1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাইবার ঝুঁকি মোকাবেলায় জার্মানির প্রস্তুতি

১৩ জুলাই ২০২২

সাইবার আক্রমণ থেকে বাঁচতে জার্মানি এর নিরাপত্তা বাড়াতে চায়। এটা বহু আগেই করা উচিত ছিল। তবে এক্ষেত্রে বার্লিনকে আরো বেশি আন্তর্জাতিক সহযোগ বাড়াতে হবে।

https://p.dw.com/p/4E3i5
Symbolbild Cyber-Angriff
ছবি: Jakub Porzycki/NurPhoto/picture alliance

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া যখন ইউক্রেন আক্রমণ করে তখন জার্মানির বায়ুবিদ্যুৎ টার্বাইন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনারকনের কর্মীরা দেখলেন তারা তাদের উইন্ডমিলগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। পরে তারা বুঝতে পারলেন এটা একটা সাইবার আক্রমণের কারণে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইট কোম্পানি ভায়াস্যাটের সিস্টেমে কেউ আক্রমণ করেছে এবং ইউরোপজুড়ে অনেকগুলো মডেম বন্ধ করে দিয়েছে। এতেই বিপদে পড়ে এনারকন।

এই ঘটনা প্রমাণ করে যে প্রযুক্তি অবকাঠামোর অনেকগুলো অদৃশ্য স্তর আছে, যেগুলো বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানিগুলোকে যুক্ত রাখে, যার ফলে আমরা কত সহজে সাইবার আক্রমণের মুখোমুখি হতে পারি।

এ অবস্থায় জার্মান সরকার তাদের সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে। বর্তমান জোট সরকারের এটা একটা এজেন্ডা। তারা যেসব উদ্যোগ নিচ্ছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, পুরো সিস্টেমকে আধুনিকায়ন করা এবং একটা সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা যারা জার্মানির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা প্রতিষ্ঠানকে বলবে কীভাবে তারা তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে পারে।

Kommentarbild Janosch Delcker
ইয়ানোশ ডেলকার, ডয়চে ভেলেছবি: Privat

এক বছর আগে আরেকটি ঘটনা সবার চোখ কপালে তুলেছে। জার্মানির গ্রামীন শহর আনহাল্ট-বিটারফেল্ডকে কয়েক সপ্তাহ ধরে প্যারালাইজড করে দেয়া হয়েছিল। পুরো শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়া ঘটনাটি জার্মানিকে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সাইবার আক্রমণের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। শুনতে খারাপ শোনালেও পুরো জার্মানির অবস্থা আনহাল্ট-বিটারফেল্ডের মতো হতে পারত।

এটা ভালো যে জার্মানি তাদের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করছে। কিন্তু তাদের নিজেদের সীমানার বাইরেও চোখ রাখতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য একটি সমন্বিত সাইবার ইউনিট গঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বটে।

এর বাইরেও এই ব্লকের দেশগুলোকে বিশ্বে তাদের অন্য মিত্র দেশগুলোর সঙ্গেও সহযোগিতা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

ইয়ানোশ ডেলকার/জেডএ