1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজরাশিয়া

স্নোডেন এখন রুশ নাগরিক

২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএর গোপন নথিপত্র প্রকাশ করা এডওয়ার্ড স্নোডেনকে সোমবার রাশিয়ার নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে৷ ২০২০ সালে তিনি রাশিয়ায় স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি পেয়েছিলেন৷

https://p.dw.com/p/4HOND
Edward Snowden
এডওয়ার্ড স্নোডেনছবি: Artyom Geodakyan/TASS/picture alliance

স্নোডেনসহ ৭২ জন বিদেশিকে রাশিয়ার নাগরিকত্ব দেয়ার ডিক্রিতে সোমবার সই করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন৷ পরে ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটে তাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়৷

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলছেন, স্নোডেনের মার্কিন নাগরিকত্বে কোনো পরিবর্তন এসেছে কিনা সে ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না৷

তবে ২০২০ সালে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন করার কথা জানিয়েছিলেন স্নোডেন৷ সোমবার এক টুইটে নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি৷

স্নোডেন সম্পর্কে ওয়াশিংটনের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস৷ গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হতে স্নোডেনকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে বলা হয়েছে৷ ন্যায্য বিচার পাওয়ার নিশ্চয়তা পেলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরবেন বলে ২০১৯ সালে জানিয়েছিলেন স্নোডেন৷

২০১৩ সালে রাশিয়ায় আশ্রয়ের আবেদন করেন স্নোডেন৷ তখন থেকে সেখানেই বাস করছেন৷ মাঝেমধ্যে রুশ সরকারের সামাজিক মাধ্যম নীতি নিয়ে তাকে সমালোচনা করতে দেখা গেছে৷

বর্তমানে ৩৯ বছর বয়সি স্নোডেনের স্ত্রী মার্কিন নাগরিক লিন্ডসে মিলও রাশিয়ার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন বলে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা রিয়া নভস্তিকে জানিয়েছেন স্নোডেনের আইনজীবী৷

২০০৯ সালে এনএসএতে প্রাইভেট কন্ট্রাক্টর হিসেবে যোগ দেন স্নোডেন৷ তখন থেকে তিনি এনএসএর কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেন৷ এরপর ২০১৩ সালের মে মাসে অসুস্থতাজনিত ছুটি নিয়ে হংকং যান স্নোডেন৷ সেখানে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানের সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি৷ পরে স্নোডেনের দেয়া তথ্য দিয়ে গার্ডিয়ান অনলাইনে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়৷ পরে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্র ও জার্মানির ডেয়ার স্পিগেলেও স্নোডেনের তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে৷

ইউরোপীয় বিভিন্ন অফিস ও তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের ফোনে আড়ি পেতে এনএসএ তথ্য সংগ্রহ করেছে বলে এসব প্রতিবেদনে দাবি করা হয়৷

২০১৫ সালে জার্মান প্রোসিকিউটররা ম্যার্কেলের ফোনে আড়িপাতা সংক্রান্ত মামলা খারিজ করে দেন৷ ‘অপরাধ আইনের অধীনে অভিযোগ খুব ভালভাবে প্রমাণ করা যায়নি' এই কারণ দেখিয়ে মামলাটি খারিজ করা হয়েছিল৷

এনএসএতে কাজ করার আগে স্নোডেন তিনবছর যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএতে কাজ করেন৷

জেডএইচ/কেএম (রয়টার্স, এপি)