1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছুটির মেয়াদ আরো বাড়তে পারে

১৩ মে ২০২০

কয়েক দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল৷ ছুটির এ মেয়াদ আরো বাড়ার আভাস পাওয়া গেছে৷

https://p.dw.com/p/3c9pP
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan

বৃহস্পতিবার ছুটির মেয়াদ সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷ ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েকটি জেলার জেলা প্রশাসক এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেবেন৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘‘১৬ মের পরে সরকারি ছুটি বাড়বে কিনা সে বিষয়ে বৃহস্পতিবারের ভিডিও কনফারেন্স থেকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সিদ্ধান্ত জানাবেন৷

প্রধানমন্ত্রী ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দিলে এরপর কোন কোন শর্তে সেই ছুটি কার্যকর করা হবে তা জানিয়ে আদেশ জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়৷’’

দেশে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর সংক্রমণের বিস্তার রোধে প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়৷ তার দুইদিন আগে থেকেই দেশে গণপরিবহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল৷

শুরুতে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ ও তা বাস্তবায়নে কড়াকড়ির কারণে সাধারণ ছুটি কার্যত ‘লকডাউন’র রূপ নিয়েছিল৷ ঘরবন্দি হয়ে পড়েছিল মানুষ৷

কিন্তু গার্মেন্টস কারখানা খুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে সাধারণ ছুটি শিথিল করা শুরু হয়৷ পোশাক শ্রমিকেরা রীতিমত গাদাগাদি করে কর্মস্থলে ফিরে আসেন৷ তারপর সীমিত আকারে সরকারের কয়েকটি অধিদপ্তর খুলে দেওয়া হয়৷ এপ্রিলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘর থেকে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেই আদেশ কিছুটা শিথিল করে এখন রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘর থেকে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে৷ সুপারশপ ও মুদি দোকান খোলা রাখার সময়েও বাড়ে৷

ঈদ চলে আসায় সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ১০ মে থেকে শপিংমল এবং দোকানপাট খোলার অনুমতিও দেওয়া হয়৷ এত কিছু শিথিল হওয়ায় গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও রাস্তায় মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে৷ কোথাও কোথাও তো সড়কে যানজটও দেখা ‍যাচ্ছে৷

সামাজিক দূরত্ব ভেঙ্গে মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে যাওয়ায় দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে৷ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও৷

বুধবার দেশে একদিনে নমুনা পরীক্ষা, রোগী শনাক্ত এবং মৃত্যু সব ক্ষেত্রেই নতুন রেকর্ড হয়েছে৷ এদিন সাত হাজার ৯০০টি নমুনা পরীক্ষা করে আরও ১ হাজার ১৬২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে৷ এদিন রেকর্ড ১৯ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃত্যু ২৬৯৷

এ অবস্থায় সাধারণ ছুটি না বাড়িয়ে উপায় নেই বলে মনে করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসনে৷ তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘বিভিন্ন কারণে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে মার্কেট ও শপিং মল খোলার অনুমতি দিয়েছিল৷ কিন্তু সাধারণ মানুষ কোনও শর্তই মানছেন না৷ এতে কারোনা মহামারি আকার ধারণ করার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে৷ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে৷’’

১৬ মের পর রোজার ঈদের ছুটির আগে মাত্র চারদিন অফিস আদালত খোলা রাখার সুযোগ আছে৷ বাংলাদেশে ২৫ মে ঈদ হবে এমনটা ধরে নিয়ে আগামী ২৪, ২৫ ও ২৬ মে রোজার ঈদের ছুটি নির্ধারণ করা আছে৷ ঈদ ২৬ মে হলে ছুটি একদিন বেড়ে ২৭ মে-তেও ঈদের ছুটি থাকবে৷ তার আগে ২১ মে শবে কদর এবং ২২ ও ২৩ মে শুক্র-শনিবারের সাধারণ ছুটি৷ ২৪ মে থেকে শুরু হবে ঈদের ছুটি৷

ফলে ১৭ থেকে ২০ মে মাত্র চারদিনের জন্য অফিস-আদালত না খুলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সাধারণ ছুটি বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন বলে জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা৷

তাদের ধারণা, ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হতে পারে৷

এসএনএল/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)