থানে থাকার খবর পাশাপাশি দেখানো হয়েছে৷

ওদিকে রবিবার রাত্রে মিশরীয় সাংবাদিক ইউনিয়নের মুখ্য কার্যালয় থেকে দু'জন সাংবাদিককে আটক করার ঘটনা নিয়ে কায়রো উত্তাল৷ বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা অবস্থান ধর্মঘট থেকে শুরু করে পথবিক্ষোভ, সব কিছুই করার চেষ্টা করেছেন ও আজ মুক্ত গণমাধ্যম দিবসেও করছেন – পুলিশ ব্যাপকভাবে বাধা দেওয়া সত্ত্বেও৷

গ্রেপ্তারকৃত দুই সাংবাদিক আমর বদর ও মাহমুদ আল-সাকা ‘জানুয়ারি গেট' নামধারী একটি ওয়েবসাইটের হয়ে কাজ করেন৷ উভয়েই প্রেসিডেন্ট আল-সিসির সরকারের সমালোচক৷ বস্তুত তাদের গ্রেপ্তার থেকে নতুন করে প্রমাণ হচ্ছে, নিউ মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়া কিভাবে রাজনৈতিক সচেতনতা ও প্রতিবাদের মুখ্য অস্ত্র ও মূল রণক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে৷

প্রেস ফ্রিডম ডে-তেই থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা দেশের মিডিয়াকে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, নির্বাহী আদেশটি বাতিল করা হবে না; তার পরিবর্তে অন্য আদেশ জারি হবে৷ থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল প্রেস কাউন্সিল ও থাই জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনসহ একাধিক সাংবাদিক সমিতির প্রধানেরা নির্বাহী আদেশটি প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন, কেননা, ঐ আদেশের বলে যে কোনো ধরনের বিবরণ প্রকাশ নিষিদ্ধ করা যেতে পারে, যদি তা ‘জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে হানিকর' বলে বিবেচনা করা হয়৷ এরপর এক সাংবাদিক ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা জনগণের স্বাধীনতা' এই ধ্বনি দিলে প্রায়ুথ যা বলেন, তার অর্থ, ‘‘সাবধানে থাকবেন, নয়তো বিপদ ঘটতে পারে৷''

দেখা যাচ্ছে যে, প্রেস ফ্রিডম ডে উপলক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী কল্পনা ও সৃজনশীলতার কোনো অভাব নেই, যদিও তার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে৷ যেমন তুলেছেন বাংলাদেশি ব্লগার ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট আশীফ এন্তাজ রবি, যিনি সপ্তাহান্তে হোয়াইট হাউস করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের বাৎসরিক নৈশভোজেও উপস্থিত ছিলেন৷ একটি টিভি টক শো উপস্তাপনা করার এক পর্যায়ে তাঁকে হত্যার হুমকির মুখোমুখি হতে হয়৷ কাজেই তাঁর এই ওয়াশিংটন সফরে রবি বাংলাদেশে অসহিষ্ণুতার পরিবেশ ও সরকারের নিষ্ক্রিয়তার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন৷

এসি/এসিবি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান