1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংশোধিত লোকপাল বিল

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৩১ জানুয়ারি ২০১৩

বিতর্কিত লোকপাল বিলের খসড়ায় সংসদীয় কমিটির সুপারিশগুলি অন্তর্ভুক্ত করার পর, তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়৷ যদিও আন্না হাজারে এবং অরবিন্দ কেজরিয়ালের মতো দুর্নীতি বিরোধী নেতা এতেও সন্তুষ্ট নন৷

https://p.dw.com/p/17VAv
ছবি: picture-alliance/dpa

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বৃহস্পতিবার দুর্নীতি-বিরোধী বিতর্কিত লোকপাল বিলের সংশোধিত খসড়া অনুমোদন করেছে৷ সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার ‘সিলেক্ট কমিটি' ১৬টি সংশোধনের সুপারিশ করে, যার মধ্যে দুটি ছাড়া ১২টি সুপারিশ মেনে নিয়েছে সরকার, বলেন প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ স্বামী৷

গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনগুলির মধ্যে লোকায়ুক্ত নিয়োগের ক্ষমতা দেয়া হয় রাজ্যগুলিকে, আগে যেটা ছিল কেন্দ্রের হাতে৷ সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে লোকপাল সরাসরি তদন্তের আদেশ দিতে পারবেন৷ কিন্তু সরকারি আমলাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার থাকবে৷ আর কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআই থাকবে সরকারের অধীনে৷

Indischer Bürgerrechtler Kisan Anna Hazare Hungerstreik Neu Delhi
দুনীর্তি রোধে এই সংশোধন যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের নেতা আন্না হাজারেছবি: picture-alliance/dpa

রাজনৈতিক দলগুলি লোকপালের আওতার বাইরে থাকবে৷ এছাড়া, ধর্মীয় সংগঠন ছাড়া সরকারি সাহায্য-পুষ্ট স্বয়ংসেবী সংস্থাগুলিও থাকবে লোকপালের আওতায়৷ পাঁচ সদস্যের লোকপাল সংস্থায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, সংসদের স্পিকার, সংসদে বিরোধী দলনেতা, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং একজন বিশিষ্ট জুরি৷ লোকপাল সদস্যদের সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি তাঁকে নিয়োগ করবেন৷

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ডিসেম্বরে লোকপাল বিলটি পাশ হয়েছিল সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায়৷ কিন্তু উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় তা পাশ না হওয়ায়, সেটিকে পাঠানো হয় সিলেক্ট কমিটিতে৷ সংশোধিত লোকপাল বিল এবার পেশ করা হবে রাজ্যসভায় আগামী মাসে সংসদের বাজেট অধিবেশনে৷

এদিকে, দুনীর্তি রোধে এই সংশোধন যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের নেতা আন্না হাজারে৷ গোটা দেশে নতুন করে প্রতিবাদ আন্দোলনের হুমকি দিয়ে তিনি গোটা ‘সিস্টেম'-কে পালটানোর লক্ষ্যে জনতন্ত্র মোর্চা গঠনের ঘোষণা দেন৷ বলেন, সংসদে ১৬৩ জন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি থাকলে তাঁরা কী আইন পাশ করবেন, তা সহজেই অনুমেয়৷ জনলোকপাল বিল পাশ হলে ১৫ জন মন্ত্রী এখন থাকতেন জেলে৷

একধাপ এগিয়ে আমআদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘‘সবকিছু ছেড়ে একটি দাবি মানলেই যথেষ্ট ছিল৷ আর সেটা হলো, সিবিআইকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করে সম্পুর্ণ স্বাধীনতা দেয়া৷ সংশোধিত লোকপাল বিল পাশ করে আগামী বছরের নির্বাচন সামনে রেখে সরকার ভোট রাজনীতি করছে মানুষের চোখে ধুলো দিতে৷ কিন্তু দেশের মানুষ এত বোকা নয়৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য