1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সামরিক খাতে ব্যয় কমাতে যাচ্ছে জার্মানি

২৭ অক্টোবর ২০১০

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্ল-থেওডর সু গুটেনবার্গ জানিয়েছেন, যুদ্ধোত্তর জার্মানিতে সামরিক খাতে এবারেই তারা সবচেয়ে বড় ধরণের খরচ কমাতে যাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/Ppq3
কার্ল-থেওডর সু গুটেনবার্গছবি: AP

তাঁর ভাষ্য, ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে সামরিক বাহিনীর প্রায় এক চতুর্থাংশ জনবল কমিয়ে আনা হবে৷

পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে সামরিক খাতে জার্মানির এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় ধরণের পরিবর্তন হবে এটি৷ এই মঙ্গলবার সরকার নিযুক্ত বিশেষ টাস্ক ফোর্স কমিশনের এতদসংক্রান্ত সুপারিশ উপস্থাপনের পরপরই গুটেনবার্গ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়সংকোচের কথা উল্লেখ করেছেন৷ টাস্ক ফোর্সের এই সুপারিশে সামরিক বাহিনীর জনবল দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার থেকে কমিয়ে এক লক্ষ আশি হাজার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ সুপারিশ এবং টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে - জার্মানির সামরিক বাহিনী বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে যথেষ্ট দক্ষ এবং কার্যকর ভূমিকা রাখছে না৷ তাদেরকে বর্তমান সময়ের উপযোগী উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে হবে৷

টাস্ক ফোর্সের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, পুরো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েই একটি সার্বিক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন৷ টাস্ক ফোর্স সুপারিশ করেছে- রীতিমতো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সামরিক বাহনীর খোল নলচেই বদলে ফেলা প্রয়োজন এবং তা দরকার রাষ্ট্রের বাজেট নিয়ন্ত্রণের স্বার্থেই৷

প্রতিরক্ষামন্ত্রী টাস্কফোর্স কমিশনের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, সরকার ডিসেম্বরের শুরুর দিকে সামরিক বাহিনীর এই কাট-ছাঁট শুরু করতে যাচ্ছে৷ তিনি আরো বলেন, এক্ষেত্রে যৎসামান্য রদবদলে কাজ হবে না, কেননা আমাদের সামরিক বাহিনীর দক্ষতা বর্তমান সময়ের জন্য যথেষ্ট নয়৷

জার্মানির সামরিক বাহিনী বিশ্বের শান্তি রক্ষার্থে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে৷ যদিও সামরিক বাহিনীকে দেশের বাইরে পাঠানোর বিষয়টি এদেশের মানুষ বরাবরই এড়িয়ে চলেছে৷ বর্তমানে প্রায় সাত হাজার জার্মান সৈন্য দেশের বাইরে রয়েছেন৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেনাবাহিনী সম্পর্কে বলেছেন, তাদেরকে দ্রুতম এবং দক্ষ বাহিনীতে রূপান্তরিত করতে হবে৷

ফেডারেল লেবার অফিসের প্রধান ফ্রাঙ্ক-ইউর্গেন ভাইজে'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত টাস্কফোর্সের এই প্রস্তাবনায় আরো বলা হয়েছে, ঢিমে তেতালা গতিতে না চলে, ফাইল বাক্সবন্দি না করে রেখে দ্রুত কিভাবে কাজ করা যায় তার স্বার্থেই জার্মান সংসদকে প্রয়োজনেবাধে নতুন আইন পাশ করতে হবে৷ কমিশনের বক্তব্য, এভাবেই কেবল প্রয়োজনীয় ক্রয়ের ক্ষেত্রে কিংবা জরুরি প্রয়োজনে চাহিদা যোগান দেওয়া সম্ভব হবে৷

উল্লেখ্য, জার্মানিকে আগামী চার বছরে প্রায় আশি বিলিয়ন ইউরো তার বাজেট থেকে বাঁচাতে হবে৷ চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলের মধ্য-ডানপন্থী জোট সরকরেরর বক্তব্য - সামরিক ব্যয় কমালে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই প্রায় তেরো বিলিয়ন ইউরো বাঁচানো সম্ভব৷

প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক