1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সম্পত্তির পাহাড়ে বিজেপি, তৃণমূলের দ্বিগুণ সম্পদ সিপিএমের

১১ আগস্ট ২০২১

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলকে হারিয়ে দিল সীতারাম ইয়েচুরির সিপিএম। দলীয় সম্পত্তির নিরিখে। তবে দুই দলই বিজেপি-র তুলনায় অনেক পিছিয়ে।

https://p.dw.com/p/3ypVC
সম্পদের নিরিখে অন্য দলগুলিকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। ছবি: IANS

কথায় বলে মরা হাতি লাখ টাকা। ভারতে সিপিএমের প্রভাব-প্রতিপত্তি কমতে কমতে এখন মূলত কেরালাতেই সীমাবদ্ধ। পশ্চিমবঙ্গের সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে তারা একটি আসনেও জেতেনি। ত্রিপুরাতেও তাদের অবস্থা ভালো নয়। আর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর মমতা এখন কেরালা, ত্রিপুরা সহ বিভিন্ন রাজ্যে প্রভাব বাড়াতে চাইছেন।

এই দুই দলেরই আর্থিক সঙ্গতি যথেষ্ট। ২০১৯-২০ সালের আয়-ব্যয় ও সম্পত্তির যে হিসাব নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, সিপিএমের সম্পত্তির পরিমাণ তৃণমূলের থেকে দ্বিগুণেরও বেশি। সিপিএমের সম্পত্তির পরিমাণ ৫৬৯ কোটি ৫২ লাখ ৭২ হাজার ৪৯ টাকা। আর তৃণমূলের ২৪৭ কোটি ৩২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৯৭ টাকা।

কমিশনে জমা দেওয়া নথিতে দুই দল স্থায়ী সম্পত্তি ছাড়াও বিশেষ খাতে জমা পুঁজির উল্লেখ করেছে। তারা বিনিয়োগ করেছে। সিপিএম জানিয়েছে, তাদের ৭২ কোটি টাকার বেশি ঋণ রয়েছে। তুলনায় তৃণমূলের ঋণের পরিমাণ অনেক কম, এক কোটি টাকার মতো।

সিপিএম ও তৃণমূল দুই দলেরই সম্পত্তির পরিমাণ এক বছরে অনেকটাই বেড়েছে। সিপিএমের বেড়েছে ৫৮ কোটি টাকা এবং তৃণমূলের ৩৭ কোটি টাকার মতো। সম্পত্তি ছাড়া রোজগারের ক্ষেত্রেও তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে সিপিএম। ২০১৯-২০-তে সিপিএমের আয় ছিল ১৫৮ কোটি ৬২ লাখ এবং তৃণমূলের ১৪৩ কোটি ৬৭ লাখ। দেখা যাচ্ছে, দুই দলই বিত্তবান।

তবে তাদের অনেক পিছনে ফেলে এক্ষেত্রে এক নম্বরে বিজেপি। তাদের ওই সময়ে সম্পত্তির পরিমাণ ছিল চার হাজার ৮৪৯ কোটি। এক বছরে তা এক হাজার কোটি টাকারও বেশি বেড়েছে। দিল্লিতে বিজেপি-র প্রাসাদোপম দলীয় সদরদফতর আছে। তা ছাড়াও প্রতিটি রাজ্যে তাদের বড় দলীয় ভবন আছে। মোদী-শাহ আসার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় দলের নিজস্ব ভবন তৈরির দিকে নজর দিয়েছে বিজেপি।

তাদের থেকে বেশ কিছুটা পিছনে আছে কংগ্রেস। তাদের সম্পত্তির পরিমাণ ৫৫৮ কোটি। দেখা যাচ্ছে, সিপিএম ও কংগ্রেসের সম্পত্তির পরিমাণের মধ্যে ফারাক বেশি নয়।

জিএইচ/এসজি(আনন্দবাজার)