1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমকামীদের প্রতি সমবেদনা নয়, এর্দোয়ান

১ জুলাই ২০২১

সমকামীদের গুরুত্ব নয়, ইস্তাম্বুল কনভেনশন থেকে তুরস্ককে সরিয়ে নিলেন এর্দোয়ান।

https://p.dw.com/p/3vqVA
তুরস্ক
ছবি: picture-alliance/ZUMAPRESS/C. Erok

ফের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান। ডিক্রি প্রকাশ করে জানিয়ে দিলেন, ইস্তাম্বুল কনভেনশন থেকে তুরস্ককে বের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১ জুলাই থেকে তুরস্ক আর ওই কনভেনশনে থাকবে না।

কাউন্সিল অফ ইউরোপ কনভেনশন অন প্রিভেনটিং অ্যান্ড কমব্যাটিং ভায়োলেন্স এগেনস্ট উইমেন অ্যান্ড ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স, এক কথায় ইস্তাম্বুল কনভেনশন তৈরি হয়েছিল ২০১১ সালে। তুরস্ক প্রথম এই কনভেনশনে সই করেছিল। ইউরোপ এবং তুরস্কের মানুষ, বিশেষত নারীরা যাতে আঘাতপ্রাপ্ত না হন, অসম্মানিত না হন, তার জন্য এই কনভেনশন তৈরি হয়েছিল। গত মার্চ মাসে এর্দোয়ান জানান, ওই কনভেনশন থেকে তারা বেরিয়ে আসবেন। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওই কনভেনশন সমকামীদের আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করছে। সমকামীদের প্রতি সহমর্মিতা দেখাচ্ছে। সমকামিতা কোনো ভাবেই তুরস্ক মেনে নিতে পারবে না। তুরস্কের সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের সঙ্গে সমকাম বিষয়টি যায় না। সে কারণেই কনভেনশন থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১ জুলাই থেকে তা কার্যকর হবে।

তুরস্ক আদৌ এই কনভেনশন থেকে এ ভাবে বেরিয়ে আসতে পারে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। দেশের ভিতর আন্দোলনও শুরু হয়েছে। একাধিক নারী অধিকার সংক্রান্ত সংগঠন, বিরোধী রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করেছে। ১ জুলাই গোটা তুরস্কে বিশাল বিশাল প্রতিবাদ সভার আয়োজন হওয়ার কথা।

নারী অধিকারকর্মী হুলিয়া গুলবাহার ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, তুরস্কের আদালতে এ বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু আদালত মামলা শুনতে রাজি হচ্ছে না। সর্বোচ্চ কাউন্সিলও এ বিষয়ে কিছু শুনতে রাজি হয়নি। ফলে আন্দোলন চলবে। গুলবাহারের মতে, এই কনভেনশন থেকে বেরিয়ে গেলে দেশের নারীরা সুরক্ষিত থাকবেন না।

বস্তুত, এই কনভেনশনের উপর দাঁড়িয়ে ২০১২ সালে নারীদের সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি আইন তৈরি হয়েছিল তুরস্কের পার্লামেন্টে। বিরোধীদের একাংশের বক্তব্য, কনভেনশন থেকে বেরিয়ে এলে ওই আইনেরও আর কোনো মূল্য থাকবে না। তাদের বক্তব্য, যেহেতু পার্লামেন্টে আইন তৈরি হয়েছিল, ফলে কনভেনশন থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্তও পার্লামেন্টে নিতে হবে।

তুরস্ক সরকার অবশ্য খুব স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছে, নারী অধিকার, নারী সুরক্ষার বিষয়টি তারা দেখবে। কিন্তু কোনো ভাবেই সমকামীদের গুরুত্ব দেওয়া হবে না। তাদের প্রতি কোনো রকম সমবেদনা দেখানো হবে না।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)