1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সতর্ক না হলে আরো খারাপ দিন দেখতে হবে বাংলাদেশকে’

নোমান মোহাম্মদ ঢাকা
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে কোচ ও ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও আশঙ্কা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/3paxL
নাজমুল আবেদীন ফাহিম
নাজমুল আবেদীন ফাহিমছবি: Private

ডয়চে ভেলে : ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটো টেস্টেই হারে কি আপনি অবাক হয়েছেন? নাকি মনে হয়েছে, এমনই হবার কথা ছিল?

নাজমুল আবেদীন ফাহিম : কিছুটা তো অবাক হয়েছি বটেই৷ কয়েক বছর আগে ওরা আমাদের এখানে এসেছিল৷ সাম্প্রতিক সময়ে ওদের পারফরম্যান্স তেমন ভালো না৷ আর আমরাও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভালো খেলছিলাম৷ ওরা পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে এলেও আশা করতাম, আমরা জিতবো৷ এবং অবশ্যই ওরা পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে আসেনি এবার৷ আবার আমার মনের মধ্যে ছিল, টেস্ট ক্রিকেট খেলার জন্য এবার আমাদের কোনো প্রস্তুতিই ছিল না৷ তারপরও যোগ-বিয়োগ করে আমার মনে হচ্ছিল, এরকম একটা দলের বিপক্ষে নিজেদের দেশে খেলায় আমরা জিতে যাবো৷

প্রথম টেস্টের শেষ দিনে কাইল মেয়ার্সের স্পেশাল ইনিংসে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷ পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের কাছে দ্বিতীয় টেস্টে আগ্রাসী ক্রিকেট এবং প্রবল প্রত্যাবর্তন নিশ্চয়ই আশা করেছিলেন?

বাংলাদেশ যে অবস্থা থেকে হারলো প্রথম টেস্ট, সেটি একটু ডিমোরালাইজিং৷ প্রত্যাশিত ফল না পেলে অনেক সময় আমাদের মনোবল ভেঙে পড়ে৷ ভারতের উদাহরণ এখানে দিতে চাই৷ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ৩৬ রানে অলআউট হবার পরও ওদের মধ্যে ফিরে আসার তাগিদ ছিল৷ নিজস্ব খেলার প্রসেস থেকে বিচ্যুত হয়নি৷ যেমন ঢাকা টেস্টেও আমরা স্পিনিং উইকেট করবো, তা দিয়েই বিপক্ষ দলকে ধরাশায়ী করবো- এই ভাবনার মধ্যেই একটা নেতিবাচক ব্যাপার ছিল৷ তবে প্রথম টেস্টের শেষ ইনিংসের মতো দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও আমরা তেমন ভালো বোলিং করতে পারিনি৷ সেই ইনটেন্টটা দেখাতে পারিনি৷ শুধু যখন প্রথম ইনিংসে অনেক পিছিয়ে পড়লাম, এরপর তা দেখা গেল৷ ‘‘আমরা কোণঠাসা হয়ে গেছি, ওদের অল্প রানে অলআউট করতেই হবে’’- এমন একটা তাগিদ দেখেছি৷ শরীরী ভাষা খুব স্ট্রং ছিল৷ তখন যে কিলার ইন্সটিংক্ট দেখেছি, তার অভাব সিরিজের অন্য সময় জুড়ে ছিল৷

‘জাতীয় দলের অধিনায়ক হবার জন্য ওর চেয়ে (মুমিনুল) যোগ্য ব্যক্তি বাংলাদেশ দলে আছে’

কিন্তু তা তো টেনে নেয়া যায়নি, কারণ এরপর ২৩১ রান তাড়া করেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ!

