1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সদ্যোজাত শিশুদের মনেও সহানুভূতি কাজ করে

২ অক্টোবর ২০১৮

সদ্যোজাত শিশুর আচরণ আশেপাশের সবাইকে মুগ্ধ করে৷ কিন্তু তাদের মনের মধ্যে কী চলছে, তা বোঝা বেশ কঠিন হয়৷ বিশেষজ্ঞরা শিশুদের বিকাশ ও তাদের অনুভূতি সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য জানতে পেরেছেন৷

https://p.dw.com/p/35nXB
Philippinen Mütter Aktion für das Stillen in Manila
ছবি: Getty Images/AFP/N. Celis

শিশুরা গভীর কৌতূহল নিয়ে চারিপাশের জগত পর্যবেক্ষণ করে, সবকিছু বোঝার চেষ্টা করে৷ অন্যদের মনের মধ্যে কী চলছে, সেটা বোঝাই সবচেয়ে কঠিন কাজ৷ সাবিনা পাউয়েন-এর মতো বিকাশ সংক্রান্ত মনস্তাত্ত্বিক আবিষ্কার করেছেন, যে শিশুরা অত্যন্ত কম বয়সেই সহানুভূতি দেখাতে শুরু করে৷ যেমন কার্লার বয়স ১২ মাস৷ কার্লা অন্য মানুষের পছন্দ-অপছন্দ বোঝে কিনা, কয়েকটি খেলনার সাহায্যে প্রোফেসর পাউয়েন তা জানতে চান৷

কার্লাকে দেখানো হয়েছে, যে এক পুরুষ পশুপাখি দেখে মুগ্ধ হন৷ এক নারী গাড়ি দেখলে চোখ সরাতেই পারেন না৷ গাড়ি ও পশুপাখির স্থান পরিবর্তন করলেও তাঁদের মনোভাবের কোনো পরিবর্তন হয় না৷ ১০ বার একই পরীক্ষা করা হয়েছে৷ সে সব দেখে কার্লা কি এই দু'জনের পছন্দ বুঝতে পারবে? অবশ্যই তাকে সরাসরি প্রশ্ন করার উপায় নেই৷

সৌভাগ্যবশত এর একটি বিকল্প রয়েছে৷ পরীক্ষার শেষ পর্যায়ে পুরুষটি গাড়ির দিকে তাকিয়েছেন, নারীটি পশুপাখির দিকে৷ এই পরিবর্তন কার্লার নজরে পড়বে কি? বিকাশ সংক্রান্ত মনস্তাত্ত্বিক প্রো. সাবিনা পাউয়েন বলেন, ‘‘সে কেমন আরও মনোযোগ দিয়ে ঘটনার বিশ্লেষণের চেষ্টা করছে, তা আমরা দেখতে পাচ্ছি৷ সে বস্তুগুলিও ভালো করে দেখছে৷ তার ছোট্ট মাথায় অনেক কিছু চলছে৷ পরিবর্তনের কারণ বোঝার চেষ্টা করছে৷ ১২ মাস বয়সের শিশুও পছন্দ-অপছন্দের পরিবর্তন লক্ষ্য করে৷ তারা মুখচ্ছবি দেখে সবসময়ে বিস্মিত হয়৷ মানুষ কোন দিকে, কীভাবে তাকিয়ে রয়েছে, কোন আবেগ দেখাচ্ছে, সে সব লক্ষ্য করে৷ তাদের কাছে এটা খুবই উত্তেজনার কারণ৷''

জো-এর বয়স আরেকটু বেশি৷ ৩ বছরের যে কোনো শিশুর মতো সে যথেষ্ট সহানুভূতি দেখায়৷ গবেষকের হাত বাক্সের মধ্যে আটকে গেছে দেখে সে চিন্তিত হয়ে সাহায্য করতে চায়৷

সেই ব্যক্তি একটি বেলুন হারিয়ে ফেললে জো আবার হস্তক্ষেপ করে৷ সে নিজেই তাঁকে একটা বেলুন দেয়৷ তবে আদৌ তাদের সাহায্যের প্রয়োজন আছে কিনা, নাকি কেউ অভিনয় করছে – শিশুরা ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে তা বোঝার চেষ্টা করে৷

শিশুদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সহানুভূতিও বাড়ে৷ বড়দের পর্যবেক্ষণ করেও তারা শেখে৷ প্রো. হাউন বলেন, ‘‘শুধু আমরা শেখানোর চেষ্টা করলেই শিশুরা শেখে না৷ তারা সব সময়ে তাদের সামাজিক পরিবেশ থেকেও শিক্ষা নেয়৷ একদিকে শিশুদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়, অন্যদিকে তাদের আচরণবিধিও শিখতে হয়৷ তাই প্রাপ্তবয়স্করা যখন শিশুদের সঙ্গে ভাবের আদানপ্রদান করে, তখন শিশুরা সেই তথ্য শুষে নেয় বলে আমাদের ধরে নিতে হবে৷ সে কারণে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে আমরা ‘রোল মডেল' হয়ে উঠি৷ আমাদের মনে নির্দিষ্ট মাত্রার দায়িত্ববোধ জন্মায়৷''

          

শিশুরা কীভাবে ভাবনাচিন্তা ও অনুভব করছে, তাদের মনের ধারাবাহিক বিবর্তনের ফলেই বা কী ঘটছে, গবেষকরা তা বোঝার চেষ্টা করছেন৷

মাইকে শেফার/এসবি

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান