সম্প্রীতির ইফতার
ঢাকার বাসাবোতে অবস্থিত ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে প্রতিবছর রোজায় ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য এক নজির দেখা যায়৷ সেখানকার ভিক্ষুরা প্রতিদিন কয়েকশ’ মুসলমানের হাতে ইফতার তুলে দেন৷ বিস্তারিত দেখুন ছবিঘরে৷
ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার
ঢাকার প্রথম এ বৌদ্ধবিহারটি কমলাপুরের পাশে বাসাবোর সবুজবাগে অবস্থিত৷ ১৯৬০ সালে বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরোর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এ বিহার বাংলাদেশের বৌদ্ধদের ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত৷
শুদ্ধানন্দ মহাথেরো
ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের সভাপতি সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরো৷ প্রায় ৮৭ বছর বয়সি এ ভিক্ষু রমজানে দরিদ্র মানুষদের দুর্দশা দেখে এই ইফতার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন৷
দুস্থদের ভিড়
প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে বৌদ্ধ বিহারের প্রধান ফটকে ইফতার নিতে ভিড় করেন দুস্থ রোজাদাররা৷ সারিবদ্ধভাবে তাঁরা অপেক্ষায় থাকেন ইফতারের৷
টোকেন
ইফতার বিতরণে বিশৃঙ্খলা এড়াতে অপেক্ষমাণ মানুষের মাঝে একটি টোকেন সরবরাহ করেন কর্তৃপক্ষ৷ পরে সেটি নিয়ে গেলে বিহারের ভেতর থেকে দেয়া হয় ইফতার৷
খাবার আসে রেস্তোরাঁ থেকে
দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা এ সব ইফতার সামগ্রী কিনে আনা হয় পার্শ্ববর্তী একটি রেস্তোরাঁ থেকে৷ আগে বিহারের ভেতরেই ইফতার তৈরি করা হলেও গ্যাস সংকটের কারণে বাইরে থেকে আনা হয় বলে জানান একজন ভিক্ষু৷
ভিক্ষুদের তদারকি
ইফতার সামগ্রী বাইরের রেস্তোরাঁ থেকে আনা হলেও এর সবকিছু সার্বক্ষণিক দেখভাল করেন বিহারের ভিক্ষুরা৷
শুরুতে কম
রোজার শুরুর দিকে ইফতার নিতে আসা দুস্থদের সংখ্যা কম হলেও দশ রোজার পর থেকে তা বাড়তে থাকে৷
কেউ ফেরেন না খালি হাতে
সাধারণত প্রতিদিন পাঁচশত মানুষের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়৷ তবে মানুষ বাড়লে ইফতারের পরিমাণও বাড়ানো হয়৷
ইফতারের প্যাকেট
বৌদ্ধবিহার থেকে দেয়া প্রতিটি ইফতারের প্যাকেটে থাকে খেজুর, আলুর চপ, জিলাপি, পেঁয়াজু, ছোলা, মুড়ি ইত্যাদি৷ কোনো কোনো দিন এর সঙ্গে যুক্ত হয় ফলও৷
ইফতার বিতরণ
প্রতিদিন বিকাল ৫টার পর থেকে ইফতার বিতরণ শুরু হয়৷ সেই সময় শুদ্ধানন্দ মহাথেরো নিজেই উপস্থিত থাকেন৷
ইফতারের আনন্দ
ইফতার নিতে আসা এ সব মানুষরা জানান, আগে ইফতারে তেমন কিছু খেতে পারতেন না তারা৷ আর এখন খুব ভালোভাবে ইফতারের আনন্দটা পান৷ ভিক্ষুদের কাছে এ জন্য তারা কৃতজ্ঞও৷