সত্যজিৎ রায়ের ১০১তম জন্মবার্ষিকী
সত্যজিৎ রায় যে বাড়িতে জীবনের অনেকগুলি বছর কাটিয়েছিলেন, সেখানেই পালিত হলো তার ১০১তম জন্মবার্ষিকী। ডিডাব্লিউর ক্যামেরায় ধরা থাকল সেই উদযাপন।
সেই বাড়িতে
আগে নাম ছিল বিশপ লেফ্রয় রোড, এখন নাম বদলে হয়েছে সত্যজিৎ রায় ধরণী। এই বাড়িই ছিল সত্যজিতের কর্মক্ষেত্র। জীবনের অনেকগুলো বছর এখানে কাটিয়েছেন প্রবাদপ্রতিম এই পরিচালক। প্রিয় চেয়ারে বসে স্ক্রিপ্ট লিখেছেন, ছবি এঁকেছেন, ফেলুদা, শঙ্কু সিরিজের কাহিনির জন্ম দিয়েছেন। তার হাত থেকে বেরিয়ে এসেছে অসাধারণ সব ছোটগল্প। এসেছে নতুন ছবির ভাবনা।
বাড়ির সামনে
সেই বাড়ির সামনেই তৈরি হয়েছিল স্মরণের জায়গা। সুসজ্জিত একটা টেবিলের উপর সত্যজিৎ ও তার স্ত্রী বিজয়া রায়ের ছবি রাখা। তাতে ফুল-মালা দেয়া। সত্যজিতের জন্মদিবস ২ মে-তে অনেকে এলেন। রেখে গেলেন তাদের শ্রদ্ধার্ঘ।
সন্দীপ রায় ও সব্যসাচী চক্রবর্তী
শ্রদ্ধা জানালেন সত্যজিতের একমাত্র ছেলে এবং পরিচালক সন্দীপ রায়। তার সঙ্গে ছিলেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। সন্দীপের অনেকগুলি ছবিতে ফেলুদার ভূমিকায় দেখা গেছে সব্যসাচীকে।
পুত্রবধূর শ্রদ্ধার্ঘ
সত্যজিতের ছবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ জানাচ্ছেন তার ছেলে সন্দীপ রায়ের স্ত্রী।
বেহালার সুর
সত্যজিৎকে বেহালার সুরে শ্রদ্ধা জানানো হলো।
গড়পাড়ের বাড়িতে
সত্যজিতের জীবনের প্রথম কয়েকবছর কেটেছে গড়পাড়ের বাড়িতে। সেখানেই আছে তিন পুরুষ উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার ও সত্যজিতের মূর্তি। সত্যজিতের জন্মদিবসে তিন পুরুষের মূর্তিতে ফুল-মালা দেয়া হয়েছে।
এথেনিয়াম ইনস্টিটিউশন
গড়পাড় রোডের বাড়িতে এখন এথেনিয়াম ইনস্টিটিউশন। এই স্কুলের উল্লেখ সত্যজিতের অনেক লেখায় আছে। এই বাড়ি থেকেই সন্দেশ পত্রিকা বের করেছিলেন উপেন্দ্রকিশোর। সেই সন্দেশে সুকুমার ও সত্যজিতের অনেক লেখা বেরিয়েছে। সম্পাদনাও করেছেন তারা। এই বাড়িও সাজানো হয়েছিল ফুল-মালায়।
সত্যজিতের ঘর
এবার আর বাড়ির ভিতরে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। তাই নীচে সত্যজিতের ছবিতেই শ্রদ্ধার্ঘ দিতে হয়েছে। এমনিতে জন্মদিনে বাড়িতে সত্যজিতের স্মৃতিবিজড়িত জায়গা দেখা যেত। আগের বছরের ছবি।
সত্যজিতের চেয়ারে
সত্যজিৎ রায়ের ব্যবহার করা চেয়ার ও টেবিল। এখন তা ব্যবহার করেন ছেলে সন্দীপ। তিনিও পরিচালক। ফেলুদা সিরিজের অনেক সিনেমা করেছেন। করেছেন প্রফেসার শঙ্কুকে নিয়ে ছবি। এর বাইরেও বেশ কিছু সিনেমার পরিচালক সন্দীপ রায়। সত্যজতের উত্তরাধিকার বহন করছেন তিনি।