সামরিক শিক্ষায় ঝুঁকছে রুশ কিশোর-কিশোরীরা
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ক্রাইমিয়া দখলের পর পশ্চিমা বিশ্ব তাঁর সমালোচনা করলেও দেশে তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে৷ ফলে সামরিক শিক্ষায় আগ্রহী হচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা৷
ক্রাইমিয়া দখল
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রাইমিয়ার দখল নিয়েছিলেন৷ ছবিতে তাঁকে স্বাক্ষরের মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেখা যাচ্ছে৷ পশ্চিমা বিশ্ব এর কড়া সমালোচনা করলেও নিজ দেশে পুটিনের জনপ্রিয়তা বেড়েছে৷ রুশ জাতীয়তাবাদীরা এই ঘটনাকে ‘ক্রাইমিয়ার বসন্ত’ বলে থাকে৷
দেশপ্রেম শিক্ষা
ক্রাইমিয়া দখলের ঘটনায় শুধু পুটিনই প্রশংসিত হননি, ঘটনাটি রুশ তরুণ-তরুণীদের ‘সামরিক ও দেশপ্রেম শিক্ষা’-য় আগ্রহী করে তুলেছে৷ বিশেষ করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে৷
ক্যাডেট স্কুল
ছবিতে দক্ষিণের স্টাভরোপোল অঞ্চলের এক ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষার্থীদের দেখা যাচ্ছে৷ তাদের শারীরিক শিক্ষার পাশাপাশি অস্ত্র চালানো, গাড়ি চালানো, এমনকি প্যারাসুটিং-এর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়৷
জেনারেলের নামে নামকরণ
স্কুলটির নাম আলেক্সেই ইয়ারমোলোভ ক্যাডেট স্কুল৷ উনিশ শতকে রাশিয়ার নামকরা জেনারেল ছিলেন ইয়ারমোলোভ (পোর্ট্রেট ছবি)৷ তাঁর নেতৃত্বে ককেশাস রুশ সাম্রাজ্যের অধীনে এসেছিল৷
জার আমলের শিক্ষা
সেই সময় ‘কসাক্স’ নামে যুদ্ধ প্রশিক্ষণের এক শিক্ষা কর্মসূচি চালু ছিল৷ স্টাভরোপোলের অনেক কিশোর-কিশোরী এখন সেই শিক্ষা নিচ্ছে৷ সঙ্গে জার আমল ও আধুনিক যুগের যু্দ্ধ সম্পর্কে জানছে তারা৷
নিরীহ চাষী!
যখন শান্তি বিরাজ করত তখন কসাক্সদের নিরীহ চাষী মনে হত৷ কিন্তু কেউ তাঁদের সঙ্গে লড়তে আসলে তাঁদের প্রতিহত করার মতো সামর্থ্য ছিল কসাক্সদের৷ সেজন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ছিল তাঁদের৷ দরকার হলে রাশিয়ার সামরিক অভিযানেও অংশ নিত তাঁরা৷ ছবিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়া কসাক্সদের দেখা যাচ্ছে৷
নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সন্তান
ক্যাডেট স্কুলের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই রুশ সেনাবাহিনী কিংবা অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর বর্তমান সদস্যদের সন্তান৷ প্রায় ৪০ শতাংশ প্রশিক্ষণার্থী পরবর্তী সময়ে সামরিক বাহিনী কিংবা নিরাপত্তা বাহিনীতে যোগ দিচ্ছে৷
প্রশিক্ষক
যাঁরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তাঁদের বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ স্থানে কয়েক বছর কাজের অভিজ্ঞতা আছে৷