1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাসপেন্ড

৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২

২০১০ সালের ডোপিং টেস্টে ধরা পড়েন আলবার্তো কন্তাদর৷ ২০১০ সালের ত্যুর দো ফ্রঁন্স টাইটেল কেড়ে নেয়া হয়েছে৷ কন্তাদরকে আন্তর্জাতিক সব ধরণের টুর্নামেন্ট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে আগামী দু বছরের জন্য৷ অলিম্পিকে তাকে দেখা যাবে না৷

https://p.dw.com/p/13yXB
ছবি: AP

কোর্ট অফ আর্বিট্রেশন ফর স্পোর্টস সোমবার তাদের এই কঠোর সিদ্ধান্তের কথা জানায়৷ ৫৬৬ দিন ধরে তদন্ত এবং অনুসন্ধানের পর বলা হয়, কন্তাদরকে দু বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং তার ২০১০ সালের টাইটেল কেড়ে নেয়া হয়েছে৷ কারণ তার রক্তে নিষিদ্ধ ক্লেনবুটেরল পাওয়া গেছে৷

২৯ বছর বয়স্ক কন্তাদর সবসময়ই বলে আসছিলেন যে তিনি নির্দোষ৷ তিনি একটি পার্টিতে যে গরুর মাংসের স্টেক খেয়েছিলেন সেটাতে ক্লেনবুটেরল ছিল বলে তিনি জানান৷ তাঁর জোর দাবি, এতে তার কোন হাত ছিল না৷ সংশ্লিষ্ট স্প্যানিশ সাইকেল রেস কর্তৃপক্ষ কন্তাদরের কথা বিশ্বাস করলেও ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি এবং ইন্টারন্যাশনাল সাইক্লিং ইউনিয়ন এই কথা একেবারেই কানে তোলেননি৷

Alberto Contador Tour de France Doping
আলবার্তো কন্তাদরছবি: AP

২০১০ সালে ত্যুর দো ফ্রঁন্স জয় করেন কন্তাদোর৷ সেটা ছিল একটানা তিনবার ত্যুর দো ফ্রঁন্স টাইটেল জেতা৷ ২০১০ সালের টাইটেল দেয়া হয়েছে লুক্সেমবুর্গের অ্যান্ডি শ্লেককে৷

গত বছর ত্যুর দো ফ্রঁন্স টাইটেল জেতেন অস্ট্রেলিয়ার ক্যাডেল ইভান্স৷ তিনি জানান,‘‘সাইক্লিং-এর জগতকে ডোপিং মুক্ত রাখতে কর্তৃপক্ষ বেশ কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে তা বোঝা যাচ্ছে৷ এখন শুধু সাইক্লিস্ট নয় অন্যান্য সব খেলোয়াড়দের উচিৎ এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা৷ ডোপিং থেকে কীভাবে আমরা আমাদের মুক্ত রাখতে পারি সেদিকে নজর দেয়া৷''

অস্ট্রেলিয়ার আরেক সাইক্লিস্ট ফিল অ্যান্ডারসন জানান, তেরতম ত্যুর দো ফ্রঁন্সে যারা কন্তাদোরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন তারা সবাই এখন মনে করবেন যে তাদের কন্তাদোর ঠকিয়েছিল৷ কারণ সবাই চেয়েছিল জিততে, বিজয়ী হতে৷ আপনি প্রতিযোগিতায় যার পিছনে দাঁড়িয়ে আছেন, সে আপনাকে ঠকাচ্ছে৷ কিন্তু আপনি জানছেন না৷ কিন্তু সেই প্রতারণার কথা যখন ফাঁস হয়ে যায় তখন নিজেকেই সবচেয়ে পরাস্ত বলে মনে হয়৷

কন্তাদরের উপর দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে ২০১০ সালের আগস্ট মাসে এবং তা শেষ হবে ২০১২ সালের আগস্ট মাসে৷ অর্থাৎ এ বছরের অলিম্পিকে কন্তাদরকে দেখা যাবে না৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য