সাংবাদিকদের সঙ্গে ট্রাম্পের লড়াই
মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং সিএনএন সাংবাদিক জিম একোস্টার মধ্যকার সাম্প্রতিক বাদানুবাদ সারাবিশ্বে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে৷ তবে এবারই প্রথম সাংবাদিকদের আক্রমণ করেননি ট্রাম্প৷ অতীতেও ঘটেছে বহুবার৷
সাংবাদিকদের আক্রমণ ট্রাম্পের অভ্যাস
মধ্যবর্তী নির্বাচন পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে সিএনএন হোয়াইট হাউস রিপোর্টার জিম একোস্টাকে আক্রমণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ একোস্টা প্রেসিডেন্টের কাছে একটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আপনার মতো একজনকে কাজ করার সুযোগ দেয়ায় সিএনএন-এর লজ্জিত হওয়া উচিত৷ আপনি একজন রুঢ় এবং ভয়ানক মানুষ৷’’ সেই বাদানুবাদের পর একোস্টার ‘প্রেস পাস’ স্থগিত করে হোয়াইট হাউস৷
‘আমি জানি আপনি ভাবছেন না, আপনি কখনোই ভাবেন না’
চলতি অক্টোবরে হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এবিসি সাংবাদিক সিসিলিয়া ভেগা সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট তখন ভেগার কোনো প্রশ্ন আছে কিনা জানতে চেয়ে মন্তব্য করেন, ‘‘আমি তাঁকে বেছে নেয়ায় তিনি বিস্মিত৷ মনে হচ্ছে একেবারে হতভম্ব হয়ে গেছেন৷’’ জবাবে ভেগা বলেন যে তিনি আসলে বিস্মিত নন৷ তখন ট্রাম্প বলেন, ‘‘এটা ঠিক আছে৷ আমি জানি আপনি ভাবছেন না৷ আপনি কখনোই ভাবেন না৷’’
টুইটারে নামধরে অভিযোগ
গত বছরের জুনে এমএসএনবিসি উপস্থাপক মিকা ব্রেজেজিন্সকির ওপর ক্ষিপ্ত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তখন তিনি টুইটারে সেই সাংবাদিককে ‘কম বুদ্ধিসম্পন্ন পাগল মিকা’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং দাবি করেন যে, ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের রিসর্ট ভ্রমণ করার সময় সেই সাংবাদিকের চেহারার বলিরেখা দূর করার সার্জারির জায়গা থেকে ভয়াবহভাবে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল৷
কিছু সাংবাদিক বছরের পর বছর আক্রান্ত
চলতি বছরের মার্চে পেনসিলভানিয়াতে এক প্রচারণা চলাকালে এনবিসি উপস্থাপক চাক টডের উপর নিজের রাগ ঝাড়েন ট্রাম্প৷ টডের ‘মিট দ্য প্রেস’ শো সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে ট্রাম্প সাংবাদিককে ‘ঘুমচোখা টড’ হিসেবে বর্ণনা করেন৷ এ সময় তিনি তাঁকে গালমন্দও করেন৷ অতীতেও টডকে নিয়ে এরকম মন্তব্য করেছেন নানা কারণে সমালোচিত এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷
টুইটার: ট্রাম্পের প্রিয় আক্রমণের স্থান
সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ চালাতে প্রায়শই টুইটারকে বেছে নেন ট্রাম্প৷ গত বছরের জুলাইয়ে তিনি একটি ভিডিও টুইট করেন৷ সেখানে তাঁকে সিএনএন-এর লোগো দিয়ে মুখ ঢাকা এক ব্যক্তিকে মারতে দেখা যায়৷ গত ডিসেম্বরে এক ভুল টুইট করার দায়ে ওয়াশিংটন পোস্ট সাংবাদিক ডেভ উইগেলকে চাকুরিচ্যুত করার দাবি জানান তিনি৷ আর মাঝেমাঝেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘ফেক নিউজ’ আখ্যা দিয়ে টুইট করতে দেখা যায় তাঁকে৷