‘সাত মাস সাগরে থেকে’ ইন্দোনেশিয়ায় ৩০০ রোহিঙ্গা
৭ সেপ্টেম্বর ২০২০‘‘তারা (রোহিঙ্গা) বলছেন, তারা প্রায় সাত মাস সাগরে ছিলেন৷ এই মুহূর্তে তাদের শারীরিক অবস্থা খুবই দুর্বল,’’ বলেন জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার কো-অর্ডিনেটর ওকতিনা৷
সুমাত্রার উত্তর উপকূলের স্থানীয়রা সাগরে কাঠের একটি নৌকা ভেসে থাকতে দেখে রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করেন৷ এরপর গ্রামবাসীরা তাদের খাবার ও কাপড়-চোপড় দিয়েছেন৷
রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘আরাকান প্রজেক্ট’-এর কর্মকর্তা ক্রিস লেওয়া মনে করছেন, মানবপাচারকারীরা হয়ত রোহিঙ্গাদের সাগরে আটকে রেখে তাদের পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায় করছিল৷ ‘‘তাদের (রোহিঙ্গাদের) আসলে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল,’’ বলেন তিনি৷ অবশ্য তিনি এ-ও বলেন, ‘‘আমরা আসলে এখনও পুরো গল্পটা জানি না৷’’
নৌকায় ১০২ জন পুরুষ, ১৮১ জন নারী ও ১৪ জন শিশু ছিলেন৷
এর আগে গত জুন মাসে সুমাত্রার ঐ একই এলাকায় প্রায় ১০০ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছিল৷ তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু ছিলেন৷ তারা প্রায় চার মাস সাগরে ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন৷ এই সময় পাচারকারীরা তাদের মারধর করেছে এবং বেঁচে থাকতে নিজেদের মূত্র পান করতে বাধ্য করেছে বলে সেই সময় অভিযোগ করেছিলেন রোহিঙ্গারা৷
আরাকান প্রজেক্টের ক্রিস লেওয়া বলছেন, সোমবার যারা উদ্ধার হয়েছেন তারা, আর গত জুনে যারা উদ্ধার হয়েছেন তারা, এ বছরের শুরুতে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে পাড়ি দেয়া প্রায় ৮০০ রোহিঙ্গাদের অংশ হতে পারেন৷
এই সময় সাগরে প্রায় ৩০ রোহিঙ্গা মারা গিয়ে থাকতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি৷
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা প্রায়ই নৌকা করে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় যাবার চেষ্টা করেন৷ গত এপ্রিলে করোনা মহামারির সময়ে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ এমন কয়েকটি নৌকা উপকূলে ভিড়তে দেয়নি৷
সোমবার উদ্ধার হওয়া দলটি গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি)
গতবছর জুনের ছবিঘরটি দেখুন...