1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমালোচনার মুখে অভিবাসীদের তাঁবু দিল বসনিয়া

২ জানুয়ারি ২০২১

বসনিয়ার লিপায় শরণার্থী ক্যাম্প পুড়ে যাওয়ার পর তীব্র ঠান্ডাতেই রাত কাটাচ্ছিলেন অভিবাসী ও শরণার্থীরা৷ অবশেষে দেশটির সেনাবাহিনী তাদের জন্য তাঁবুর ব্যবস্থা করেছে৷

https://p.dw.com/p/3nSAm
বসনিয়া প্রশাসন এবং শরণার্থী শিবির পরিচালকদের বক্তব্য, ওই ক্যাম্পের মানুষই আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।
বসনিয়া প্রশাসন এবং শরণার্থী শিবির পরিচালকদের বক্তব্য, ওই ক্যাম্পের মানুষই আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।ছবি: Amar Mehic/AA/picture alliance

সপ্তাহখানেক আগে ক্রোয়েশিয়া-বসনিয়া সীমান্তে লিপা ক্যাম্প আগুনে পুড়ে যায়৷ সহস্রাধিক অভিবাসীকে আশ্রয়হীন অবস্থায় ছেড়ে দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় বসনিয়াকে

অবশেষে মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে ব্যবস্থা নিয়েছে বসনিয়ার সেনাবাহিনী৷ লিপায় ১৫০ সেনাসদস্যের একটি দল তাঁবু নিয়ে পৌঁছেছে৷ আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা- আইওএমের তত্ত্বাবধানে তাঁবু স্থাপন ও অভিবাসীদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে৷

শুক্রবার অভিবাসী ও শরণার্থীরা বিক্ষোভ করেন৷ ত্রাণ সংস্থাগুলো জানিয়েছে শত শত অভিবাসী তাদের সরবরাহ করা খাবার নিতে অস্বীকৃতি জানান এবং জীবনযাপনের মান উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহায়তা কামনা করে বিক্ষোভ করেন৷

প্রায় বারোশ শরণার্থী বাস করছিলেন উত্তর-পশ্চিম বসনিয়ার লিপা শরণার্থী শিবিরে। ২৩ ডিসেম্বর সেই ক্যাম্পে আগুন লেগে যায়। ওইদিনই শিবিরটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। বসনিয়া প্রশাসন এবং শরণার্থী শিবির পরিচালকদের বক্তব্য, ওই ক্যাম্পের মানুষই আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন

লিপার শিবির তৈরির সময়েই বলা হয়েছিল, এই শিবির সাময়িক। ২৩ ডিসেম্বর যে ক্যাম্প গুটিয়ে নেওয়া হবে, তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অথচ ক্যাম্পে বসবাসকারীরা এই ঠান্ডার মধ্যে কোথায় গিয়ে থাকবেন, সে বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

লিপা ক্যাম্প পুড়ে যাওয়ার পর সারায়েভোর ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের ব্রাডিনা শহরের পুরানো একটি সামরিক ভবনে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে স্থানীয় মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ফলে সেখানে তাদের স্থানান্তর সম্ভব হয়নি।

এডিকে/এফএস (এপি)