1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাপের দাঁতের আদলে অভিনব সরঞ্জাম

১৭ জুলাই ২০১৮

সাপ ও মাছের কাছ থেকে মানুষের অনেক কিছু শেখার আছে৷ তাদের ক্ষমতা নকল করে যন্ত্রপাতি তৈরি করে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব৷ এমন আবিষ্কার তরান্বিত করতে স্কুলপড়ুয়া ও ছাত্রছাত্রীদেরও উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন৷

https://p.dw.com/p/31WwV
Projekt Zukunft vom 25.03.2018 - Pzud Robbe
ছবি: WWF

ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউটের বায়োনিক্স বিশেষজ্ঞ অলিভার শ্ভার্ৎস অজগর বা অ্যানাকোন্ডার মতো কনস্ট্রিকটর প্রজাতির সাপের মধ্যেও একটি প্রক্রিয়া লক্ষ্য করেছেন৷ তারা তাদের শিকারকে একই পদ্ধতিতে পেঁচিয়ে ধরে৷            

সেই প্রক্রিয়া বুঝতে তিনিসাপের মাথার খুলির কাঠামো খতিয়ে দেখেছেন৷ তাদের দাঁতের সারি পেছনদিকে বাঁকাভাবে সাজানো৷ তার সঙ্গে কি তাদের গেলার প্রক্রিয়ার সম্পর্ক রয়েছে? অলিভার শ্ভার্ৎস মনে করেন, ‘‘কৌশল হলো, তারা উপর ও নীচের চোয়াল পালা করে নাড়াচাড়া করে৷ পেছনের দিকে সাজানো দাঁতের সারি শিকারকে তখন ধীরে ধীরে পেটের দিকে ঠেলে দেয়৷ সেই প্রক্রিয়ার অনুকরণ করে আমরা দুই পাটি দাঁত তৈরি করেছি, যেগুলি পরস্পরের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করে পার্টিকেল ধীরে ধীরে নীচের দিকে ঠেলে দেয়৷   

অনেক প্রযুক্তিগত সমাধানসূত্রের ক্ষেত্রে প্রকৃতি অসাধারণ জ্ঞানভাণ্ডার হতে পারে৷ যেমন অস্থিযুক্ত মাছের লেজের বিশেষ গঠন অসাধারণ প্রভাব সৃষ্টি করে৷ অলিভার বলেন, ‘‘সাধারণত আমি চাপ দিলে মাছের শরীর ফুলে উঠে আমার কাছ থেকে সরে যাবে বলে ধরে নেওয়া হয়৷ অথচ ঠিক এর বিপরীতটাই ঘটে৷ সেটি আমার দিকে ফুলে ওঠে৷''

তথাকঠিত ‘ফিন-রে' কাঠামো গোলাকার শরীরের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেয়৷ নানাভাবে এই গুণ কাজে লাগানো সম্ভব৷ অলিভার শ্ভার্ৎস এমন এক চিমটা তৈরি করেছেন, যা দিয়ে স্নায়ু বা সংযোগকারী টিস্যুর মতো নরম অংশ যত্ন করে তুলে নিয়ে কোথাও বসানো যায়৷   

কিন্তু এই চিমটা বাজারে আনতে তিনি এখনো কোনো বিনিয়োগকারী পান নি৷ অলিভার শ্ভার্ৎস বলেন, ‘‘বায়োনিক্স-এর সমস্যা হলো, সম্পূর্ণ চালু এক প্রোটোটাইপ তৈরি করতে হলে অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন৷ তবে এর সুবিধা হলো, প্রায়ই এমন এক উদ্ভাবন পাওয়া যায়, যার প্রভাব হয় সুদূরপ্রসারী৷ কারণ তার নানা প্রয়োগ পাওয়া যায়৷''

প্রকৃতির কাছ থেকে প্রেরণার শিক্ষা তিনি শিশুদেরও দিতে চান৷ যেমন স্টুটগার্ট শহরের চিড়িয়াখানা তথা বোটানিকাল গার্ডেনে বায়োনিক্স বোঝানোর বুথ তৈরি করে তিনি এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন৷ অলিভার বলেন, ‘‘আমরা লক্ষ্য করেছি, যে শিশুরা স্কুলে জীববিদ্যা ক্লাসে নিজস্ব পর্যবেক্ষণের কোনো সুযোগ পায় না৷ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োলজির ছাত্রছাত্রীরা বিষয় হিসেবে জেনেটিক্স ও মলিকিউলার বায়োলজি চর্চা করলেও নিজস্ব পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের পথে যায় না৷ তাই আমরা এক্ষেত্রে উৎসাহ দিতে চাই৷''  

তাঁর অভিজ্ঞতা হলো, প্রকৃতির মধ্যে উদ্ভাবনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে৷ এবার শুধু আবিষ্কারের অপেক্ষা৷

সাবিনে ফ্র্যুবুস/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য