1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সংকট কাটবেনা’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৯ এপ্রিল ২০১৩

বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কারাগারে আটক রাখা হলে রাজনৈতিক সংকট আরো বাড়বে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷ তাঁদের মতে, নেতাদের মুক্ত করে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে দেয়া উচিত৷

https://p.dw.com/p/18CPz
Opposition secretary-general for the Bangladesh Nationalist Party (BNP), Mirza Fakhrul Alamgir, shout slogans after a court sent 33 opposition figures to jail including lawmakers and senior officials ahead of their trial over violence at a series of anti-government protests in Dhaka on May 16, 2012. The court order sparked demonstrations outside the court by supporters of the BNP, forcing police to use batons to disperse them. AFP PHOTO/ STR (Photo credit should read STRINGER/AFP/GettyImages)
ছবি: Getty Images

বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী ১৮ দলের ৩৬ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকায় তেমন কোন উত্তাপ ছিলনা৷ পিকেটারদের বা কারাগারের বাইরে থাকা নেতাদের তেমন মাঠে দেখা যায়নি৷ দু'একজনকে অল্প সময়ের জন্য বাইরে দেখা গেলেও গ্রেফতার আতঙ্কে তারা দ্রুত আবার আড়ালে চলে যান৷ তবে ঢাকার বাইরে কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে৷ আর বগুড়ায় পিকেটারদের ইট পাটকেলের আঘাতে একজন ট্রাক ড্রাইভারের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷

এদিকে হরতাল চলাকালে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির কোনো শীর্ষ নেতাকে দেখা যায়নি৷ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু৷ তিনি দাবি করেন, হরতালে তাদের ৫ জন নেতা-কর্মীকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত৷ সারা দেশে ২০০ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে৷ তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় নেতাদের আটক করে আন্দোলন দমানো যাবেনা৷ আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পতন ঘটান হবে৷

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১১ শীর্ষ নেতা এখন কারাগারে৷ মঙ্গলবার তাঁদের জামিনের আবেদন জানান হলেও আদালত ২১শে এপ্রিল জামিন আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেছেন৷ তাই ধরেই নেয়া যায়, ২১শে এপ্রিলের আগে এই নেতাদের কেউ মুক্তি পাচ্ছেন না৷ ফখরুল ছাড়া আটক অন্য নেতারা হলেন: ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, আব্দুল্লাহ আল নোমান, রুহুল কবির রিজভী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ ভুলু, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল৷ হরতালের সময় গাড়ি ভাঙচুরসহ নাশকতার মামলায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়৷

এই পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ নিয়ে তার কোন কথা নেই৷ তাঁরা অপরাধ করেছেন কি করেন নি, তা আদালতেই নির্ধারিত হবে৷ তবে এই শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতারে রাজনৈতিক সংকট আরো বাড়বে৷ সরকারের উচিত বিরোধী দলের নেতাদের মুক্ত এবং স্বাধীনভাবে সভা-সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেয়া ৷ বিরুদ্ধ মতকে কারাবন্দি করে রাখা ঠিক না৷

অন্যদিকে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্রের পরিচালক মানবাধিকার নেতা নূর খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, শীর্ষ বিরোধী নেতাদের এভাবে কারাবন্দি রাখলে সংবিধান, আইনের শাসন এবং গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ এতে সামনের নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর অনিশ্চিত হয়ে পড়বে৷

তিনি বলেন, আটক বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগই থাকুক না কেন, তাঁদের জামিনে মুক্তি দেয়া উচিত৷ কারণ তারা দেশের সুপরিচিত রাজনীতিবিদ৷ তাঁরা দেশ থেকে পালিয়ে যাবেন, এমন ধারণা করা ঠিকনা৷ আর গণতান্ত্রিক চর্চায় আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত৷ বিরোধী দলের জন্য নিবর্তনমুলক আর সরকারি দলের জন্য সহযোগিতামূলক – এই নীতি আইনের শাসনের পরিপন্থি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য