1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রাপ্য মজুরির দাবি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৪ ডিসেম্বর ২০১২

তাজরিন ফ্যাশনস-এ আগুনের পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ছে৷ শ্রমিকরা তাঁদের নিরাপত্তা, কাজের পরিবেশ, বেতন এবং ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে প্রতিদিনই বিক্ষোভ করছে৷ করছে সড়ক অবরোধ ও ভাঙচুর৷

https://p.dw.com/p/16uyq
Bangladeshi social organisation, Magic Movement, organize a gathering of symbolic dead bodies as a protest against the deaths of the garments workers in the Ashulia fire in front of the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA) office in Dhaka, Bangladesh 29 November 2012. Reports state that more than 100 people were killed after a devastating fire took place at Tazreen Fashions Limited garments factory at Nischintapur, in Savar on the outskirts of Dhaka, Bangladesh, late on 24 November 2012. EPA/ABIR ABDULLAH +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

বাংলাদেশের আশুলিয়া এলাকায় হুয়ান অ্যাপারেলস নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভ করেছেন৷ ঐ পোশাক কারখানার ১০০ শ্রমিককে ছাঁটাই করার ফলে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন৷ তাঁরা ঢাকা টঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতাবাদ জানালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়৷ অন্যদিকে, আশুলিয়ার তাজরিন ফ্যাশনস-এর আশপাশের এলাকার গামেন্টস শ্রমিকরা সোমবারও তাঁদের নিরপত্তা ও তাজরিন ফ্যাশনস-এর মালিককে গ্রেপ্তারে দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন৷ তাঁরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়৷ আশুলিয়া এলাকার ৩৫টি পোশাক কারখানা শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷

Großbrand in Bangladesch
তাজরিন ফ্যাশনস-এ আগুনের ঘটনায় শ্রমিকরা সোমবার ঢাকায় বিজিএমইএ ভবন ঘেরাও করেছবি: dapd

এদিকে, তাজরিন ফ্যাশনস-এ আগুনের ঘটনায় শ্রমিকরা সোমবার ঢাকায় বিজিএমইএ ভবন ঘেরাও করে৷ শ্রমিকরা তাজরিন ফ্যাশনস-এর মালিককে গ্রেপ্তার এবং নিহতদের ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি তাঁদের নিরপত্তা দাবি করে৷ বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সমন্বয়কারী সিরাজুল ইসলাম রনি ডয়চে ভেলেকে জানান, তাজরিন ফ্যাশনস-এর আগুনের পর কয়েকটি গার্মেন্টস-এ ছাঁটাইয়ে ঘটনায় পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে উঠছে৷ ছাঁটাই আতঙ্ক শ্রমিকদের বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে৷

তিনি বলেন, শ্রমিকদের মজুরিও বাড়াতে হবে৷ নয়তো অসন্তোষ কমান যাবেনা৷ কারণ সব কিছুর দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে ন্যুনতম ৩০০০ টাকা বেতনে কোনোভাবেই শ্রমিকদের চলেনা৷

তাঁর মতে, পোশাক কারখানাগুলোতে ট্রেড ইউনিয়ন থাকলে শ্রমিকরা তাঁদের দাবি-দাওয়া নিয়মমাফিকভাবে উপস্থাপন করতে পারতেন৷ আর তাতে সহিংস আন্দোলন কমে আসত বলে মনে করেন তিনি৷

বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ৷ আর রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ ভাগ আসে এই খাত থেকে৷ সাড়ে চার হাজার পোশাক কারখানার একটি বড় অংশ আশুলিয়ায়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য