সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনাকারী
১০ জানুয়ারি ২০১৪কয়েক বছর আগে আমস্টারডামে এক মুসলিম নাগরিকের সঙ্গে আলোচনার পর ইন্টারনেট সহ অন্যান্য সূত্র থেকে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেন লারোজ৷ পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তিনি ফাতেমা হয়ে যান৷
এরপর ইউটিউবে মুসলমানদের উপর ইসরায়েলি ও মার্কিনিদের হামলার ভিডিও নিয়মিত দেখতে থাকেন৷ এছাড়া নিজের মাইস্পেস প্রোফাইলে মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিনিদের অবস্থা সম্পর্কিত ছবি পোস্ট করেন৷ ২০০৮ সালের জুন মাসে তিনি ‘জিহাদজেন' নামে ইউটিউবে একটি মন্তব্য পোস্ট করেন৷ এর মাধ্যমে তিনি মুসলমানদের দুর্দশা অপসারণে যে-কোনো উপায়ে যে-কোনো সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন৷ ঐ বছরেরই ডিসেম্বর নাগাদ তিনি আল্লাহর নামে শহিদ হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন, বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে৷
কার্টুনিস্ট হত্যার পরিকল্পনা
সুইডিশ কার্টুনিস্ট লার্স ভিল্কস ২০০৭ সালে ইসলাম ধর্মের মহানবিকে নিয়ে একটি বিতর্কিত কার্টুন আঁকেন৷ এ কারণে ২০০৯ সালে ভিল্কসকে হত্যার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন জিহাদ জেন তথা লারোজ৷ অনলাইনের মাধ্যমে পরিচিত হয়ে এই কাজে লারোজের সঙ্গে যোগ দেন আরেক মার্কিন নারী জেমি পলিন-রামিজ ও পাকিস্তানি-অ্যামেরিকান মোহাম্মদ হাসান খালিদ৷ ভিল্কসকে হত্যার জন্য আয়ারল্যান্ডে বিভিন্ন দেশ থেকে যাওয়া সাতজন আশ্রয়প্রার্থীকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনাও করা হয়েছিল৷ তবে শেষ পর্যন্ত সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি৷ তার আগেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়৷
কার্টুনিস্টকে হত্যার বাইরেও ইউরোপ ও দক্ষিণ এশিয়ায় সহিংসতা কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনাও তাদের ছিল বলে পরবর্তীতে জানা যায়৷
কারাদণ্ড
এসব অভিযোগে লারোজকে ১০ আর রামিজকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে মার্কিন আদালত৷ খালিদের ব্যাপারে রায় আরও পরে জানা যাবে৷ আয়ারল্যান্ডের ঐ সাতজনও এখন জেলখানায় বন্দি আছেন৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি, রয়টার্স, ইন্টারনেট)