1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত

১০ নভেম্বর ২০১৮

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা শনিবার সংসদ ভেঙে দিয়ে আগামী ৫ জানুয়ারি পুনরায় নির্বাচনের ঘোষণা করেছেন৷ এই ঘোষণার ফলে দেশটির জন্য ক্ষতিকর রাজনৈতিক অচলাবস্থা আরো অন্তত দুই মাস দীর্ঘায়িত হলো৷

https://p.dw.com/p/380so
ছবি: Getty Images/AFP/L. Wanniarachchi

শুক্রবার রাতে প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধিতা করছে দেশটির ২২৫-আসন বিশিষ্ট সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধিত্ব থাকা দলগুলো৷ তারা মনে করছে, সংসদ ভেঙে দেয়ার এই সিদ্ধান্ত ‘অবৈধ' এবং ‘অসাংবিধানিক'৷

সংসদ ভেঙে দেয়ার আগে অবশ্য পুলিশ বিভাগকেও নিজের হাতে নিয়ে নেন সিরিসেনা৷ তিনি এই বাহিনীকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভূক্ত করেছেন৷ পাশাপাশি তিনি রাষ্ট্রের মুদ্রণ বিভাগেরও দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছেন, যেটি বিভিন্ন ফরমান এবং ঘোষণাপত্র প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ গত ২৬ অক্টোবর দেশটির তখনকার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে পদচ্যুত করার পর রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমেরও দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছিলেন সিরিসেনা৷ 

৫ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন ঘোষণার মাধ্যমে সিরিসেনা কার্যত দেশটির পরবর্তী সংসদ নির্বাচন দুই বছর এগিয়ে আনলেন৷ তাঁর সমর্থিত প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, যিনি অতীতে দীর্ঘসময় দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন, সংসদে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে যে ব্যর্থ হবেন, সেটা বোঝার পরই নির্বাচন এগিয়ে আনার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তিনি৷ ৭২ বছর বয়সি রাজাপাকসে দুই সপ্তাহ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও একবারও সংসদে যাননি৷ তবে, তিনি আগামী ১৭ জানুয়ারি নতুন সংসদদের অধিবেশন বসার আগ অবধি দেশটির নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার প্রধানের ভূমিকা পালন করবেন৷

রাজাপাকসের দলের নেতা সুশীল প্রেমাজয়ন্ত বলেছেন, ক্ষমতার লড়াইয়ের ইতি টানতে এবং নতুন সংসদ গঠনে জনগণকে সুযোগ দিতে সংসদ ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন সিরিসেনা৷

প্রসঙ্গত, রাজাপাকসে এবং ক্ষমতাচ্যুত বিক্রমাসিংহে গত দুই সপ্তাহ ধরে নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ে লিপ্ত ছিলেন৷ সংসদে নিজ জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় রাষ্ট্রপতি তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করলেও সেটা মেনে নেননি বিক্রমাসিংহে৷ বরং নিজেকে ‘বৈধ প্রধানমন্ত্রী' মনে করছেন তিনি৷ এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনও ত্যাগ করেননি৷ 

শ্রীলঙ্কায় কার্বন-মুক্ত হোটেল

এদিকে, শ্রীলঙ্কায় এই রাজনৈতিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরো বেশ কয়েকটি দেশ৷ সিরিসেনার সংসদ ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ওয়াশিংটন বলেছে, ‘‘শ্রীলঙ্কার সংসদ ভেঙে দেয়ার খবর শুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন৷ এতে করে রাজনৈতিক সংকট আরো গভীর হবে৷ শ্রীলঙ্কার এক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সঙ্গী হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি যে, স্থিতি এবং সমৃদ্ধি বজায় রাখতে দেশটির গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়ার প্রতি সম্মান বজায় রাখা উচিত৷''

উল্লেখ্য, ২ কোটি ১০ লাখ মানুষের দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার পর্যটন খাত অত্যন্ত সমৃদ্ধ৷ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এই খাতে বিরূপ প্রভাবের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা৷

এআই/এসিবি (এপি, এএফপি)