টেনে নেয়া উচিত ছিল৷ আসলে টেনে নেয়ার দরকার পড়তো না, যদি প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতেন৷ যদি নিজেদের স্কোরগুলো বড় করতেন৷ তাহলে প্রথম ইনিংসে এত পিছিয়ে থাকা লাগে না৷ তখন দ্বিতীয় ইনিংসেও কম রান তাড়া করতে হতো৷ তবে এটা সত্ত্বেও বলছি, ২৩১ রান তাড়া করা অবশ্যই বাংলাদেশের উচিত ছিল৷

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের অমন দায়িত্বহীন ব্যাটিং করতে তো এই প্রথম দেখা গেল না৷ সর্বশেষ টেস্টে মুশফিকের রিভার্স সুইপ ,কিংবা ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের কাছে টেস্ট হারে সাকিবের স্টেপ আউট করে বেরিয়ে এসে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার কথা বলা যায়৷ টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের উইকেটের মূল্যটা বুঝতে পারেন বলে আপনার মনে হয়?

সবাই যে ভালো করতে চায়, তাতে সন্দেহ নেই৷ তবে দীর্ঘ পরিসরের খেলায় চাপ সামলানো খুব জটিল৷ এই ফরম্যাটের ঘরোয়া ক্রিকেটে চাপ সামলানোর কোনো ব্যাপারই নেই৷ সেখানে জিতলে খুব খুশি, কিন্তু হারলে কোনো অসুবিধা হয় না৷ চাপের মুহূর্তে পারলে পারলাম, না পারলে নাই৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ‘না পারলে নাই’ কথাটা বলতে পারি না৷ এটির মুখোমুখি হতে হয়৷ কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাবে সে চাপ জয় করা যায় না৷ টেস্টে ভালো খেললে আমরা তা টেনে নিতে পারি হয়তো৷ কিন্তু কঠিন মুহূর্তে সেভাবে সাড়া দিতে পারেন না আমাদের ব্যাটসম্যানরা৷

বাংলাদেশ ক্রিকেটের নীতিনির্ধারণ সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও নিশ্চয়ই চায় টেস্টে জাতীয় দল ভালো করুক৷ কিন্তু সেটির প্রস্তুতির যে জায়গা, সেই ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতিতে নজর দেয় না কেন?

একেবারে গোড়ার কথা হলো, আমরা সবকিছু নিজেদের হাতে ধরে রাখতে চাই৷ আমাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দল তৈরি করে কে? বোর্ড৷ এই দলের কোচিং স্টাফ কে ঠিক করে? বোর্ড৷ প্রস্তুতি কেমন হবে, তা কে ঠিক করে? বোর্ড৷ এখানে তাই ওনারশিপের ব্যাপার নেই৷ একদল মানুষ ৮-১০টা টিমের সব কিছু নিজেরা করছে৷ এটা কখনোই প্রতিযোগিতামূলক আবহ তৈরি করতে পারে না৷ যদি আলাদা করে বিভিন্ন গ্রুপকে দায়িত্ব দেয়া হতো, তাহলে কেউ কারো সঙ্গে হারতে চাইতো না৷ সর্বশেষ যে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট (বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ) হলো, সেখানে সবাই যার যার মতো সেরা দল তৈরির চেষ্টা করেছে, জেতার চেষ্টা করেছে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের চেষ্টা করেছে৷ আমার দেখা মতে, সেটি ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের গত ২০ বছরের অন্যতম সেরা টুর্নামেন্ট৷ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক টুর্নামেন্ট৷ এমন কোনো সুযোগই আমাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নেই যেখানে কেউ জিতলে খুশি হয়, কিন্তু হারলেও একটু মন খারাপ হয় না৷

এর সমাধান তাহলে কী? প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটটাও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের মতো কিছু করা?

দল তৈরির স্বাধীনতা দিতে হবে৷ তাহলে দায়বদ্ধতা তৈরি হবে৷ খুলনার দল যদি খুলনার লোকজন ঠিক করে, তাহলে পুরো খুলনার লোকের কাছে তাদের দায়বদ্ধতা হবে৷

মানে অনেক বছর ধরে শুনে আসা আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার পথে হাঁটার পরামর্শ আপনার?

একেবারে৷ বোর্ড না হয় শুরুতে অর্থনৈতিক ব্যাপারটা নিজেদের হাতে রাখুক৷ কিন্তু দল তৈরি করা, ট্রেনিং করানোর কাজগুলো ওদের দিয়েই করাতে হবে৷ তাহলে ওনারশিপ তৈরি হবে৷

এগুলো তো বড় পরিসরের কথা৷ এবার টেস্টে আসি আবার৷ স্পিনিং ট্র্যাক বানিয়ে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর মতো কিছু সাফল্য বাংলাদেশ পেয়েছে৷ একাদশে পেসার থাকেন একজন বা কখনো থাকেনই না৷ এই ফর্মুলায় কি টেস্টে কার্যকর সাফল্য পাবে বাংলাদেশ?

এটা তো অলরেডি ব্যাকফায়ার করেছে৷ কারণ, সব দেশে এখন ভালো স্পিনার আছে; স্পিনের বিপক্ষে ভালো খেলার মতো ব্যাটসম্যান আছে৷ আর আমাদের ব্যাটসম্যানদের সক্ষমতা এখন অনেক বেড়েছে৷ প্রতিপক্ষ পেস বোলিং দিয়ে উড়িয়ে দেবে, অমন ভয় পাবার কারণ নেই৷ পেস ও স্পিনের সংমিশ্রণে একটা বোলিং আক্রমণ তাই আমাদের তৈরি করতে হবে৷

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টেস্ট সিরিজ হারের পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন তার ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে৷ কিন্তু আপনি কি মনে করেন না, এর চেয়ে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করাটাই বোর্ডের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

অবশ্যই৷ যে পদ্ধতিতে আমরা দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটার তৈরি করছি, তাতে অনেক ভুল আছে৷ যে কারণে ওখান থেকে আন্তর্জাতিক মানের টেস্ট ক্রিকেটার আমরা পাবো না৷ হঠাৎ হয়তো এক-দুজন পাবো৷ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই সিরিজের কথা বললে, এজন্য আমরা কোনো প্রস্তুতিই নিতে পারিনি৷ এর একটা কারণ হতে পারে, কোভিডের কারণে আরো দীর্ঘ সময় বায়োবাবলে থাকতে হবে বলে প্রস্তুতির সময়টা দীর্ঘ হবার ব্যাপারটা ক্রিকেটাররা হয়তো মেনে নিতে পারেননি৷ সেটি ভীষণ ভুল৷ ভীষণ অপেশাদার৷ আরেকটা ব্যাপার হয়ত, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতবেই বলে ধরে নিয়েছিল৷ যদি জানতো এমন ফল হতে পারে, তাহলে আরো অনেক ভালো প্রস্তুতি নিতো৷

মানে, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে খাটো করে দেখেছিল বাংলাদেশ?

অবশ্যই৷

বাংলাদেশ দলের যথাযথ প্রস্তুতি না হওয়ার দায় অবশ্যই বোর্ডের রয়েছে৷ তবে ক্রিকেটারদেরও নিশ্চয়ই নিজেদের জায়গা থেকে হাত তুলতে হবে যে, নিজেদের জায়গা থেকে তারাও কাজটা করতে পারেননি?

পুরোপুরি৷ আমি নিশ্চিত এখন অনেক ক্রিকেটারই ভাবছেন, ইশশ আমি যদি এমন করতাম কিংবা অমন করতাম! যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে ওদের খেলার কথা, সেটির ঘাটতি দেখেছি৷ টিম ম্যানেজম্যান্টের সেটি আগে থেকে দেখে ক্রিকেটারদের সেভাবে তৈরি করা দরকার ছিল৷

টিম ম্যানেজমেন্টের কথা বলছিলেন৷ কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর অধীনে ৭ টেস্ট খেলে ছয়টিতে হেরেছে বাংলাদেশ৷ এর মধ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই দুটি হারও আছে৷ তার পারফরম্যান্সকে কিভাবে মূল্যায়ন করছেন? এবং অধিনায়ক মুমিনুল হকেরও?

আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, মুমিনুল হক নিজেও কখনো ভাবেনি সে বাংলাদেশ দলের ক্যাপ্টেন হবে৷ আমি নিজেও কখনো ভাবিনি৷ ওকে তো ছোটবেলা থেকে চিনি৷ ও খুব ভালো ক্রিকেটার৷ এই সিরিজেও ভালো খেলেছে৷ আরো ভালো খেলবে, আশা করছি৷ কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে ওকে আমি কখনো দেখিনি৷ জাতীয় দলের অধিনায়ক হবার জন্য ওর চেয়ে যোগ্য ব্যক্তি এই বাংলাদেশ দলে আছে৷ আমি মমিনুলকে দোষ দিতে চাই না, কারণ, আমার মনে হয়েছে, ক্যাপ্টেন্সিটা মুমিনুলের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে৷ আবার এটিও আমি নিশ্চিত না, ক্যাপ্টেন্সি ও নিজে কতটা করতে পেরেছে; কতটা বাইরে থেকে নির্দেশনার ভিত্তিতে করতে হয়েছে৷

আর কোচ?

কোচের দায়িত্বই তো এখানেই৷ তার বুঝতে হবে, দল কোন জায়গায় রয়েছে, কী করলে আরো ভালো করবে৷ প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাপারটা দেখুন৷ ওরা নিজেদের আন্ডারডগ ভেবেছে৷ প্রথম টেস্ট জয়ের পর, দ্বিতীয় টেস্ট জয়ের পর ওদের উল্লাসের ধরন দেখলেই বুঝবেন৷ দ্বিতীয় টেস্ট শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপের কমেন্ট্রি শুনলেই বুঝবেন৷ ওরা কল্পনাই করতে পারেনি, এ সিরিজ জিতবে৷ সে কারণেই অত উল্লাস৷ ওদের জন্য এটি অবিশ্বাস্য এক অর্জন৷

টেস্টে বিপর্যয়ের পর আমরা সবাই অনেক কথা বলি৷ কিন্তু কাজের কাজ হয় না তেমন৷ বরং পরের বিপর্যয়ের পর আবার সেই কথাগুলোই ফেরে৷ ভবিষ্যতে বাংলাদেশ যথাযথ টেস্ট দল হিসেবে গড়ে উঠবে, এরকম কোনো সম্ভাবনার জায়গা দেখেন?

এখনো দেখি না৷ দেখুন, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটীয় সুযোগ-সুবিধা কিন্তু আমাদের মতোই৷ তবে ওদের সবাই টেস্ট দল হিসেবে দেখে৷ কারণ, ওরা সেভাবে কমপিট করতে পারে৷ শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশে প্রতিভাবান ক্রিকেটারের সংখ্যা কোনো অবস্থাতেই কম না৷ তবু আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে আছি৷ আগে যে বলছিলাম, কিছুটা ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণ, কিছুটা ওনারশিপ দেয়া, কিছুটা সততা- এসব নিশ্চিত করতে পারলে আমাদের পারফরম্যান্স তো এমনিতেই ৫০ শতাংশ বেড়ে যাবে৷ আর টেস্ট ক্রিকেটের কারণে এক সময় আমাদের ওয়ানডে স্ট্যান্ডার্ডও পিছিয়ে যাবে৷ আফগানিস্তান কি এখনকার জায়গায় থাকবে? থাকবে না৷ গত দুই বছরে ওদের উন্নতি দেখেন৷ আয়ারল্যান্ড এ জায়গায় থাকবে? হতে পারে, ওদের আমাদের মতো টাকা-পয়সা নেই৷ কিন্তু কেউ যদি সৎভাবে এগিয়ে যেতে চায়, তাকে আটকানো যায় না৷ দেখবেন হয়তো ভবিষ্যতে আয়ারল্যান্ডও আমাদের জন্য হুমকি হবে৷ তাই আমরা যদি এখনই সতর্ক না হই, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের যথেষ্ট দুর্নাম হবে৷ আরো অনেক অনেক খারাপ দিনও দেখতে হতে পারে৷