1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই'

২১ অক্টোবর ২০২২

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স দাবি করেছেন, দশদিন আগেই রাষ্ট্রীয় সফরে যাদের পাঠানো হলো, তাদের কারণ দর্শানো ছাড়া বের করে দেয়া হলো, এটাই প্রমাণ সরকারে অল্পে বিচলিত।

https://p.dw.com/p/4IXBY
Khaled Asks 129
ছবি: DW

ইউটিউবে ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশো-তে আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক৷ এ পর্বের আলোচনার বিষয় ছিল সরকারে দলীয়করণ ও নির্বাচন৷ প্রিন্স বলেন, ‘‘সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। জনগণ যে জেগে উঠছে, আন্দোলনে সামিল হচ্ছে, সরকার তাতে ভয় পাচ্ছে।''

টকশোতে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল৷

প্রশাসনকে দলীয়করণ করাই কি কাজ? সরকার কি আমলাদের বার্তা দিতে চাইছেন? এই প্রসঙ্গে অপু উকিল বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে জাতিসংঘের কূটনীতিককে অবসরে পাঠিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর চিকিৎসককেও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়। আওয়ামী লীগ কিন্তু এমন কাজ করেনি। বরং বিএনপির কর্মকাণ্ডকে বাংলাদেশের মানুষ ভয় পায়। জনগণের সুরক্ষার জন্য আওয়ামী সরকার সতর্ক রয়েছেন।

এই প্রসঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে তারেক রহমানের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন অপু। তার দাবি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে আওয়ামী লীগ।

আমলাতন্ত্রে দলীয়করণ নিশ্চিত প্রসঙ্গে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আমলাতন্ত্রের মেরুদণ্ড ভাঙে জনতার মঞ্চের জন্য ১৯৯৬ সালে। তবে বর্তমানে ''আমলাদের অবসরে পাঠানোর বিষয়টি সরকারের ভিতরে নার্ভাসনেসের বহিঃপ্রকাশ। আওয়ামী লীগ দেশকে যে পরিস্থিতিতে নিয়ে গিয়েছে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মতো আওয়ামী লীগের মধ্যেও উদ্বেগ রয়েছে।''

তার বক্তব্য, দুর্ভিক্ষের কথা বলে এমারজেন্সির মতো কিছু করে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়া বা রাজনীতিকে নির্মূল করে দেয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ধার করে ঘি খাওয়ার বাজেট। ছয় লক্ষ কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়িত করতে পারছে না আওয়ামী সরকার। উপরদিকে  ফিটফাট, ভিতরে সদরঘাটের মতো পরিস্থিতি।

অপু উকিলের যুক্তি, জনস্বার্থ কথাটা জড়িত বলেই সেখান থেকেই অবসর ইত্যাদি। কোভিডের সময় সবাই মিলে সমস্যা মোকাবেলা করেছেন। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করলে কি অন্যায়?

তার কটাক্ষ, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে জঙ্গিবাদের বাংলাদেশ হয়। সে বাংলাদেশ কেউ চাইবে না। তিনি চান, শেখ হাসিনা আজীবন ক্ষমতায় থাকুন।

সরকারের পায়ের নিচে মাটি ৩০ লক্ষ শহিদের প্রাণের বিনিময়ে তৈরি হয়েছে, প্রিন্সকে কটাক্ষ অপুর। তিনি পাল্টা দাবি করেন, বাংলাদেশে এমারজেন্সি বিএনপি করেছে। আওয়ামী লীগের কর্মীরা প্রাণ দিয়েছেন। আওয়ামী পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় না।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের দাবি, আওয়ামী লীগ অসংলগ্ন কথা বলে সত্য আড়াল করতে চায়। দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে তারেক রহমান বৈঠক করেছে, এটা ডাহা মিথ্যা। বিরোধী দলের নেতাদের দেখলে আমলারা পালিয়ে যান, রিপোর্ট বা ছবির ভয়ে। দেশের পরিস্থিতিকে আওয়ামী লীগ এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছে।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের কটাক্ষ, ''শেখ হাসিনাকে রানি ঘোষণা করা হোক। বাংলাদেশে রাজতন্ত্র আনা হোক। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করেছে। লুটপাট করে দেশকে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। বিএনপি আমলে মানুষ খেয়েপড়ে থাকত। এখন তা সম্ভব নয়।'' এই প্রসঙ্গে গারমেন্টস কর্মীদের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

দারিদ্র্যের হার নিয়ে অপু পাল্টা কটাক্ষ করেন প্রিন্সকে। তার কথায়, ''প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি যে কোনো পরিস্থিতিতে একটি মানুষকেও না খেয়ে মারা যেতে দেননি হাসিনা। বিএনপি সেটাই ভেবেছিল, কিন্তু তা হয়নি। জনগণের জন্য বিএনপি কী করেছে ? শুধু নিজের আখের গুছিয়েছে।''

পাল্টা তোপ দেগে প্রিন্স বলেন, ''আওয়ামী লীগ খাই খাই পার্টি, দেশটাকে গিলে খেয়েছে।''

আরকেসি/জেডএ