1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সম্ভাব্য সংঘাতের মুখে জার্মান সেনাবাহিনীর ক্ষমতা নিয়ে সংশয়

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২

হামলা বা সামরিক সংঘাত ঘটলে জার্মান সেনাবাহিনী আদৌ দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবে কি? ইউক্রেন সংকটের মুখে জার্মানিতে বুন্ডেসভেয়ারের দুর্বলতা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/47Zme
ছবি: Martin Meissner/AP Photo/picture alliance

যথেষ্ট সৈন্য নেই, সামরিক সরঞ্জামের বেহাল অবস্থা, ব্যয়সংকোচের চাপ, বিদেশের মাটিতে একাধিক অভিযানে অংশ নেবার বাধ্যবাধকতা – জার্মান সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক দুর্বলতা অজানা নয়৷ শান্তিকালীন পরিস্থিতিতে জার্মানির প্রতিরক্ষার ক্ষমতা নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা তেমন মাথা না ঘামালেও ইউক্রেন সংকটের মুখে বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷

জার্মানির ভূখণ্ডেও সামরিক হামলা ঘটলে সেনাবাহিনী দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আদৌ প্রস্তুত কিনা, বর্তমান ও প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তারা সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন৷ সেইসঙ্গে একাধিক সরকারের ব্যর্থতারও কড়া সমালোচনা করছেন৷ উল্লেখ্য, জার্মানিসহ ন্যাটোর বেশ কিছু সদস্য দেশ অঙ্গীকার অনুযায়ী প্রতিরক্ষা খাতে যথেষ্ট ব্যয় না করায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট কড়া সমালোচনা করেছিলেন৷ ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির ‘অতি সীমিত সামরিক সম্পদ’ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা৷ জার্মানির স্থলবাহিনীর প্রধান আলফন্স মাইস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, যে বর্তমান পরিস্থিতিতে ন্যাটোকে সহায়তা করার ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত৷ এখনও সেই ক্ষমতা গড়ে না তুললে জার্মান সেনাবাহিনীর পক্ষে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন ও সহযোগীদের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হবে না বলে মনে করেন মাইস৷ জার্মানির বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিনে লামব্রেশট অবশ্য দাবি করেন, যে ন্যাটো সহযোগীরা জার্মানির উপর একশোভাগ নির্ভর করতে পারে৷

বৃহস্পতিবার জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জাতীয় স্তরে জরুরি পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে৷ সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য আরও প্রস্তুতির স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে৷ আগামী কয়েক দিনে সাধারণ মানুষও প্রকাশ্যে সেনাবাহিনীর তৎপরতা দেখতে পারেন বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে৷ বিশেষ করে পরিবহণের ক্ষেত্রে সে কারণে বিঘ্ন ঘটতে পারে৷

এমন জরুরি পরিস্থিতিতে জার্মানির সরকার বৃহস্পতিবার সামরিক খাতে বাড়তি ব্যয় করবে বলে জানিয়েছে৷ অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার সমালোচনা মেনে নিয়ে ও দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে বলেন, অতীতে বহুকাল ধরে সেনাবাহিনীকে অবহেলা করা হয়েছে৷ ফলে সেনাবাহিনী পুরোপুরি দায়িত্ব পালন করার অবস্থায় নেই৷ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়সংকোচ বর্তমান যুগে একেবারে বেমানান, বলেন লিন্ডনার৷

প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আনেগ্রেট কাম্প-কারেনবাউয়ারও সরকারি স্তরে ‘ঐতিহাসিক ভুল’ স্বীকার করেন৷ তাঁর মতে, জার্মানি যথেষ্ট সামরিক ক্ষমতা আয়ত্ত না করে শুধু সংলাপের মাধ্যমে সংকট সমাধানের উপর জোর দিয়েছে৷ জর্জিয়া, ক্রাইমিয়া, ডনবাসের ঘটনা সত্ত্বেও জার্মানি এমন প্রস্তুতি না নেওয়ায় তিনি ‘ঐতিহাসিক ভুলের জন্য’ নিজেদের প্রতি ক্রোধ প্রকাশ করেন৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)