সাগরের গভীরে বিস্ময়
ইউনেস্কো বিশেষজ্ঞরা বিশ্বের সমুদ্রের তলদেশের এমন পাঁচটি স্পট চিহ্নিত করেছেন যা বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেতে পারে৷ তাদের ধারণা বেশিরভাগ মানুষই এদের খোঁজ জানেন না৷ ছবিঘরে দেখুন সেই ৫টি স্থান৷
গভীরে যাও, অনেক দূরে এবং বিস্মিত হও
কোনো দেশের সীমানার মধ্যে পড়ে না সমুদ্রের এমন পাঁচটি স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দেয়ার কথা ভাবছে ইউনেস্কো৷ এসব এলাকা যেমন সুন্দর, তেমনি বিরল সব প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর বাস সেখানে৷
‘লস্ট সিটি’
মধ্য-আটলান্টিকের প্রায় ৮০০ মিটার গভীরে অবস্থিত এই এলাকায় থাকা অসংখ্য ছিদ্র থেকে মিথেন আর হাইড্রোজেন গ্যাস বের হয়৷ ইউনেস্কোর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেখানকার ইকোসিস্টেম পৃথিবীর অন্য যে-কোনো জায়গার চেয়ে একেবারে ভিন্ন৷ ২০০০ সালে এই ছিদ্রগুলোর দেখা পান বিজ্ঞানীরা৷ তাঁদের ধারণা, প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার বছর ধরে এরকম হচ্ছে৷
কোস্টারিকা থার্মাল ডোম
ক্রান্তীয় প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাঞ্চলে ৫০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে এই স্থানটি৷ ইউনেস্কো এটিকে ‘সামুদ্রিক মরুদ্যান’ হিসেবে উল্লেখ করেছে৷ এখানে বিশাল বিশাল আকারের মাছ, স্তন্যপায়ী এবং হাঙর, টুনা, ডলফিন ও তিমি রয়েছে৷ বিশেষ করে এখানেই আছে নীল তিমি৷ আর বিরল প্রজাতির লেদারব্যাক কচ্ছপও দেখা যায় এখানে৷
সাদা হাঙর ক্যাফে
মেরিন বায়োলজিস্টরা ঠিক এই নামটিই দিয়েছেন৷ আসলে এটি কোনো কফি হাউজ নয়, উত্তর অ্যামেরিকার মেইনল্যান্ড এবং হাওয়াই এর মাঝামাঝি অবস্থান এটির৷ খালি চোখে এটিকে তেমন বিশেষ কিছু মনে হবে না৷ কিন্তু সাদা হাঙর সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এই এলাকায়৷ এখানেই তারা খাবার খায় এবং প্রজনন করে৷
সারগাসো সাগর
ধারণা করা হয় ১৪৯২ সালে কলোম্বাস এই স্থানটি প্রথম ভ্রমণ করেছিলেন৷ বারমুডার দ্বীপগুলো সারাগাসো সাগরের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে৷ এর বিশেষত্ব হলো ভাসমান শৈবাল, মেরিন বায়োলজিস্টরা যাকে বলছেন, ‘ভাসমান স্বর্ণালী রেনফরেস্ট’৷ এছাড়া এলাকাটি ইউরোপীয় ও অ্যামেরিকান ইল মাছদের প্রজনন ক্ষেত্র৷
আটলান্টিকের তীর
ভারত মহাসাগরের আটলান্টিকের তীরে সমুদ্রের ৭০০ থেকে ৪,০০০ মিটার গভীরে প্রবাল প্রাচীর, খাড়ি, সমুদ্র সৈকত এবং লেগুনে দেখা মিলবে বড় বড় বায়ুপরাগী ফুল, চেয়ারের সমান স্পঞ্জ এবং শৈবালের৷ এটি আসলে একটি দ্বীপ, যেটি কয়েক লক্ষ বছর আগে সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছিল৷