1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সন্ত্রাস-তালিকা থেকে সুদানকে বাদ দিচ্ছেন ট্রাম্প

২০ অক্টোবর ২০২০

সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়ার জন্য সুদানকে কালো তালিকাভুক্ত করে রেখেছে অ্যামেরিকা। শর্তসাপেক্ষে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলছেন ট্রাম্প।

https://p.dw.com/p/3k9xv
ছবি: Jok Solomun/Reuters

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শর্ত হলো, সন্ত্রাসী হামলায় মৃত ও ক্ষতিগ্রস্ত এবং তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সুদানকে। তা হলেই কালো তালিকা থেকে সুদানের নাম সরিয়ে নেবেন তিনি। সন্ত্রাসে মদত দেয়ার জন্য সুদানের নাম কালো তালিকায় রেখেছিল অ্যামেরিকা।

ট্রাম্প টুইট করে জানিয়েছেন, ''সুদান সরকার ক্ষতিগ্রস্ত অ্যামেরিকান পরিবারগুলিকে ৩৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের প্যাকেজ দিতে রাজি হয়েছে। এই অর্থ জমা পড়লেই আমি সন্ত্রাসবাদে মদতকারী রাষ্ট্রের তালিকা থেকে সুদানের নাম সরিয়ে দেব। দীর্ঘদিন পরে অ্যামেরিকার মানুষ ন্যায় পাচ্ছে। সুদানও একটা বড় পদক্ষেপ নিয়েছে।''

সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদক জবাবে বলেছেন, ''প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অনেক ধন্যবাদ। আমরা মার্কিন কংগ্রেসে সুদান নিয়ে আপনার প্রস্তাব পাঠানোর দিকে তাকিয়ে আছি। কালো তালিকাভুক্ত হওয়ায় সুদানের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।''

১৯৯৩ সালে অ্যামেরিকা কালো তালিকাভুক্ত করেছিল সুদানকে। অভিযোগ ছিল, সুদান সরকার সন্ত্রাসবাদে মদত দিচ্ছে। সে সময়ে সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির গত বছর বিক্ষোভের ফলে ক্ষমতাচ্যূত হয়েছেন। বসিরের সঙ্গে আল কায়দার যোগ ছিল বলে অ্যামেরিকার অভিযোগ।

সুদান এখন যে প্যাকেজ দিতে রাজি হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৯৮ সালে তাঞ্জানিয়া ও কেনিয়ায় এবং ২০০০ সালে ইয়েমেনে মার্কিন দূতাবাসে আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত অ্যামেরিকানদের ক্ষতিপূরণও ধরা আছে। সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গেও সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে সুদান। এর আগে মার্কিন মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করেছে আমিরাত ও বাহরিন। আর ট্রাম্পও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর বিদেশনীতির এই সাফল্য নিয়ে ভরপুর প্রচার চালাচ্ছেন। এ বার তাঁর প্রচারে সুদানের বিষয়টিও উঠে আসছে।

জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স)