সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় জনি ডেপ
চার বছর আগে ছিলেন স্বামী-স্ত্রী, তবে হলিউড তারকা জনি ডেপ আর অ্যাম্বার হার্ড এখন আদালতে পরস্পরের মুখোমুখি৷ স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন ডেপ৷ কে জেতেন তা দেখার অপেক্ষায় বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ...
মামলার কারণ
বিচ্ছেদের এক বছর পর, অর্থাৎ ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টে একটা লেখা লিখেছিলেন অ্যাম্বার হার্ড৷ মতামতধর্মী সেই লেখায় অসুখী দাম্পত্য জীবনের নানা কথা তুলে ধরেন ‘অল দ্য বয়েজ লাভ ম্যান্ডি লেন’ ছবির মাধ্যমে প্রথম দর্শকমনে স্থান করে নেয়া অ্যাম্বার৷জনি ডেপের দাবি ওই লেখার মাধ্যমে তার সাবেক স্ত্রী তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়েছেন এবং তাতে তার মানহানি হয়েছে৷ ওপরের ছবিতে অ্যাম্বার হার্ড৷
অ্যাম্বারের অভিযোগ
ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত লেখায় ২৩ বছরের বড় সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন অ্যাম্বার হার্ড৷ ওপরের ছবিতে ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফেক্স-এ ফেয়ারফেক্স কাউন্টি সার্কিট কোর্টহাউসে মামলার শুনানিতে অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে তাকে৷
সব অভিযোগ মিথ্যা?
মামলার বিবরণে জনি ডেপ দাবি করেন, তিন বছরের (২০১৫ থেকে ২০১৭) যৌথ জীবনে তিনি কখনোই অ্যাম্বারের গায়ে হাত তোলেননি বা তার ওপর যৌন নির্যাতন চালাননি৷ ছবিতে ফেয়ারফেক্স কাউন্টি সার্কিট কোর্টহাউসে নিজের উকিলের সঙ্গে কথা বলছেন অ্যাম্বার, দূর থেকে তাকে দেখছেন জনি ডেপ৷
জনি ডেপের মেসেজ
তবে অ্যাম্বার হার্ডকে পেটানো বা তার ওপর যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করলেও পুরোনো কিছু টেক্সট মেসেজ তুলে আনায় বিব্রত হতে হয় জনি ডেপকে৷ অ্যাম্বারকে পাঠানো মেসেজগুলো যে তার তা স্বীকার করে ৫৯ বছর বয়সি অভিনেতা বলেন, সেই বার্তাগুলো পাঠিয়েছিলেন খুব কষ্টের সময় এবং সেগুলোর জন্য তিনি লজ্জিত৷ ছবিতে নিজের উকিলকে অ্যাম্বার হার্ডের আলিঙ্গন৷
জনি ডেপের পাল্টা অভিযোগ
মামলার শুনানিতে ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’-খ্যাত জনি ডেপ দাবি করেন, তিনি কখনো কোনো রকমের নির্যাতন না চালালেও অনেকবার তর্কাতর্কির সময় সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার তার সঙ্গে সহিংস আচরণ করেছেন৷
অ্যাম্বারের বক্তব্য
অ্যাম্বার হার্ডও তার বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ, অর্থাৎ ডেপকে পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ আদালতে তিনি বলেন, মাঝে মাঝে যে বোতল বা অন্য কিছু ছুঁড়ে মারতেন তা ছিল আত্মরক্ষার কৌশল৷
‘আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে’
আদালতে ডেপ বলেন, ‘‘ও (অ্যাম্বার) যখন দাবি করে যে. আমি একজন মাতাল, কোকেইনে আসক্ত, যে কিনা স্ত্রীকে পেটায়... তখনই আমি হেরে গেছি৷ আমার সবকিছু তখনই শেষ হয়ে গেছে৷ মামলার রায় যা ই হোক না কেন, আমাকে সারাজীবনই এটা বয়ে বেড়াতে হবে৷’’
ডেপ-ভক্ত
ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফেক্স-এ ফেয়ারফেক্স কাউন্টি সার্কটি আদালতের বাইরে এক ডেপ-ভক্ত৷ তার হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘‘জনি, আমরা তোমাকে বিশ্বাস করি৷ নিজের ওপর বিশ্বাস রাখো৷’’