1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাকিবের মন্দিরগমন ও ক্ষমাপ্রার্থনা দুটোই সঠিক!

১৭ নভেম্বর ২০২০

কয়দিন ধরে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে বেশ কথা শুনছি৷ মানে যা বুঝলাম সাকিব মোটামুটিভাবে সব পক্ষকে আহত করতে পেরেছেন৷

https://p.dw.com/p/3lOEV
ছবি: Getty Images/AFP

কলকাতার কালিপূজায় উপস্থিত হয়ে একপক্ষকে আহত করেছেন সাকিব, আবার ডিজিটাল হুমকির পর নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়ে আরেক পক্ষকে আহত করেছেন তিনি৷

কিন্তু আমার মতে, তার এই দুটো আচরণই ঠিক আছে৷ ঘোর এই করোনার সময় তিনি যে কলকাতায় কালিপূজায় গেলেন তার নিশ্চয়ই কারণ আছে৷ হয় সাকিব নগদ কোনো প্রাপ্তিযোগে আনন্দিত হয়েছেন বা তাকে দেখে বা পাশে পেয়ে অনেকে আনন্দিত৷

নিজে খুশি বা অন্যকে খুশি, যেকারণই হোক না কেন এটি করার অধিকার তার রয়েছে৷ যদি এর কারণে ইহকালে করোনা আর পরকালে আরও বড় কোনো শাস্তি তিনি পান, সেটিও তিনিই পাবেন৷

আমাদের অনুভূতিতে কেন আঘাত লাগল? তিনি বড় খেলোয়াড় তাকে সবাই ফলো করে এই জন্য? নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ভার সাকিব ভালই নিতে জানেন আর একজন পেশাদার খেলোয়াড়ের পক্ষে কতটা শরীয়তি হওয়া সম্ভব, তা নিশ্চয়ই আবার ভেবে দেখতে পারি আমরা৷

Khaled Muhiuddin
খালেদ মুহিউদ্দীন, প্রধান, ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগছবি: DW/P. Böll

কালিপূজায় সাকিবকে দেখে একজন দা নাকি রামদা নিয়ে সাকিবকে হুমকি দিলেন৷ আমাদের কাজ হলো তার এই বার্তা ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের প্রতি ইঞ্চিতে ছড়িয়ে দেওয়া৷ মানে এই ডিজিটাল দুনিয়ার আগে কেউ কোনোদিন শুনেছে ওইরকম এক বক্তব্য এত নিষ্ঠার সঙ্গে বিতরণের কথা?

যাহোক আলাপে ফিরে আসি৷ সাকিব তার কাজের জন্য মাফ চেয়েছেন৷ এতে আবার অনেকের মনে আঘাত লেগেছে৷ সাকিব তো কাউকে খুশি করতে এটা করতেই পারেন৷ সাকিব ও আমাদের অন্য ক্রিকেটাররা নিয়ম করে হজ ও নামাজের ছবি দেন৷ ভক্তদের কাছে তাদের পরিচিতি বা গ্রহণযোগ্যতা সেরকম একজন হিসেবেই৷ এখন সাকিব তাদের খুশি রাখতে চাইছেন, চাইবেনই তো!

সব শেষে একবছর আগের এই সময়ের কথা মনে করিয়ে দেই৷ জুয়াড়ির সঙ্গে যোগাযোগ না জানানোর দায়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব৷ আমরা দায় দেখছিলাম পাপন সাহেবের আর ষড়যন্ত্র দেখছিলাম ভারতের, মনে পড়ে? এই তত্ত্বে গলা মিলিয়েছিলেন অনেক বোদ্ধাও!

আমরা যেন এত দ্রুত উপসংহারে না আসি, দল করে গলাবাজি করার আগে যেন আরেকটু ভাবার শক্তি পাই৷

গতবছর অক্টোবরের ছবিঘরটি দেখুন...

Khaled Muhiuddin
খালেদ মুহিউদ্দীন ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত।