1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সময় থাকতে হার্টের যত্ন নেয়ার পরামর্শ

২৭ ডিসেম্বর ২০২১

হৃদযন্ত্রের সমস্যা ধরা পড়ার পর চিকিৎসার নানা সুযোগ থাকলেও জীবনযাত্রা আর সাধারণত আগের মতো থাকে না৷ তাই সময় থাকতেই হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যা এড়াতে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷

https://p.dw.com/p/44r6t
Symbolbild Fehlgeburt
ছবি: Alvaro Sanchez/Addictive Stock/imago images

তরুণ বয়সের কারণে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের বিষয়টি শুধু বয়স্কদের সমস্যা মনে করছেন?  কিন্তু ঘটনা হলো, কম বয়সেও আমাদের জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস হৃদযন্ত্রের উপর বিশাল প্রভাব ফেলে৷

অর্থাৎ, হার্টের খাতিরে ধূমপান ত্যাগ করা উচিত৷ খুব বেশি মেদ জমাও ভালো কথা নয়৷ এছাড়া সুস্থ হৃদযন্ত্রের জন্য আরো কিছু পরামর্শ রয়েছে৷ ইন্টার্নিস্ট ড. বোজেনা রাউটেনব্যার্গ মনে করেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ আমাদের মিষ্টি পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত৷ আজকাল কোণে কোণে ফাস্ট ফুডের মতো ফ্যাটে ভরা খাবার পাওয়া যায়৷ প্রতিদিন এমন খাবার খাওয়া উচিত নয়৷''

পটাসিয়ামে ভরপুর শাকসবজি ও ফলমূল হার্টের জন্য বিশেষভাবে উপকারী৷ যেমন কপি, কলা বা অ্যামন্ড বাদাম৷ পটাসিয়াম রক্তনালীর সম্প্রসারণ করে এবং অ্যারিথমিয়া প্রতিরোধ করে৷

অন্যদিকে লিকোরিস মোটেই ভালো নয়৷ কারণ তার মধ্যে থাকা লিকোরিস রুট শরীর থেকে পটাসিয়াম শুষে নেয়৷ ড. রাউটেনব্যার্গ বলেন, ‘‘লিকোরিসের মধ্যে গ্লাইসাইরিজিন নামের পদার্থ থাকে, যা শরীরের হরমোন বিপাকের উপর আক্রমণ চালায়৷ অর্থাৎ সে ক্ষেত্রে কর্টিসলের মতো হরমোন ভাঙতে দেয় না৷ ফলে শরীরে সেই হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়৷ কর্টিসল শুধু স্ট্রেস হরমোন নয়, সেটি শরীরে মজুত পানি ও ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যও নষ্ট করে৷ তখন উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে৷''

ড. রাউটেনব্যার্গের মতে, হার্টের জন্য বরং ডার্ক চকোলেটই ভালো৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি সম্প্রতি পর্তুগালের এক গবেষণার ফলাফল পড়লাম৷ সে ক্ষেত্রে ৩০ জন রোগী ২০ গ্রাম করে ৯০ শতাংশ কোকো ভরা চকোলেট খেয়েছিলেন. যা দুটি টুকরোর সমান৷ চার সপ্তাহ পর দেখা গেল, এর ফলে রক্তচাপের মাত্রা কমে গেছে৷ অর্থাৎ দিনে এক থেকে দুই টুকরো ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ মাত্রার ডার্ক চকোলেট খেলে উপকার হতে পারে৷''

সময় থাকতে হার্টের যত্ন নেয়ার পরামর্শ

বেশি লবণও আমাদের হার্টের জন্য ভালো নয়৷ কারণ, রান্নার লবণ সোডিয়াম আয়ন পানিকে আবদ্ধ করে এবং বেশি লবণ খেলে রক্তণালীর মধ্যে তার পরিমাণ বেড়ে যায়৷ তখন উচ্চ রক্তচাপ দেখা যায়৷ অর্থাৎ অতিরিক্ত লবণও এড়িয়ে চলা উচিত৷

খেলাধুলা করলে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায় এবং সেটা হার্টের জন্য ভালো৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সপ্তাহে আড়াই ঘণ্টা খেলাধুলার পরামর্শ দেয়৷ ড. বোজেনা রাউটেনব্যার্গের মতে, ‘‘যে কোনো মুভমেন্টই যে আদৌ কোনো মুভমেন্টের তুলনায় ভালো, সেই মৌলিক বার্তা দেওয়া জরুরি৷ অর্থাৎ এসকালেটর বা লিফট এড়িয়ে চলা ভালো৷ ট্রামেবাসে ভ্রমণ করলে এক স্টপ আগে নেমে পড়ুন৷ দৈনন্দিন জীবনে এভাবে হাঁটাচলা বাড়াতে পারেন৷''

একই সঙ্গে স্ট্রেস বা মানসিক চাপ এড়িয়ে চলা এবং বিশ্রামের জন্য নির্দিষ্ট সময় পরিকল্পনা করাও জরুরি৷ ড. রাউটেনব্যার্গ বলেন, ‘‘স্ট্রেস স্থায়ী হলে সেই স্থায়ী প্রক্রিয়া শরীরের ক্ষতি করে৷ তাই স্ট্রেসের পর্যায় শেষ হলে সব ছেড়ে বিশ্রাম নেবার চেষ্টা করতে হবে৷ শুইয়ে-বসে নয়, হাঁটাচলার মাধ্যমে বা সক্রিয় থেকে স্ট্রেস সবচেয়ে ভালোভাবে দূর করা সম্ভব৷''

স্বাস্থ্যকর হৃদযন্ত্রের জন্য প্রতিদিন যথেষ্ট মুভমেন্ট এবং দৈনন্দিন জীবনে স্ট্রেস কমানো জরুরি৷

কিয়র্স্টিন শুমান/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য