1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংকটকালীন আচরণ: ম্যার্কেল-রানি বনাম ট্রাম্প 

৯ এপ্রিল ২০২০

আঙ্গেলা ম্যার্কেল আর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ কী দিলেন, যা ডনাল্ড ট্রাম্প পারেননি? এই প্রশ্নের উত্তর, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতাদের কাছ থেকে নাগরিকরা যা আশা করেন তার উপর আলো ফেলছে বলে মনে করেন ডিডাব্লিউর মেলিন্ডা ক্রেন৷

https://p.dw.com/p/3agzq

১. সোজাসাপ্টা কথা

খুব বেশিদিন হয়নি ওয়াশিংটনের এক বন্ধুর কাছ থেকে আমি এই বার্তাটি পেয়েছিলাম, ‘জার্মানির ৬০ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হবে, আঙ্গেলা ম্যার্কেলের এই বক্তব্য তাঁকে এখানে তাৎক্ষণিকভাবে নায়কে পরিণত করেছে৷’ সংকটের শুরুর দিনগুলোতে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল প্রথমবারের মতো নাগরিকদের উদ্দেশে সরাসরি বক্তব্য় দেন৷ এর আগে তিনি শুধু নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বছরে একবার ভাষণ দিতেন৷ বক্তব্যে ম্যার্কেল করোনা সংকটকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন৷ তাঁর সরকার এই সংকট থেকে নাগরিকদের কীভাবে রক্ষা করবে তাও ব্যাখ্যা করেন তিনি৷ 

টেলিভিশনে প্রচারিত ঐ বক্তব্যের পরও বিভিন্ন পডকাস্ট আর সংবাদ সম্মেলনে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরেছেন ম্যার্কেল৷ এমনকি হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা ও টয়লেট পেপার ব্যবহারের মতো ক্ষুদ্র বিষয়েও কথা বলেছেন৷

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাঁর ভাষণের শুরুতেই নাগরিকদের দুঃখ, কষ্ট ও দেশের আর্থিক সংকটে পড়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের মতোই রানি তাঁর বক্তব্যে কোনো মিথ্যা আশ্বাস দেয়ার চেষ্টা করেননি৷ 

নাগরিকদের সামনে যখন প্রকৃত ও সত্য তথ্য থাকে তখন তাঁরা ঝুঁকি কমাতে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন৷ বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়ার মাধ্যমে নেতারা ধারণাতীত বিপদের ঝুঁকি নিয়ে আসেন৷

২. সহানুভূতি ও উদাহরণ

অন্য়ের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর ক্ষেত্রে ম্যার্কেল আর রানি সুপরিচিত না হলেও এই মহামারির সময়ে তাঁরা দুজনই এক্ষেত্রে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন৷ বক্তব্যে তাঁরা দুজনই নিজেদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে নাগরিকদের আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন৷ 

রানি তাঁর ভাষণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ব্রিটেনের উপর জার্মানির বোমা হামলার সময় দেয়া বক্তব্যের উল্লেখ করেন৷ আর ম্যার্কেল তাঁর বক্তব্যে বলেন, পূর্ব জার্মানিতে বেড়ে ওঠায় তিনি জানেন চলাফেরায় স্বাধীনতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ৷ 

সবার সুস্থতার জন্য নাগরিকরা যে অসুবিধার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তার জন্য দুজনই কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন৷

রানি ও তাঁর স্বামী ১৯ মার্চ থেকে সেলফ আইসোলেশনে চলে গিয়েছিলেন৷ ম্যার্কেলও দুই সপ্তাহ হোম কোয়ারান্টিনে ছিলেন৷ এছাড়া যে সময় জার্মানরা ‘প্যানিক বায়িং’ করছিলেন তখন ম্যার্কেল নিজে একটি সুপারমার্কেটে গিয়ে কেনাকাটা করেছেন৷ সেই সময়কার প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, তিনি টয়লেট পেপারের মাত্র একটি প্যাকেট কিনেছেন৷ মাত্রাতিরিক্ত কেনাকাটা তিনি করেননি৷

অন্যদিকে, ট্রাম্পকে দেখা গেছে সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রায়সময়ই নিজের প্রশংসা করছেন, মাঝেমধ্যে আশেপাশে থাকা কর্পোরেট কর্তাদেরও প্রশংসা করেন তিনি৷ একই সময়ে তিনি তাঁর স্বাস্থ্য উপদেষ্টাদের অপমান করেন, সমালোচকদেরও বকাঝকা করেন৷

সংকটের সময় স্বচ্ছতা আর সহানুভূতি চায় মানুষ৷ এতে নেতাদের উপর আস্থা তৈরি হয়, যেটা ম্যার্কেল আর রানি পেরেছেন, ট্রাম্প পারেননি

মেলিন্ডা ক্রেন/জেডএইচ 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য